বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পায়ের যে লক্ষণ দেখলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো উচিত

পায়ের যে লক্ষণ দেখলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো উচিত



ডায়াবেটিস এমন এক রোগ, যা অনেকটা নীরবেই দেহের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্ত ও মানসিক চাপের কারণে এখন অল্প বয়সেই অনেকেই এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন।

অনেক ক্ষেত্রে একজনের স্ট্রোক বা হৃদ্রোগের মতো বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর ধরা পড়ে, তার ডায়াবেটিস ছিল অনিয়ন্ত্রিত। কিন্তু তিনি জানতেনই না যে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে ডায়াবেটিস। কারণ, উল্লেখযোগ্য কোনো লক্ষণ ছিল না তার। আপাতদৃষ্টে সাধারণ কিছু উপসর্গ, যেসবকে প্রায়ই আমরা হেলাফেলা করি, এসবও কিন্তু ডায়াবেটিসের কারণে হতে পারে।

ঘন ঘন প্রস্রাব ও তেষ্টা পাওয়া, ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ক্ষত না সারা, ওজন কমে যাওয়া, ইমিউনিটি কমে যাওয়া, চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া যাওয়ার মতো কিছু প্রাথমিক লক্ষণ জানান দেয় ডায়াবেটিসের। এগুলো ছাড়াও, ডায়াবেটিসের কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে পায়ে। এমনই কিছু উপসর্গ সম্পর্কে জেনেও নেওয়া যাক।

১. পায়ে ব্যথা, জ্বালা, ঝিনঝিন করা, পা লাল হওয়া এবং অসাড় হয়ে যাওয়া।

২. পায়ের ঘা এবং ক্ষত না শোকানো। ঠিকমতো রক্তপ্রবাহ না হওয়ার কারণে এমন সমস্যা হয়। রক্তনালিগুলো সরু ও শক্ত হয়ে যায় এবং রক্ত সাধারণত যেভাবে প্রবাহিত হয়, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে রক্ত স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হয় না।

৩. পায়ের নিচে বা বুড়ো আঙুলে ফোসকা, ঘা অথবা আলসার হওয়া।

৪. পায়ের আকৃতি পরিবর্তন হওয়া।

৫. পায়ের পাতা ভারি হয়ে যাওয়া, পা ফেলতে সমস্যা, পায়ের ত্বক শুষ্ক হওয়া, ত্বক ফাটা, গোড়ালি ফাটা, আঙুলের মাঝখানে চামড়া ফাটা, চামড়া ওঠা।

৬. ত্বকের রঙে পরিবর্তন।

৭. গোড়ালি বা পায়ে ফোলাভাব।

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আমি ‘পরী’ ডিজার্ভ করি, মুখ খুললেন শেখ সাদী

আমি ‘পরী’ ডিজার্ভ করি, মুখ খুললেন শেখ সাদী

 



তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী শেখ সাদীর গানে মুগ্ধ শ্রোতারা। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। শ্রোতাদের ভালোবাসায় ধীরে ধীরে ভারী তার দায়িত্বের পাল্লা। আর তাইতো ভিন্ন ঘরানার গানের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করছেন এই গায়ক।

এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরেই নেটদুনিয়ায় চর্চায় রয়েছে পরীমণি ও শেখ সাদীর প্রেমের গুঞ্জন। যদিও এ নিয়ে দুজনের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট রহস্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শেখ সাদী তার ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, I don’t like girls anymore. I deserve Pori. 

সাদীর দেওয়া স্ট্যাটাসকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই ধারণা করছেন, এখানে ‘Pori’ বলতে তিনি সরাসরি অভিনেত্রী পরীমণির কথাই বলেছেন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এটি শুধুই কাকতালীয় বা ‘পরী’ বলতে তিনি আদর্শ প্রেমিকার কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।

তার এই স্ট্যাটাসের কমেন্ট সেকশনে অনেকেই সরাসরি পরীমণির নাম উল্লেখ করেছেন এবং তাদের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে শেখ সাদী বলেন, তেমন সিরিয়াস কিছু ভেবে দেইনি। এরপরও সবাই যে এত সিরিয়াসলি নেবে, তা ভাবতেও পারিনি। তবে এখন থেকে ফেসবুকে কিছু লেখার আগে অবশ্যই ভাবব। আমরা সহকর্মী, একসঙ্গে কাজের পরিকল্পনা চলছে। এর থেকে আর বেশি কিছু নয়।

ক্যাপশন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটির কাছে ক্যাপশন চেয়েছিলাম। সেখান থেকেই এ ধরনের একটি বাক্য পেয়েছি। তারপরই জানতে চাওয়া হয় গায়কের কাছে, চ্যাটজিপিটি কি আপনার মনের কথা বুঝে গেল? 

হাসতে হাসতে শেখ সাদী বলেন, বিশ্বাস করুন, চ্যাটজিপিটি বেশ স্মার্ট। কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। তবে এটা ঠিক, প্রতিটি ছেলে চাইবে তার জীবনসঙ্গী পরীর মতো হউক। “পরি”র মতো, তাই লিখেছি। 

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হামজাসহ একাধিক প্রবাসী ফুটবলার

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হামজাসহ একাধিক প্রবাসী ফুটবলার




এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে হামজা চৌধুরীসহ একাধিক প্রবাসী ফুটবলার রেখে ৩৮ জনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ধারে খেলতে যাওয়া শেফিল্ড ইউনাইটেডের মিডফিল্ডারকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতিও দিয়েছে ফিফা। তাই আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাওয়া এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে খেলোয়াড় তালিকায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শেফিল্ড ইউনাইটেডের হামজা চৌধুরী ছাড়াও রয়েছেন ফরোয়ার্ড হিসেবে ইতালিয়ান ক্লাব ওলবিয়া কালসিও এফসিতে খেলা ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমেদুল ইসলাম।


বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় ফুটবল দল ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা। ক্যাম্প শুরুর সময় প্রাথমিক তালিকায় থাকা কয়েকজন খেলোয়াড় রদবদল হতে পারে। ৩৮ জনের মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের সর্বাধিক ১৪ জন ফুটবলার রয়েছেন। বসুন্ধরা কিংস পয়েন্ট টেবিলে সুবিধাজনক অবস্থানে না থাকলেও জাতীয় দলে তাদের খেলোয়াড়দের আধিক্যই বেশি প্রাথমিক তালিকায়। শুধু দেশি ফুটবলার নিয়ে খেলা আবাহনী থেকে আছেন আট জন। জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ঘরোয়া ফুটবল খেলেননি। তবুও কোচ তাকে প্রাথমিক তালিকায় রেখেছেন।


এদিকে, রহমতগঞ্জের হয়ে জাতীয় দলের এক সময়ের ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবন এবার ঘরোয়া ফুটবলে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। কিন্তু তাকে ৩৮ জনের মধ্যে রাখেননি কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। প্রাথমিক দলের কিছু নাম না থাকা ও কিছু অর্ন্তভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোচ ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় এ নিয়ে কিছু জানা যায়নি। ক্যাম্প শুরুর সময় অবশ্য খেলোয়াড় তালিকা নিয়ে তিনি উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছে বাফুফে।  


বাংলাদেশের প্রাথমিক দল:


গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবন, আনিসুর রহমান জিকো ও সাকিব আল হাসান।

ডিফেন্ডার: হাসান মুরাদ, শাকিল আহাদ তপু, মেহেদী হাসান, রহমত মিয়া, মোহাম্মদ শাকিল হোসেন, ঈসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, সুশান্ত ত্রিপুরা, ইয়াসিন খান ও জাহিদ হোসেন শান্ত।


মিডফিল্ডার: মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম, পাপন সিংহ, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা, চন্দন রায়, মজিবর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া ও হামজা চৌধুরী।


ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাব্বি হোসেন রাহুল, শাহরিয়ার ইমন, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আরিফ হোসেন, আল আমিন, পিয়াস আহমেদ নোভা ও ফাহমেদুল ইসলাম (ইতালি প্রবাসী)।