লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে এক গর্ভবতী নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবিরচর এলাকার মেলকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ওই বাড়ির রোমান মেলকারের গর্ভবতী স্ত্রী বৃষ্টি, দাদি বিবিজা খাতুন ও চাচি নাহার বেগম। তারা বর্তমানে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রফিক মেলকারের ছেলে রোমান মেলকার অভিযোগ করে বলেন, বদরপুরের গত ইউপি নির্বাচনে একই বাড়ির শাহাবুদ্দিন মেলকার ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করে হেরে যান। আমরা তারই সমর্থক ছিলাম। কিন্তু ভোটে হেরে যাওয়ার পর আমাদেরকে দোষারোপ করতে থাকেন শাহাবুদ্দিন মেলকার। তারই জের ধরে তুচ্ছ যেকোনো ঘটনায় আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন শাহাবুদ্দিন মেলকার ও তার পরিবারের লোকজন।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ঈদের দিন শাহাবুদ্দিন মেলকারদের সঙ্গে অন্য একটি পক্ষের মারামারি হয়। শুক্রবার আমাদের ঘরে পরিবারের লোকজন (বৃষ্টি, বিবিজা খাতুন ও নাহার বেগম) একে অপরের সঙ্গে কথা বলছিলেন এবং হাসাহাসি করছিলেন। বিষয়টিকে উপহাস ভেবে শাহাবুদ্দিন মেলকারের ভাই জিয়া মেলকার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারই জের ধরে জিয়া মেলকার, তার ভাই ফরিদ, শাহাবুদ্দিন, খোকন, ভাতিজা সুজন, হৃদয় ও স্থানীয় রাকিবসহ আরো কয়েকজন মিলে ঘরে থাকা মহিলাদের ওপর লাঠি এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার গর্ভবতী স্ত্রী বৃষ্টি, দাদি বিবিজা খাতুন ও চাচি নাহার বেগম গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহাবুদ্দিন মেলকারের ভাই ফরিদ মেলকার জানান, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, মারামারির ঘটনায় কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে শুনেছি। এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল রেখে কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে তিনটি মোটরসাইকেল থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 coment rios: