বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

ভোলায় পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা,গ্রেফতার ১

 

নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলা: ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে মোঃ মাহবুব আলম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম।

গ্রেফতারকৃত মোঃ মাহবুব আলম বড় মানিকা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদ মিস্ত্রিরীর ছেলে বলে জানা গেছে।

বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,ফাইজা আক্তারের ছেলে মোবারক করিম(১৯) গত ২০ ফেব্রুয়ারি  ২০২৪ এ নিয়োগ পরিক্ষায় আবেদন করে কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। প্রতারকচক্র পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকার চুক্তি সম্পাদন করে নগদ ৬ লাখ টাকা ও চেকের মাধ্যমে আরো ৬ লাখ হাতিয়ে নেন কিন্তু ২৩ মার্চ চূড়ান্ত ফলাফলে ছেলের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি না হওয়ায় ভুক্তভোগী গত ২৮ এপ্রিল ৩ জন কে আসামী করে পুলিশ চাকরীতে প্রতারণার অভিযোগ এনে ভোলা পুলিশ সুপার এর বরারবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহিদুজ্জামান বিপিএম বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন ফকির কে ৩০ এপ্রিল বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করলে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন ফকির বিপিএম এর তত্ত্বাবধায়নে বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোঃ জসিমের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম অভিযানে পরিচালনা করে প্রতারণার অভিযোগের সত্যতা মেলায় গতকাল ১লা মে রাতেই উক্ত অভিযোগের ২ নং আসামী মোঃ মাহবুব আলম কে গ্রেফতার করেন এবং ২ মে বৃহস্পতিবার বিকালে মামলার মাধ্যমে ভোলা কোর্টে প্রেরণ করেন।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন ফকির বিপিএম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান,পুলিশের চাকরি দেওয়ার কথা বলে মামুন,মোঃ মাহবুব সহ কয়েকজন ব্যক্তি ফাইজা নামে এক নারীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন,তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মাহবুব আলম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি,এ ঘটনায় আরো ৫-৭ নামে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী নারী তাদের ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

কোন পুলিশ সদস্য বা যে কোন পেশার কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকলে তাদের ও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মামুন অর রশিদ বলেন,পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরো বলন,ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহিদুজ্জামান বিপিএম মহোদয় স্বচ্ছ একটি নিয়োগ পরিক্ষা উপহার দিয়েছেন যেখানে মাত্র ১৬৫ টাকায় চাকরি হয়েছে কিন্ত অসাধু কতিপয় লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে ও জানান তিনি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: