বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪

জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে আলফাডাঙ্গায় চলছে মাটি কাটার মহোৎসব,উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহনে গাফলতি

 


আরিফুজ্জামান চাকলাদার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  ফসলি জমি হতে দিনে রাঁতে চলছে  মাটি  বিক্রির মহোৎসব। বিক্রিত মাটিগুলো বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ট্রলি গাড়ী।


এতে করে একদিকে যেমন দিন দিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে অন্যদিকে অবৈধ ট্রলির তাণ্ডবে ধ্বসে যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা এবং কাঁচা সড়কগুলো। দিনে এবং রাতে অতিরিক্ত ট্রলি চলাচল করার কারনে পাকা ও কাঁচা সড়কগুলোতে প্রচুর ধুলো ময়লার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে স্থানীয় জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবন যাপনে নিদারুণ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।


ময়লায় তাদের ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও খাওয়া দাওয়ায় খুবই অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলেই ট্রলি গাড়ী হতে খসে পড়া মাটি হতে কাঁদার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে ঘটে দূর্ঘটনা।


মাটি ব্যবসায়িরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায় না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শিরগ্রাম মৃত আব্দুল ওয়াজেদ খানের ছেলে সাইদুর রহমান সেন্টু খান মাঠের মধ্যে কৃষি জমি কেটে পুকুর বানাচ্ছে।


বুড়াইচ ইউনিয়নে জয়দেবপুর গ্রামে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ি ইব্রাহীম ও পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা চতুল গ্রামে আব্দুল্লা  দিনে রাতে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এমন কর্মকাণ্ড।এদিকে রাত হলে সদর ইউনিয়নে লাঙ্গুলিয়া মাটি কাটি শুরু হয়। রাতে দিনে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় টলিতে মাটি, বালু বহন করতে দেখা যায়।

  এ বিষয়ে  মাটি ব্যবসায়ি ইব্রাহীম সাংবাদিকদের সাথে স্বাক্ষাতের বলেন,মাটি কাটা অনুমতির ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে অনুমতি দিয়েছে।অনুমতি পত্র দেখতে চাইলে বলে ভাই ব্রাদার কাগজ দেখা লাগবে না,দুই একদিন পরে একসাথে বসে মিষ্টি খাবানি।

 

এদিকে সাইদুর রহমান সেন্টু খা বলেন,পুকুর কাটতে সব ঝামেলা ইব্রাহীম মেটাবে।প্রশাসন, পুলিশ,সাংবাদিক সকলের সাথে সমন্বয় করে কাটতে বলেছি।না করলে পুকুর কাটতে দিবো না।


পাচুড়িয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শিবানী রানী শিলকে মুঠোফোন  ফোন দিলে সব কিছু শোনার পরে বার বার বলেন আপনি আগামিকাল আমার অফিসে আসেন।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমীন ইয়াছমীনের অফিসের পিয়ন আশরাফ মাধ্যমে স্বাক্ষাতের অনুমতি খরব পাঠালে তিনি অনুমতি দেননি। তার পিয়ন আশরাফ বলেন স্যার এখন ব্যস্ত আছে দেখা করবে না। হোয়াসঅ্যাপ তথ্য দিলে ৭.৩০ টার সময় পর্যন্ত দেখেননি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: