রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় মা-ছেলের কারাভোগ

 


চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি মোবাইল ফোনে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্দীপের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছিল ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাস। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করতে মাকে সঙ্গে নিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে আসে প্রাণ কৃষ্ণ দাস। বিয়ে শেষে ফেরার সময় বাঁধে বিপত্তি। ঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে তারা। তারপর ঠাঁই হয় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে।প্রাণ কৃষ্ণ দাসের মা কাজলী দাস বলেন, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দালাল চক্রের মাধামে যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মা-ছেলে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপে গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায়। বউকে বাংলাদেশে রেখে বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ৭ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের কাছে আটক হয়। এরপর সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।

ভারতের দক্ষিন-চব্বিশ পরগনা জেলার ফুলতলি থানার মথুরানগর কলোনি লস্করপাড়া প্লটের বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ দাস পেশায় একজন মৎসজীবী।

প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, বিনা পাসপোর্টে দালালদের মাধ্যমে কেউ যেন আমাদের মতো ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণ না করে। আমরা যে ভুল করেছি। যার জন্য প্রায় ৫ মাস জীবন থেকে ঝরে গেল। এমন ভুল যেন কেউ না করে।অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ দিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল চার মাস ২১ দিন। কারাভোগ শেষে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিভাবে হস্তান্তর করা হয় মা ছেলেকে। এ সময় ভারতের সিনিয়র সিটিজেন গেদে ল্যান্ড পোর্ট সোসাইটির সভাপতি দীনু বন্ধু মহলদার বলেন, দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আরো তৎপর হলের সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব।

২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দালাল চক্রের মাধামে যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মা-ছেলে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপে গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায় মা কাজলী দাস। বউকে বাংলাদেশে রেখে বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ৭ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের কাছে আটক হয়। এরপর সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত। ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর সাজার মেয়াদ শেষ হলে মুক্তি পায় তারা। কিন্তু দুদেশের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জটিলতায় ৪ মাস ২১ দিন কারাভোগ করতে হয় তাদের।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মন মোহন, হাবিলদার সাফার উদ্দিন, ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, দর্শনা থানার এসআই টিপু সুলতান, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, এএসআই মোমিন প্রমুখ।ভারতের গেঁদে বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি বিতাশি, এসআই পি মুখার্জি, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত মন্ডল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই শামসুর রহমান, ডিআইবি সাধন মন্ডল, গেদে ল্যান্ড পোর্ট সোসাইটির সভাপতি দীনু বন্ধু মহলদার প্রমুখ।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: