সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভিজিএফের চাল কম দেওয়ার ছবি ধারণ করা সময় সাংবাদিককে শাসালেন পৌর মেয়র !


মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিনামূল্যে ভিজিএফের খাদ্য শস্যের চাল বিতরণকালে ওজনে কম দেওয়া অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এ সময় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা চাল বিতরণের ছবি ধারণ করতে গেলে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেছেন।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ভিজিএফ কার্ডধারীর প্রত্যেককে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু কার্ডধারীদের ৯ থেকে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গরিব অসহায়দের না দিয়ে ভিজিএফের কার্ড দেওয়া হয়েছে বিত্তবানদেরও। এমন অভিযোগ চাল নিতে আসা সুবিধাভোগীদের। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছবি ধারণ করতে গেলে মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যার ছেলে বাঁধন ইসলাম সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং ভিডিও ডিলিট করার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেন। পরে ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ জানালে মেয়র তেড়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি করেন। এক পর্যায়ে লাঞ্চিতের স্বীকার হন সিএনআই এর সংবাদকর্মী আব্দুল আওয়াল। এসময় পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সাময়িকভাবে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সংবাদকর্মীরা ফিরে গেলে আবারও চাল বিতরণ করা হয় সুবিধাভোগীদের। মেয়রের এমন উগ্র আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌরবাসী। তারা বলছেন, মেয়রের এমন আচরণ মোটেও আশা প্রত্যাশিত নয়। তিনি মেয়র, গুন্ডা নন। কেউ গন্ডগোল সৃষ্টি করলে তিনি তা সমাধান করবেন। তা না করে মেয়র নিজেই মারামারিতে অংশ নিয়েছেন। তারা আরও বলেন, চাল বিতরণে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি সংবাদকর্মীদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন এতে আমরা পৌরবাসী হিসেবে হতাশ। এ প্রসঙ্গে মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ শুনে দ্রুত পৌরসভায় ছুটে আসি। পরে ১০ কেজি পূরণ করে তালিকাভুক্তদের চাল বিতরণ করা হয়েছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৬২১জন ভিজিএফ কার্ডধারীর জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: