উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, আয়করের ১০ এর বি তে তার কাছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নগদ অর্থ থাকার হিসাব দেখিয়েছেন। কিন্তু হলফনামায় উল্লেখ করেছেন মাত্র ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে কক্সবাজার মৌজায় একশতক জমির দাম লক্ষ টাকা হলেও তিনি নিজের ৪ শতক জমির মূল্য হলফনামায় দেখিয়েছেন মাত্র ২০ হাজার টাকা। এছাড়া শহরের টেকপাড়ায় তার পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত কোন ভিটার তথ্য হলফ নামায় উল্লেখ করেন নাই পৌর চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দূর্ণিতির দায়ে অভিযুক্ত এবং দীর্ঘাদিন কারাভোগ করা নুরুল আবছার। এছাড়াও বর্তমানে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারে তার নামে চলমান হয়েছে পাঁচটি মামলা রয়েছে। খালাস পেয়েছেন ১৩ টি মামলা থেকে।
অন্যদিকে, বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ থাকলেও শনিবার হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে প্রার্থীতা করা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে, অনেকে বলেছেন হলফনামায় তথ্য গোপন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে মনোনয়ন পত্রের বৈধতা পাওয়ার অভিযোগ ওঠার পূর্বেই নিজে থেকে সরে দাঁড়ান এই জনপ্রতিনিধি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যাচাই-বাছাইয়ে উপস্থিত সচেতন মহলের অনেকে বলেন, যাচাই বাছাইয়ের সময় প্রধান আয়কর কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। প্রয়োজনে সিসিটিভির ভিডিও পরীক্ষা করলে এর সত্যতা প্রমানিত হবে। এরকম প্রকাশ্য দিবালোকে জালিয়াতি করলেও তাদের মনোনয়পত্র কিভাবে বৈধ ঘোষিত হলো তা নিয়ে সর্বমহল বিশ্মিত। অতিদ্রæত এবিষয়ে আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কক্সবাজারের সাধারণ ভোটারগণ যেমন বিভ্রান্ত হবেন, তেমনি পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ হবে ।
অপরদিকে, কোন অভিযোগ না থাকায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। তথ্য নিয়ে জানা যায়, সর্বদাই দলের প্রতি শ্রদ্ধশীল মুজিবের প্রতি রয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীদের পূর্ণ সমর্থন। এছাড়া সাধারন নাগরিক সহ সর্বমহলের রয়েছে আস্থা। তাই নির্বাচন সুষ্ঠ হলে জয়ে পাল্লা ভারী হতে পারে ত্যাগী এই নেতার।
0 coment rios: