শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

আলফাডাঙ্গায় প্রবাসীর জমিতে ১৩ বছর ঘর তুলে কৌশলে ব্যবসা

 


আরিফুজ্জামান চাকলাদার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কুটুমবাড়ি কফি হাউস নামে পার্কের ভেতরে প্রবাসীর জমিতে ১৩ বছর ধরে কৌশলে ঘর তুলে জবর দখলে ব্যবসা করেছে অভিযোগ  ভুক্তভোগী  মানব রঞ্জন ঘোষ(৫৩)।


সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কফি হাউজের মালিক দুলাল কুমার মন্ডল (৫৩) পার্কের ভিতর ৮৬১ নং দাগে ১০ শতাংশ জায়গাসহ ঘর তুলে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে।জানা যায়,একই উপজেলার জাটিগ্রামের  ডাক্তার  মানব রঞ্জন ঘোষ রাশিয়া প্রবাসী। ২০১০ সালে ৪১ নং আলফাডাঙ্গা মৌজা ১৯০৬ নং খতিয়ান ৮৬১নং দাগে ১০ শতাংশ জমি ঐ দুলালের কাছ থেকে খরিদ করে। ভাল পরিচিত থাকার সুবাদে লিজের (ভাড়া) নামে জমিতে ঘর তুলে পার্কের ব্যবসা করছে। 


আদালতের অভিযোগ  সূত্র জানা যায়,দুলালের কাছ থেকে ১৫-৪-২০১০ সাল ৮৬৮ নং কবলা দলিলে ১০ শ. জমি খরিদ করে। দুইজন ভাল পরিচিত সুবাদে দুলাল মৌখিক বছরে পঞ্চাশ হাজার টাকা লিজ নিয়ে ঘর তুলে ব্যবসা শুরু করে। প্রবাসী থাকায় ১৩ বছর কোন টাকা উত্তোলন করে নাই।২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাইলে দুই মাসের সময় নেয়। আজকাল বলিয়া ঘুরাইয়া অবশেষে অস্বীকার করে। সালিশি বসলে তাতেও দিতে অস্বীকার করে। এরপর থানার অভিযোগের সিআর মামলার নং ১৩৪/২৩  স্মারক  নং ১৪২/২৩ তাং ১৭- ৮-২০২৩ ইং চলমান। 


দুলাল কুমার মন্ডল বলেন, ৮৬০ ও ৮৬১ দাগে ২২ শতাংশ সাত লক্ষ টাকায় ১০ সালে বিক্রি করি।এর মধ্যে ২০২১ সালে ১২ শ. ফেরত দেয় আর ১০ শ. ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তাল বাহানা করে ফেরত দিচ্ছে না।এ নিয়ে সালিশ হয়েছে মৌখিক সাক্ষী আছে।১৪ বছর পর একই টাকায় ফেরত দিতে হবে কেন সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুবাদে জমি বিক্রি করার সময় কথা ছিল একই টাকায় ফেরত দেবে। এখন এক দাগ ফেরত দিয়েছে এবং অন্য দাগ দিচ্ছে না। 


এদিকে ডাক্তার মানব ঘোষ বলেন,  

আমার জমি পঞ্চাশ হাজার টাকা লিজ নিয়ে ব্যবসা করছে।১৩ বছর পর প্রবাস থেকে এসে টাকা চাইলে অস্বীকার করে এবং দখলে আসলে হাত-পা ভেঙ্গে খুন করার হুমকি দেয়। উপজেলা ভূমি কমিশনারের নিকট সরজমিনে প্রতিবেদন চেয়েছে আদালত ।কোন দলিল পত্র দেখাতে পারে নাই। জোর জবর দখল করে খাচ্ছে।আদালতে ভাড়ার টাকার জন্য ওয়ারেন্ট হলে মীমাংসার নামে এক মাসের সময় নেয়। আমি আদালতের মাধ্যমে দ্রুত সুষ্ঠ সমাধান চাই।

ভারপ্রাপ্ত  সহকারী কমিশনার ভূমি  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছারমীন ইয়াসমীন বলেন,আদালত থেকে  প্রতিবেদন রিপোর্ট চেয়েছে।সরজমিনে গিয়ে দুই পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে কার্যালয়ে  হাজির হতে বলেছি,অফিসে জমা দিয়েছে রিপোর্ট  চলামান রয়েছে।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: