ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ ও বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বোরহানউদ্দিনে উপজেলার টগবী ৫ নং ওয়ার্ডে দালালপুর প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিব বর্ষের আশ্রায়ন প্রকল্পের নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। চতুর্থ ধাপে ছত্রিশটি ঘর প্রায় ১ বছর পূর্বে সুবিধাভেগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই সকল ঘর নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী হওয়ায় প্রতিটি ঘরের পলেস্তার দরজা জানালা খুলে পরছে। একই স্থানে পঞ্চম ধাপে আরো চৌদ্দটি ঘর নির্মাণ করছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উজ্জামান। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় এসকল ঘরে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। নির্মাণ কাজ দেখার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার কোন প্রতিনিধি নেই সেখানে। লেবারগণ নিজেদের ইচ্ছা মাফিক কাজ করছেন।
স্থানীয় একাধিক নারী ও পুরুষ অভিযোগ করে বলেন, টগবী ইউনিয়নে ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে মোট ৩টি প্রকল্পে ২৫৯টি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আশ্রয়নের এসকল ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইউ'পি চেয়ারম্যান জসিম হাওলাদার। আবার কিছু ঘর নিজেদের পছন্দের লোকের নামে বরাদ্দ নিয়ে পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময় অন্য আরেক জনের কাছে বিক্রি করেন বলে জানান অভিযোগকারী গণ।
টগবী ইউনিয়নের আবুল মিয়ার বাজারের মো. মিন্টু অভিযোগ করেন, তিনি এক বছর পূর্বে দশ লাখ টাকার একটি জমি বায়না পত্র করার বিষয় নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে একটি ঝামেলা তৈরি হয়। ওই জমির বিষয়ে সালিশ করেন জসিম উদ্দিন হাওলাদার। এক লক্ষ টাকা প্রতিবেশীর কাছে মিন্টু পাওনা হওয়ার পর জসিম উদ্দীন হাওলাদার এর কাছে টাকা জমা দেওয়া হয়। সেই টাকা আজও মিন্টুকে বুঝিয়ে দেয়নি জসিম হাওলাদার।
জসিম হাওলাদার টগবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সালিশের নামে ঘুষ বাণিজ্য, জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসা, মুজিব বর্ষের ঘর দেয়ার নামে অবৈধ ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, জসিম উদ্দিন হাওলাদার তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন বলেন, এত বড় প্রকল্পে কিছুটা দোষ ত্রুটি থাকতেই পারে বিষয়গুলা ইউএনও মহোদয়ের নজরে এনে সংশোধন করা হবে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ রায়হান-উজ্জামান বলেন, নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী বলতে কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের ঘর সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 coment rios: