শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

একদিকে যুদ্ধ বিরতি আলোচনা অন্যদিকে গণহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: দখলদার ইসরাইলি গাজায়যুদ্ধ বিরতির জন্য মিশরের কায়রোতে হামাস নেতাদের সাথে বৈঠক করত থাকলেও গাজা ভূ-খন্ডে মুহুর মুহুর হামলা অব্যাহত রেখেছে। গতকালও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পশ্চিম গাজা ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। রাফা শহরের সর্বত্র ইসরাইলি বাহিনী একদিকে বিমান হামলা অন্যদিকে ইহুদী সেনাদের তল্লাশি অভিযান সব মিলে রাফা এক বিচ্ছিন্ন আতঙ্কিত শহরে পরিনত হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আবারও নতুন ভাবে রাফা অভিযানের অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে গত একমাস পূর্বে ইসরাইলি সেনা বাহিনী রাফা অভিযান শুরু করে এ সময় দেশটির যুদ্ধ কালীন মন্ত্রীসভার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে রাফা অভিযান অনুমোদন করা হয়। রাফা অভিযান অনুমোদনের পর বিশ্বময় চরম প্রতিক্রিয়ায় সৃিষ্ট হয়, মধ্য গাজা, উত্তর পশ্চিম, দক্ষিন খান ইউনিস, রামাল্লা, জেরুজালেম সহ বিভিন্ন শহর ও এলাকা হতে বিতড়িত ও বাঁচার আশ্রয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি উন্নত ও সমৃদ্ধ মিশরীয় সীমান্তসংলগ্ন রাফা শহরে অবস্থান গ্রহন করে যে কারনে রাফায় সামরিক অভিযান তথা বিমানহামলা পরিচালনা করলে শহরটি নিশ্চিত মৃত্যুপুরীতে পরিনত হবে। বিশ্ব নেতৃত্বের আহবানে রাফা অভিযান সীমিত করলেও দৃশ্যতঃ হত্যা আসেনি, রোজার শুরুর পূর্ব হতে রোজা শুরুতে আবারও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রাফায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে বর্তমান সময় গুলোতে রাফায় চলছে দৃশ্যতঃ গণহত্যা, এদিকে দখলদার বাহিনী ইসরাইলের সাথে হামাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব অনেকদুর এগিয়েছে বলে জানাগেছে। গতকাল আল জাজিরা, রয়টার্স সহ অপারাপর মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হয়েছে হামাস ও ইসরাইল ইতিমধ্যে যুদ্ধ বিরতির অত্যন্ত কাছাকাছি অবস্থান করছে। ইসরাইলের একটি প্রস্তাবতা যাহাতে ইসরাইলের কারাগারে আটক হামাসের সাত থেকে আটশত যোদ্ধাকে মুক্তিদেবে বিনিময়ে হামাসের হাতে পন বন্দীদের মুক্তি দেবে হামাস। উত্তরাঞ্চালের ভূমিতে ফিলিস্তিনিদের ফিরতে পারবে তবে এক্ষেত্রে কেবলমাত্র নারীরাই ফেরবেন। এমন চুক্তি ও সম্মতিসূচক পত্র ইসরাইল হামাসের হাতে পৌছে দিয়েছে আগামী তিন দিনের ব্যবধানে হামাস কে তাদের মনোভাব বা সম্মতি জানানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে একাধিক যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব বৈঠক বাতিল হয়েছে অথবা সিদ্ধান্তেপৌছাতে পারেনি তার কারন হলো হামাস চাইছে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি এবং গাজা ভূ-খন্ড ইসরাইলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার অথচ ইসরাইল সরকার এতোদিনে হামাসের এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় বন্দী মুক্তি ও যুদ্ধ বিরতি আলোর মুখ দেখেনি। ফিলিস্তিনিদের মাঝে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক দলের সদস্যরা ত্রান বিতরন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও রোজার দিন গুলোতে ইফতারি ও রমজান সামগ্রী বিতরনকালে কয়েক দফায় উক্ত বিতরন কার্যক্রমের উপর বিমান হামলা ও গুলিবর্ষন পরিচালনা করলে দুই দফায় পয়ত্রিশ জনের অধিক অসহায় রোজাদার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হওয়ায় বর্তমান সময়ে ইফতারী সামগ্রী গ্রহনের পূর্বে যথাযথ পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষন করেই না তবে ইফতারী গ্রহন করতে চলেছে ফিলিস্তিনিরা। এদিকে গতকাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে বিমানহামলা শুরু করেছে উপত্যকার আলমুনসুর, আল আযাল, আলসিফা হাসপাতালে ব্যাপক বিমানহামলা পরিচালনা করেছে। হাসপাতালগুলোতে রোগী এবং চিকিৎসক উভয় কে গ্রেফতার করছে। গাজা বর্তমান সময়ে চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারে। ঘরে ঘরে প্রান্তরে, প্রান্তরে সর্বত্র দুর্ভিক্ষের ছবি এবং দখলদার ইসরাইলি বাহিনীই গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির প্রধানকারন অভূক্ত থেকে রোজা পালন করছে ফিলিস্তিনিরা এবং প্রতিমুহুর্তে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: