মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরা : ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় শহরের তুফান কোম্পানী মোড়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আয়েজনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি’র সমন্বয়ক ও যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হবিব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিম।
অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব নূরে আলম সিদ্দিকী, পৌর বিএনপির আহবায়ক মো. শের আলী, সদস্য সচিব ও পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিলন শিকদার, সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ আর মুকুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম বাবু, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক, সাইফুল ইসলাম বাবলু, জেলা তাঁতীদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ রাজ্জাক, জেলা জাসাস’র আহবায়ক জিল্লুর রহমান, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ছাত্রদের গণহত্যা, রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন ও হামলা মামলার জন্য শেখ হাসিনার ফাঁসি দিতে হবে। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দীর্ঘ ১৭ বছরে জুলুম নির্যাতন, গুম খুনের সাথে জড়িতদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।
এদিকে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বিএনপি। বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে কলারোয়া উপজেলা মোড়ে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাবেক এমপি হাবিবসহ চারজনকে রাজনৈতিক মামলায় হাস্যকর ৭০ বছরের সাজাসহ অন্যান্য নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কলারোয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কোন কর্মসূচি করতে দেয়নি শেখ হাসিনা সরকার। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সকল নেতাকর্মীকে শান্ত রাখার জন্য বারবার তাগিদ দিচ্ছি। তার মানে এই নয় যে, এই সুযোগে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কোন অপকর্ম অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা চালাবে। ১৫ আগস্ট যেনো আওয়ামী লীগের কোনো লোক শোক দিবস পালন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ.সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সহ.সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু বকর ছিদ্দিক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জান তুহিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু ও রবিউল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু জাফর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোশারফ হোসেন, সদস্য সচিব মূসা কারীম, মনিরুজ্জামান, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল, সদস্য সচিব জিএম সোহেল প্রমুখ।
এসময় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পৌর ও ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
0 coment rios: