এস এম মাসুদ রানা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক শিশু। অস্বাভাবিক হওয়া শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবার। শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে বিরামপুর মডান ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম দেন নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুড়িয়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক মাহফুজুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। দুটি সন্তানের মধ্যে একটি স্বাভাবিক হলেও অপর শিশুটি মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় শিশুটিকে কোনো কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। এদিকে শিশুটির সুস্থ্যতা কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছে পরিবার।
শিশুর নানি আক্তারা বেগম বলেন, বিকেলে বিরামপুরে সিজারের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে এক মেয়ে শিশু সুস্থ আছে। অপরটি শিশুটির একটি পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। পাশাপাশি তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা নেই। তাকে রাতে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশুটির সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি।
এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফজলে রাব্বী বলেন, রাতে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন বর্তমানে সুস্থ আছে। কিন্তু তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় আপাতত কোন ধরনের খাবার দেয়া হচ্ছে না। শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যদি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো হয় তাহলে এনাল ওপেনিং সার্জারির মাধ্যমে মলদ্বার চালু করা সম্ভব হবে। ইতিপূর্বে এই হাসপাতালে সার্জারির মাধ্যমে বহু মলদ্বার চালু করা হয়েছে। কিন্তু শিশুটির প্রসাবের রাস্তা চালুর বিষয়ে সংশয় রয়েছেন তিনি।
এদিকে বুধবার রাতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। ভবিষ্যতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, শিশুটির জন্মের পর পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিশুর পরিবারকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শিশুর সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
0 coment rios: