বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বৃষ্টির রহস্যজনক মৃত্যু

টি.কে রনি: মসজিদপারা, পঞ্চগড়েতে স্বামীর নির্যাতনের শিকার নাজনীন নাহার বৃষ্টি (২৬) নামের গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত নাজনীন নাহার বৃষ্টি মহেশ্বরপাশা সাহেবপাড়া , দৌলতপুর , খুলনা জেড এম তোহিদুর জামানের স্ত্রী।

শনিবার (২৯ জুন )  জামান জানান আনুমানিক রাত ১১ টার সময় বৃষ্টি অসুস্থ হয়ে পরে শোবার ঘরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃস্টিকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট পরেই কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃষ্টিকে মৃত ঘোষণা করে। সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।


জানা গেছে, গত চার মাস আগে খারিয়া পাইকগাছা, খুলনা জেবালুল ইসলাম বুলুর কন্যা বৃস্টির সঙ্গে প্রেমের জোয়ারে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় জেড এম তোহিদুর জামানের সাথে। বৃষ্টি ভালবেসে বিয়ে করেন জামানকে কিন্তু জামান নেশা করে এসে প্রায় বৃষ্টিকে ধরে মারধর করত। বৃষ্টি ভয়ে তার পরিবারকে জানাতে পারেননি, তারপরও জানানোর চেষ্টা করে বৃষ্টি। এবার ঈদুল আযহা পরিবারকে জানিয়েছে বৃষ্টি তাকে প্রায় নির্যাতন করে মারধর করে জামান। বৃষ্টি যেতে চাইনি জামানের কাছে, কিন্ত জামান বৃষ্টিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তার সাথে পঞ্চগড় নিয়ে যায়। এটাই ছিলো বৃষ্টির শেষ বিদায়। 

বিকাশে চাকরি করে সংসার চলে জামানের। গত কয়েক মাস ধরে সংসারের নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ শনিবার সন্ধ্যায় জামান তার স্ত্রীকে কিলঘুষি মারেন। এরপর ওইদিন দিবাগত রাতে স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বৃস্টির পরিবারের সদস্যরা। তবে জামানের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি অস্বীকার করেন।

নিহত গৃহবধূর স্বামী জামান নির্যাতন করার বিষয়টি স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, একসাথে থাকলে আমাদের মাঝে মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো, কিন্তু আমি কখনো গায়ে হাত তুলিনি।

নিহত গৃহবধূ নাজনীন নাহার বৃষ্টি ছোট চাচা রুবেল জানান, আমাদেরকে ঘটনার ১০ ঘন্টা পরে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। জামানের সাথে কথা বলে সন্দেহজনক মনে হয়, ডাক্তারের রিপোর্ট এবং পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন কোনটারই মিল পাওয়া যায় না জামানের কথার সাথে। আবার ভাইজির লাশে আঘাতের চিহ্ন ঘটনাটি সম্পূর্ণ সন্দেহজনক পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।






মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে তখন পদক্ষেপ নেয়া হবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: