খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরা : ঘূর্ণিঝড় মৌসুম আগত। আর কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠায় পড়েছেন সাতক্ষীরা উপকূলের শত শত মানুষ। উপকূলের বেশীর ভাগ বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। ঘূর্ণিঝড় যদি উপকূলে আঘাত নাও হানে, তবুও এর প্রভাবে নদনদীতে পানির চাপ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। আর পানি বাড়লে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার ভয় আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সময়মতো মেরামতের উদ্যোগ নিলে কম খরচ ও কম সময়ের মধ্যে মানসম্মত কাজ সম্ভব। তবে বর্ষার আগ মুহূর্তে যখন নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে বাঁধ কানায় কানায় পূর্ণ হয়, পাউবো কর্তৃপক্ষ সে সময় এসে মেরামতের উদ্যোগ নেয়। এতে একদিকে খরচ বাড়ে, অন্যদিকে তড়িঘড়িতে কাজ হয় নিম্নমানের।
জানা গেছে, গত অর্থবছরের কাজ এখনও চলছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের অভিযোগ, অসময়ে এসে কার্যাদেশ পাওয়ায় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় মাটি পাওয়া যায় না। এ জন্য বাঁধ মেরামতে দেরি হয়।
স্থানীয় উপকূল বাসিন্দ প্রভাস মন্ডল বলেন, নদীর পানির চাপে বাঁধে ফাটল ধরে। সময়ের কাজ সময়মতো করলি আমাগে এত ভুগতি হতো না। গাঙের পানি যখন চরের নিচে থাকে, তখন কারও দেখা পাওয়া যায় না। যেই সময় গাঙের পানি বান্ধের কানায় কানায় আইসে ঠেকে, তখনই শুরু হয় ‘মিয়া সাহেবগে’ তোড়জোড়। এ পর্যন্ত যতবার বাঁধ ভাঙিছে সব ওই সাহেবগের গাফিলাতির কারণেই ঘটিছে।
উপকূলের বাসিন্দা নাদের আলী বলেন, জোয়ারের পানির যে চাপ বাড়তিছে, তাতে যে কোনো সময় অঘটন ঘটতি পারে। এসব বাঁধ ভাঙ্গলে ২০-৩০ গ্রাম গাঙের পানিতে তলিয়ে যেতে সময় লাগবে না। সেদিকে কারও কোনো খেয়াল নেই। বাঁধ ভাঙলি আমাগে মতোন গরিব মানষির হবে মরণদশা।
পাউবো সাতক্ষীরার -১ এর অধীনে ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৫ কিলোমিটার জরাজীর্ণ বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাহউদ্দিন।
সাতক্ষীরা -২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসিকুর রহমান জানান, তাদের আওতাধীন এলাকায় ২৯৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৮ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। এ বাঁধ মেরামত করা হবে।
0 coment rios: