মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪

কালীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন ১ মৃত্যু, আরেকজনের অবস্থা আশাঙ্খাজনক

 


আসাদুজ্জামান সনেট কালিগঞ্জ  প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আক্তার হোসেন নামে এক ভাংড়ি ব্যাবসায়ী নিহত হয়েছে। সোমবার রাত ৮ টায় শহরের আড়পাড়া (নদীপাড়াতে) সংঘর্ষের পর গুরুতর জখম আক্তারকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে  রাত দুইটায় সে মারা যায়। সংঘর্ষে পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেলসহ ৮ জন আহত হয়। তাদেরকে কালীগঞ্জ ও যশোরে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় রাতেই কালীগঞ্জ থানাতে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগে নদিপাড়ার এক শিশু ভাংড়ী ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের দোকানে একটি লোহার জিনিস নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় দেলোয়ারের ছেলে সজীব ওই শিশুকে চড় খাপ্পড় মারলে শুরু হয় বিবাদ। মাগরিবের নামাজ পর বাড়ী ফেরার পথে কয়েকজন যুবক সজীবকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনাটি জানার ঘন্টা খানেক পর স্থানীয় বাসিন্দা পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেল মিমাংশার জন্য কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দেলোয়ারের ভাংড়ির দোকানে যায়। এ সময় সেখানে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এক পষাযে সংঘর্ষে রুপ নিয়ে হামলা পাল্টা হামলায় শফিকুজ্জামান রাসেল, শিপন হোসেন, আক্তার হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ও সজিব হোসেনসহ উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে গুরুতর ৩ জনকে তাৎক্ষনিক যশোর সদরে রেফার্ড করা হয়। রাতেই মুমুর্ষ অবস্থায় আক্তারকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর রাত দুইটায় দিকে সে মারা যায়। ওই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আক্তার ভ্যানে ফেরিকরে ভাংড়ি কিনে বেড়াত।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু আজিফ জানান, সোমবার রাতে শহরের নদীপাড়াতে স্থানীয় দুটি পক্ষের সংঘর্ষে আক্তার নামে এক ভাংড়ী ব্যাবসায়ী নিহত সহ কয়েকজন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে আহত শিমুলের মাতা শেফালী বেগম রাতেই ৮ জনের নামে একটি এজাহার দিয়েছেন। অপর গ্রæপের ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনের নামে একটি মামলা দিয়েছেন। আইনশৃংলা রক্ষার্তে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। আসামীদের আটকে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: