শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

তাহিরপুরে শনি মাঠিয়ান হাওরে শত শত একর জমি কোল্ড ইনজুরিতে কৃষকের দুশ্চিন্তার শেষ নেই

 


তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ধানখেতে সবেমাত্র শিস বের হয়েছে। কিন্তু খেতের চারা সম্পুর্নরুপে সাদা হয়ে যাচ্ছে । এই দৃশ্য তাহিরপুর  উপজেলার শনি মাঠিয়ান  হাওর পারের  কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তাঁরা বলছেন, সব ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে।এভাবে যদি চিটা হতে থাকে তাহলে আমরা কৃষকরা সারা বছর কি খাব।জমিতে কীটনাশক ছিটিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।উপজেলা কৃষি অফিস বলছে কোল্ড ইনজুরি তাই ধানের শিস বেড় হওয়ার সময় সাদা হয়ে চিটা হচ্ছে। 


শনিবার মাঠয়ান ও শনির হাওরে ঘোরে দেখা যায় প্রায় খেতেই চারা সাধা হয়ে চিটা হওয়ার দৃশ্য।


শনিরহাওর পারের কৃষক শাহিন মিয়া সহ অন্যান্ন কৃষকরা জানান,হাওরের কৃষকেরা সবসময়ই অকাল বন্যার আতঙ্কে  থাকেন এ কারনেই কৃষকেরা সাধারণত আগাম জাতের ধানের দিকে ঝুকে থাকেন।দেশীয় জাতের ধান ফলনে কম হওয়ায় উচ্চ ফলনশীল দান চাষ করে থাকেন কৃষকেরা।কিন্তুু এই বৎসর উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করেছি কিন্তু অধিকাংশ জমিতে দেখা যাচ্ছে শিস বেড় হবার সাথে সাথে চারা সাধা হয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে।আমরা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় খেতে কীটনাশক দিচ্ছি কিন্তু তাতে কোন কাজ হচ্ছে না এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকরা  ফসল হানীর আশংকা করছেন।


মাঠিয়ান হাওর পারের কৃষক সামায়ুন মিয়া বলেন আমার চার কিয়ার জমির মধ্যে এবৎসর হাইব্রিড ৭৪/ বি ৬৭/ ব্রাক ৭৭৭ ধান রুপন করি কিন্তু দেখা যাচ্ছে শিস বেড় হবার সাথে সাথে সাদা হয়ে যাচ্ছে এটা শুধু আমার জমিতে নয় প্রায় সবার জমিতে এমনটা দেখা যাচ্ছে এভাবে যদি চিটা হতে থাকে তাহলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে যাবে। 


এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহীমা বেগম বলেন কোল্ড ইনজুরির কারনে ধানের ফুল বের হওয়ার সময় সাদা হয়ে যাচ্ছে যাহা পরে চিটা হতে পারে আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।


তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান উদ দৌলা বলেন,  ঠান্ডা কিংবা গরমের কারনে এমনটা হতে পারে। আমাদের মাঠ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠে আছেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের যে কোন সমস্যা নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা তাদের সার্বিক  সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: