বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪

রানীশংকৈলে আলোচিত ইটভাটায় স্বর্ণের অনুসন্ধানে ভূতাত্ত্বিক জরিপ

 


সুজন আলী, রানীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের আলোচিত  কাতিহার আরবিবি ইটভাটার ইট প্রস্তুত করার মাটির স্তপে স্বর্ণ পাওয়ার খবরে সাধারণ মানুষের দিনরাত স্বর্ণ খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা  খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হলে, রানীশংকৈল উপজেলার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, স্বর্ণ পাওয়ার বিষয়টি আমলে নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের নজরে নিয়ে আসে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের দুজন সহকারী পরিচালক তিনদিনের অনুসন্ধানী সফরে কাতিহার ইটভাটা ও আশেপাশে এলাকা সমূহ  সরজমিন অনুসন্ধান করেছেন। জরিপ কজে অংশ নোওয়া দুজন  সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী, মঙ্গলবার ও বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ ও অন্যান্যদের সাথে নিয়ে আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তুপ, শ্যামরাই মন্দিরের পাশের জমি ও পাশ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমূনা সংগ্রহ করেন। 


 বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের  সহকারী পরিচালক আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম সাংবাদিকদের বলেন,আমরা ইটভাটা এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি  ৩টি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা নেই তবে প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যে কোনো স্থানে এসব থাকতে পারে। বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উভয় সম্পদ অনুসন্ধানে তৎপর আছে। আমরা যে মাটির নমুনা নিয়েছি ল্যাব টেস্ট করলে ওখানে স্বর্ণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।


উল্লেখ্য গত একমাস ধরে কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটির স্তূপে সোনা পাওয়ার আশায় হাজার হাজার মানুষ মাটি খোঁড়ার কাজে ছুটে এসেছিল। কেউ কেউ সোনার মোহরসহ বিভিন্ন স্বর্ণের জিনিষ পেয়েছিল বলে অনেক মাধ্যমে জানা গেছে। বর্তমানে 

ওই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি বলবৎ রয়েছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: