নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃদীর্ঘ আড়াই বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর প্রেমিক-প্রেমিকার সম্মতিতে বিয়ে হওয়ার দুইদিনের মাথায় নীলফামারীর ডোমারে জোরপূর্বক বিচ্ছেদ ঘটানো হয়েছে। দালাল চক্রের যোগসাজশে আর্থিক দফারফার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ প্রেমিকার।
জানা যায়, গত শনিবার (১৩ই জুলাই) রাতে উপজেলার ছোটরাউতা বক্করের মোড় এলাকার আশা পোল্ট্রি ফার্মের পার্শ্বে প্রেমিকার বাড়িতে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল প্রেমিক সুমন ইসলাম। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রেমিক-প্রেমিকার সম্মতিতে বিয়ে দেওয়া হয় তাদের। এমন ঘটনায় একটি দালাল চক্র বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য করতে চাইলেও ব্যর্থ হন তারা।
বিয়ের দুই দিনের মাথায় গত সোমবার (১৫ই জুলাই) কৌশলে দালাল চক্রটি প্রেমিক সুমনের পরিবারের সাথে আর্থিক লেনদেন করে ভুক্তভোগী প্রেমিকার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গভীর রাতে টাকার প্রলোভন দিয়ে নবদম্পতির বিচ্ছেদ ঘটায়।
প্রেমিক মোঃ সুমন ইসলাম ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ফার্মহাট কগিলা এলাকার মৃত আমিনুর রহমানের পুত্র।
এব্যাপারে প্রেমিকার মাতা রাজিয়া খাতুন তারা জানান, তিনি তার মেয়ের সদ্য বিবাহের বিচ্ছেদের পক্ষে ছিলেন না। তবে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন জনৈক এক ইউপি সদস্য এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে জামাল। নিরুপায় হয়ে রাজি হতে হয়েছিল বলে জানান তিনি।আমি উনাদের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি।
জানা যায়, অর্থের বিনিময়ে বিবাহের বিচ্ছেদ করানোতে সহযোগিতা করেছেন– উপজেলার ছোটরাউতা এলাকার নুর ইসলাম'র পুত্র মোজাহার ইসলাম, আজগর আলীর পুত্র মমিনুর রহমান মেম্বার, জামাল মিয়া, উত্তর হরিণচড়া এলাকার আমিনুর রহমানের পুত্র ফরিদুল ইসলাম ও ডোমার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহেশ।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী প্রেমিকা বলেন, সুমনের সাথে আমার দীর্ঘ আরাই বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক এবং আমাদের মাঝে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক হয়।গত শনিবার (১৫ই জুলাই) সে আমাদের বাসায় আসে। স্থানীয়রা আমাদের আটকিয়ে দুইজনের সম্মতিতে বিবাহ দেয়।আমরা এই দুইদিন ভালই ছিলাম কিন্তু কয়েকজন লোক মিলে জোর করে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়েছে। আমি মন থেকে এখনো মেনে নিতে পারছি না। আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ। আমি সেদিন সাংবাদিককে ফোন করতে চাইলে, ফরিদুল নামের ব্যক্তিটি আমার ফোন কেড়ে নিয়েছিল এবং আমাকে উনি আর কালামের স্ত্রী ইতি টেনেহিঁচড়ে মোজাহারের গোডাউনে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক সাক্ষর করায়।আমি এনাদের বিচার এবং আমার স্বামীকে ফিরিয়ে চাই।
ডোমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
0 coment rios: