রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

মেহেরপুরের গাংনীতে মসজিদের জমি দখলমুক্ত করতে সংবাদ সম্মেলন

   



কামাল হোসেন খাঁন, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের আযান দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকার মুসল্লিগণ।

রোববার (১৯ মে), বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে আযান দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আযান দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আসমত আলী লিখিত বক্তব্য রাখেন।

এসময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি শফিকুল ইসলাম, আবু হাসান রাজু, আব্দুল হালিম ছোট, মাহাবুল ইসলামসহ মসজিদের অন্যান্য মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা তিনাদের লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রায় ৪০ বছর পূর্বে আযান দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদটি স্থাপিত হয়। প্রথমদিকে এটি একটি মক্তব হিসেবে ব্যবহৃত হলেও আযান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের জায়গা সংকট দেখা দিলে পরবর্তীতে উক্ত মক্তবটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। যেখানে বিগত ১০ বছর যাবত এলাকার মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে আসছেন। পরবর্তীতে আযান দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদেও নামাজ আদায়ে জায়গা সংকট দেখা দিলে পার্শ্ববর্তী নূর বক্সের মেয়ে জেলেহারের নিকট থেকে তিনার শরিকানা সম্পত্তির ১ কাঠা মসজিদের জন্য ক্রয় করা হয়। যার দাগ নম্বর ২৭০৩, খতিয়ান নম্বর ৪৫৫ ও ৪৫৭। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ক্রয়কৃত সম্পত্তি হলেও জেলেহারের ভাইয়েরা এখন অবধি উক্ত জমি নিজ দখলে রেখেছেন। বিভিন্ন সময়ে মসজিদ কমিটির সদস্যরা জমি দখলমুক্ত করার জন্য জানালে মসজিদ কমিটির লোকজনদের বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়। শুধু তাই নয় অস্ত্র নিয়ে মুসল্লিদের মারধর করতে তেড়ে আসার মত ঘটনাও ঘটেছে। এমন কি কয়েকবার পাকা মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছু দুষ্কৃতী মহল মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের মে মাসের ১০ তারিখে আবারো মসজিদের জমি মাপজোখ শেষে জেলেহারের ভাই দখলদার মনিরুল ইসলামকে জমি দখলমুক্ত করতে বললে মুসল্লিদের উপর চড়াও হন তিনারা। একই সাথে কোর্টে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে কোর্ট ১৪৫ ধারায় একটি পিটিশন দায়ের করেন মসজিদ কমিটির সদস্য রাজু ও হালিমের নামে।

এমতবস্থায় আযান দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন মুসল্লিগণ, যাতে করে মসজিদের ক্রয়কৃত জমি মসজিদ কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তিনারা যেন একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ পূর্বক সকলে মিলেমিশে নিশ্চিন্তে নামাজ আদায় করতে পারেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: