মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে চলছে ক্ষমতা দখলের অরাজকতা

 

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটের সুযোগ নিয়ে

এই প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন নিজেদের ব্যক্তিগত ও চাকরিগত আক্রোশের কারণে কতিপয় বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কে মারধর করছেন হুমকি দিয়ে কর্মস্থল থেকে বের করে দিচ্ছেন এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বিজেআরআই-এর ভেতরেই গত ১০/০৮/২০২৪ ইং শনিবার সকাল আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটে।


উল্লেখ্য বিজেআরআই এর চলমান দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালক ডক্টর আব্দুল আউয়ালের গাড়িচালক মোঃ সাইফুল ইসলামকে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে তার কাছ থেকে গাড়ির নম্বর (ঢাকা- ঘ- ১৮০১৪২ ) চাবি এবং সমস্ত কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় জানা যায় মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার ড. আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে ড. গোলাম মোস্তফা মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনির এই ঘটনাটি ঘটায়। এই বিষয়ে ড. আব্দুল আলীমকে ফোন করলে ড্রাইভারকে মারধর ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এটিকে তাদের সমিতির সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন। মুখ্য কর্মকর্তা ড. গোলাম মোস্তফাকে ফোন করলে তিনি 

বিজেআরআইতে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান এবং জানতে পারলে সমিতিগত সিদ্ধান্তে যাবেন বলে জানান।


তারা প্রশাসনিক ভবন ও মহাপরিচালকের কক্ষটি নিজেরাই কোন সরকারি আদেশ ব্যতীত তালা মেরে রাখেন এমনকি তারা মহাপরিচালককে কর্মস্থলে না আসার এবং স্বেচ্ছায় তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের করার জন্য একটি বার্তা প্রেরণ করেন। তাদের এই সিন্ডিকেটটি কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাস্তাঘাটে এবং কর্মস্থলে গিয়ে চরম অপমান অপদস্ত করে বেড়াচ্ছেন। 


লোকমুখে শোনা যাচ্ছে কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীকে ঝুলিয়ে পেটাবেন তারা।

এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সংবিধানের আদেশ অমান্য করে নিজেদেরকে অবৈধভাবে পদোন্নতি নিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য প্রতিষ্ঠানের সম্মেলন কক্ষ ব্যবহার করে মিটিং করছে। রাস্তায় দেয়ালে ও পিলারে অসাংবিধানিক পোস্টার লাগিয়ে বেশ কিছু বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অরাজকতার সৃষ্টি করছে। ফলে জনস্বার্থে গবেষণা কাজের চরম ব্যাহত হচ্ছে। সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিজ্ঞানী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রাণনাশের হুমকিতে আছে, তারা উপদেষ্টা প্রশাসন এবং দেশবাসীর কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন এবং সহকর্মস্থলে কাজ করার অধিকার চেয়েছেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: