বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রের পাতায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের পিয়ন ও ড্রাইভারদের শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার গল্প থাকলেও, প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ছাড়াই চাকরি গাড়ি মেরামত হেল্পার থেকে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার নজির নেই বললেই চলে। কিন্তু এমন এক নতুন নজির স্থাপন করেছেন সিরাজদিখানের মো: শাহাবুদ্দিন মোল্লা । এ যেন এরাবিয়ান ড্রামা সিরিজ “আলিফ লায়লার আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের চেয়েও অলৌকিক কারবার। মামুলি গাড়ি মেরামত হেল্পার থেকে শত কোটি টাকার মালিক। মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো: শাহাবুদ্দিন মোল্লা ফুলে ফেঁপে ওঠা যেনো জাদুর দৈত্য দানব অথবা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের চেয়েও অভাবনীয় কিছু।
মাত্র কয়েক বছর আগে শূন্য পকেটে সিরাজদিখান থেকে কর্মের সন্ধানে ঢাকায় আসেন শাহাবুদ্দিন মোল্লা। কাজ নেন একটি সরকারি যানবাহন মেরামত কারখানা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গাড়ি মেরামত হেল্পার হিসেবে। মফস্বলের হাবা-গবা মো: শাহাবুদ্দিন মোল্লা কাজ করতে গিয়ে অচেতন বশত একদিন অফিসের একটি গাড়ির ক্যাবল ছিড়ে ফেলেন সেই ভয়ে কয়েক দিন অফিসে যাননি তিনি। সেই ভিতু ছেলেটি অল্প সময়ের ব্যবধানে হয়ে উঠেছেন শত কোটি টাকার মালিক। এই অল্প সময়ের ব্যবধানে অবৈধ আয়ে অর্জিত টাকার শক্তিতে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন রাজধানী ঢাকায় এবং নিজের গ্রামে
কিভাবে? কি জাদু আছে মো: শাহাবুদ্দিন মোল্লার ঝুলিতে? তার সাথের ঘনিষ্ঠজনদের বর্ণনার সূত্র ধরে সংবাদ মাধ্যমের অনুসন্ধান বলছে, ছলচাতুরি করে সরকারি যানবাহন মেরামত কারখানার বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে তিনি অর্জিত করেছেন শত কোটি টাকা। দেন সরকারি গাড়ি বাইরের লোকের কাছে ভাড়া, যারা ভাড়া নিয়ে করেন ইয়াবা এবং অস্ত্র পাচারের মত কাজ। তার এসব দুই নাম্বারী ও অবৈধ পথের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহায়তাকারী সেলিম। যিনি গত বিএনপি সরকারের আমলে নেতা হিসেবে কাজ করতেন। এর সহয়তায় দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করছে, সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে মূলত তিনি শূন্য থেকে অবৈধ সম্পদের পাহাড় জমিয়েছেন।
জানা গেছে, তার টাকা আয়ের মন্ত্র হিসাবে কাজ করেছে সন্ত্রাসী সেলিম বাহিনী অবৈধভাবে জমি দখলের যোগসাজসে অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি। বর্তমানে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রয়েছে বাড়ী, প্লট এবং ফ্ল্যাট থেকে গুরু করে সিরাজদিখান নিমতল কোটি কোটি টাকার জমি একাধিক বাড়ি এবং নগদ অর্থ। এক সময় বিএনপি’র ঘনিষ্ঠ সহচর এসব অবৈধ কার্যক্রমকে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে নিয়েছে শাহাবুদ্দিন মোল্লা। আর এসব অবৈধ আয়ের শাহাবুদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই ক্ষমতাসীন দলের লোক দিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন।
এসব বিষয় জানতে শাহাবুদ্দিন মোল্লার সরকারি যানবাহন মেরামত কারখানা অফিসে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে ফোন রিসিভ করেননি, তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কোন জাদুর কঠির ছোঁয়ায়? সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামান্য গাড়ি মেরামত হেল্পার শাহাবুদ্দিন মোল্লা এত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে আছেন বহাল তবিয়াতে! দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যসহ বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে….
0 coment rios: