শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৪

বরগুনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, আটক ৩

 


এম এস সজীবঃ বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টায় সংঘর্ষে হিরন গাজী (৫৫) নামের এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষ ঘটে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু।


বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে পুলিশ নিহত হিরন গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত হিরন গাজী আসন্ন আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক ছিলেন। তিনি এক সময় বিএনপি'র রাজনীতি করতেন।


এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বুধবার রাতে আমার কর্মীরা পূর্ব মহিষডাঙ্গায় গণসংযোগ করার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী নয়ন মৃধার নেতৃত্বে পান্নু মৃধা, সোহাগ প্যাদাসহ ৭-৮ জন আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় ছুরিকাঘাতে আমার কর্মী হিরন গাজী নিহত হন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।


এ ঘটনার বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা নির্বাচনে তার পরাজয় বুঝতে পেরে সুপরিকল্পিতভাবে হিরনকে হত্যা করে আমার কর্মী সমর্থকদের উপড় এর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ওই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।


এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় হিরন গাজী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।


এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বরগুনা জেলা প্রসাশক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানান ও ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: