ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও প্রবলবর্ষণে নদ-নদীগুলোতে দ্রুত পানি বেড়ে সিলেটের ৪ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ভয়ানকভাবে। এদিকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জে ৫০ গ্রামসহ শত শত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গভীর রাতে বারোহাল উপজেলার বারোহালগ্রাম, কাজলশাহ ইউপির আটগ্রামের নলুহাটি গ্রামের সুরমা নদীর বাঁধ, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ছবরিয়া, বারোখাল, রারই, খলাছড়া, মাঝর গ্রামসহ কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকে। বিকালেও হু-হু করে পানি ঢুকছিল বিভিন্ন পয়েন্টে।
ভারতের বরাক নদী দিয়ে প্রবল বেগে নেমে আসা পানি সুরমা-কুশিয়ারার মোহনায় জকিগঞ্জের অমলসিদে বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়ে দিনভর প্লাস্টিকের ব্যাগভর্তি বালি-মাটি দিয়ে পানি আটকানোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। এছাড়া একই পদ্ধতিতে জকিগঞ্জ শহরকে বন্যা মুক্ত রাখার কাজ চলছে। ঢলের তীব্র চাপে কুশিয়ারা তীরবর্তী জকিগঞ্জের অধিবাসীরা আতঙ্কে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসনিম জানান, উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে ও নিরাপদে সরিয়ে আনা হচ্ছে। পাঁচটি উপজেলায় জরুরিভিত্তিতে প্রায় ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খেলা হয়েছে। জরুরি ত্রাণ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, জৈন্তা, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাটে পানির তোড় বেশি। তবে বৃষ্টি কমলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
0 coment rios: