রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

মহাসড়কে কোন যান যট থাকবেনা, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির- ডিসি বগুড়া

মহাসড়কে কোন যান যট থাকবেনা, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির- ডিসি বগুড়া

মাসুম বিল্লাহ,বগুড়া প্রতিনিধি: ঈদে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি ও গলার কাটা হয়ে দাড়ায় মহাসড়কের যানযট। এই মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ। আসন্ন ঈদুল ফিতরে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতিমধ্যে শেরপুর উপজেলার ৬টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এসকল স্থানে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্য থাকবেন বলে জানিয়েছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে গাড়িদহ ইউনিয়নের দশমাইল হতে সিমাবাড়ী ইউনিয়নের চান্দাইকোনা পর্যন্ত হাইওয়ে মহাসড়ক পরিদর্শন করে ধুনটমোড় এলাকায় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। 

জানা যায়, এবার অনেকটা স্বস্তিতেই মানুষ ঘরে ফিরতে পারে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ৬টি স্থান নির্ধারণ করেছেন। স্থানগুলো হলো- মির্জাপুর ওভারপাস, ছোনকা বাজার, ঘোগা বটতলা, ঘোগা ব্রিজ, ফুড ভিলেজের সামনে, পেন্টাগন হোটেলের সামনে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন ঘোগা ব্রিজ ও ছোনকা বাজার। ঝুঁকিপূণ স্থানে রাত-দিন অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে। যাতায়াতের স্বস্তি ফেরাতে এসকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

চালক ও যাত্রীরা বলেন, ‘বিগত দিনের চেয়ে এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো। বগুড়া পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। ঈদের আগে মেরামত করা হলে যানজট হবে না।’

শ্যামলী পরিবহনের চালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, শেরপুর উপজেলার বিশেষ করে ঘোগা ব্রিজ ও ছোনকা বাজার মির্জাপুর এলাকা পর্যন্ত ঈদযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। মহাসড়কের এসকলস্থানে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট থাকবে না।’

বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সকল তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো আগামী ৪ মার্চের মধ্যে সংস্কার করে দেওয়ার কথা দিয়েছেন। ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।” এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট) সার্কেল সজীব শাহরীন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জামাল সিরাজী, পৌর মেয়র জানে আলম খোকা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম, শেরপুর থানা অফিসার রেজাউল করিম, শেরপুর ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, শ্রমিক নেতা সেলিম রেজা, কারিমুল ইসলাম প্রমুখ।

যমুনার দুর্গম চরে বাদাম চাষ

যমুনার দুর্গম চরে বাদাম চাষ

রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরে এ বছর প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করা হচ্ছে। প্রতি বছরই উপজেলার দুর্গম চর এলাকা বলে পরিচিত কৈজুরি, সোনাতুনী, গালা ও জালালপুর ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরে বাদামের চাষ হয়। এছাড়া পোতাজিয়া ও রূপবাটি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কিছু জমিতেও বাদাম চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় মাকড়া, বানতিয়ার, ছোট চামতারা, বড় চামতারা, কুরশি চরাঞ্চল ও রাউতারা, শেলাচাপড়ির বাদাম চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। যমুনা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে চাষিদের বাড়তি খরচ নেই বললেই চলে। তাই দিনদিন যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ক্রমেই ঝুঁকছে চাষিরা। স্থানীয় বাদাম চাষিদের ভাষ্যমতে, ‘চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে বাদামের ফলন বেশ ভালো হচ্ছে। সেচ ও নিড়ানি ছাড়াই স্বল্প খরচে বাদামের জমিতে সামান্য সার ও কীটনাশক প্রয়োগে ফলন বেশ ভালো পাওয়া যায়। বাজারে বাদামের চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছে চাষিরা। ফলে গত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষিরা একে অপরের দেখাদেখিতে লাভজনক বাদাম চাষের দিকে বেশি ছুঁকছে বলে মনে করেন অন্যান্য কৃষকেরা।

  



শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে শাহজাদপুর যমুনার চরে বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৫ মন বাদাম উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে এবং বাদাম চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। অন্যদিকে, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও বেশি জমিতে বাদাম চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় চাষিরা। এদিকে বাদামের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বেশ খুশি।

খুলনার দাকোপে এইচ বিবি রাস্তার উদ্বোধন

খুলনার দাকোপে এইচ বিবি রাস্তার উদ্বোধন

 


 স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান: খুলনার দাকোপের সুতারখালী ও কামার খোলা 

ইউনিয়নে নির্মিত হরিংবোনবন্ড (এইচবিবি)প্রকল্পের রাস্তার উদ্বোধন করা হয়েছে। ৩১ মার্চ রোববার সকাল ১১ টারদিকে ওই রাস্তা দু,টির শুভ উদ্বোধন করেন খুলনা -১ আসনের সংসদ সদস্য ননীগোপাল মন্ডল। গ্রামীণ জনপদ  টেকসইকরণেরলক্ষে হেরিংবোনবন্ড।

দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্হাপণা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এই রাস্তা নির্মান করা হয়েছে।উপজেলা পিআইও'র 

কার্যলয় সূত্রে মতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এইচ বিবি প্রকল্পের আওতায় সুতারখালী ইউনিয়নের গুনারী খোকন হালদারের বাড়ী হতে পীপঙ্কর মন্ডলের বাড়ী পযন্ত ১ হাজার ৫০০ মিটার ও কামারখোলা ইউনিয়নের সিমানা হতে গুনারী গোড়া পযন্ত ১হাজার ৫০০ মিটার ইটসোলিংএর তিন কিলো মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। যারব্যয়ধরাহয়েছে। ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা।

উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি স্হানীয়  সদস্য সদস্য ননী গোপাল মন্ডল। এই সময় তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন এর প্রতিক হিসাবে বিশেষ করে টেকসই উন্নয়নে বর্তমান সরকার খুব তৎপর। যা বিগত কোন সরকার করেনাই, এর সুফল জনগণ যুগেযুগে পেতে থাকবে এ সময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল কাদের,উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক অনিন্দ্র কুমার দাশ,সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুমআলী ফকির,অসিত সাহা গাজী সাইফুল ইসলাম, সহ আরো অনেকে।

বোরহানউদ্দিনে সোনালী লাইফ মেট্রোর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বোরহানউদ্দিনে সোনালী লাইফ মেট্রোর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

 


ইকবাল হোসেন, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ দেশের সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড ভোলার বোরহানউদ্দিন গ্রুফ অফিসের উদ্যোগে  ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩১মার্চ) বোরহানউদ্দিন পৌর বাজারের ফুড পার্ক চাইনিজে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সোনালী লাইফ বাংলাবাজার মেট্রো অফিসের ইনচার্জ     মোঃআশরাফ ফারুক এর সভাপতিত্বে ও মোঃ মাকসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ইউনিট মেনেজার মোঃ সবুজ, মোঃ কামাল হোসেন,ও মোহাম্মদ রিয়াজ প্রমুখ।

দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন  এ বি এম সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের ফিন্যান্সিয়াল এসোসিয়েট গন

ডোমারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

ডোমারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

 

সাহিদুল ইসলাম,নীলফামারী প্রতিনিধি: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নীলফামারীর ডোমারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়েছে।


রবিবার (৩১শে মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত ঢেউটিন ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার।


সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপির সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনজুরুল হক চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মাবুদ প্রমুখ।


এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মাবুদ বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের মধ্যে প্রতি পরিবারকে দুই বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ছয় হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

ঈদগাঁও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়যে বার্তা দেয়া হল

ঈদগাঁও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়যে বার্তা দেয়া হল

 


রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার: উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা রবিবার (৩১ মার্চ)  ঈদগাঁওতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ঈদগাঁও, সুবল চাকমা। এতে আলোচনা করেন ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা, ইসলামাবাদ চেয়ারম্যান মোঃ নুর সিদ্দিক, আলমাছিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হেফাজত উল্লাহ নদভী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার শামসুল হুদা, প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ ইলিয়াস মিয়া, শিক্ষক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক রিফাতুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্টরা। সভায় বিগত মাসের উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।

এতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে মতামত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হয়। 

অন্যদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ হারুন উর রশিদ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (অঃ দাঃ) মোঃ সাইফুর রহমান, উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, মেহেরঘোনা বিটের বিট কর্মকর্তা কে, এম, ফিরোজ কবির, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপন বড়ুয়া,  বিএডিসি (সেচ) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী শওকত আলী সবুজসহ উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্যরা।

শেষে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি ও উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আমাদের সীমাবদ্ধতা ও ব্যার্থতার কারনেই নয় বছর আগে  ইতালিতে  বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো ।  সাজ্জাদুল হাসান ( এম পি )

আমাদের সীমাবদ্ধতা ও ব্যার্থতার কারনেই নয় বছর আগে ইতালিতে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো । সাজ্জাদুল হাসান ( এম পি )

 

জাকির হোসেন সুমন,  ব্যাুরো প্রধান ইউরোপ  : বিদেশে প্রবাসীরা বাংলাদেশের দূতের দায়িত্ব পালন করছেন। আপনারা যতো পরিশ্রম এবং আন্তরিকতা দেখাবেন ততবেশি সার্থকতা আসবে। ভেনিসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অথিতির ভাষনে এ কথা বলেন  বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির চেয়ারম্যান   সাজ্জাদুল হাসান  ( এমপি) । 

গতকাল শনিবার, ভেনিসের বাংলাদেশী অধ্যুষিত মেসত্রের ঢাকা বিরিয়ানি হাউজে  'মিট দ্যা প্রেস' শিরনামের ব্যানারে ইফতার আয়োজন করা হয়। এ সময় ঢাকার সিভিল এভিয়েমন এবং ট্যুরিজম সচিব এমডি মোকাম্মেল হোসেন ও বিমানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শফিউল আজিম ,  জাতীয় প্রেসক্লাবের  সাধারণ সম্পাদক  শ্যামল দত্ত , ৭১ টেলিভিশনের  মোজ্জাম্মেল বাবু সহ  ঢাকা থেকে আগত কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং কম্যুনিটির ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


সাজ্জাদুল হাসান  ( এম পি )  আরো বলেন , মাননিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবসে ইতালির প্রবাসীদের ঢাকা-রোম রুটের ফ্লাইট উপহার দিয়েছেন। রোমের পরে ভেনিস এবং নাপোলিতে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী থাকেন। আপনাদের দাবি অনুযায়ী এই দুই শহরের সাথে বিমানের কানেকটিভিটি তৈরীর উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করবো।

ব্যানারে মিট দ্যা প্রেস লেখা থাকলেও মূলত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হয়নি।  ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইতালির  সভাপতি  জাকির হোসেন সুমন  বিমানের ফ্লাইট নিয়ে কথা বলতে চাইলে ইতালি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক  আলমগীর হোসেন  বাধা প্রদান করেন,  পরে প্রধান অতিথি সাজ্জাদুল হাসান  ( এম পি) প্রশ্ন  করতে বল্লে সাংবাদিক জাকির হোসেন সুমন বলেন ,  ভেনেতো বিভাগে  প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশী বসবাস করছে।  তাদের সকলের দাবী সপ্তাহে অন্তত ১ টি ফ্লাইট  ভেনিস টু ঢাকা  দেয়া যায় কিনা।   প্রধান অতিথি জবাবে বলেন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।    তবে ইফতারি শুরুর ১৫/২০ মিনিট আগে অতিথিরা এসে উপস্থিত  হওয়ায় সময় সংক্ষেপের কারনে ভেনিস ও আশপাশের শরর হতে আগত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ,  রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ,  সাংবাদিক ও ট্রাভেল এজেন্সির  নেতৃবৃন্দ  কথা বলতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন। তবে বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ প্রত্যাশা করেন উত্তর ইতলিতে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের দাবী দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

গণ সংযোগে ব্যস্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ যুবরাজ

গণ সংযোগে ব্যস্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ যুবরাজ

 


স্বপন কুমার রায়: খুলনার দাকোপের উপজেলা নির্বাচনে আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ উপজেলার সর্বত্র মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রতিটি পাড়া -মহল্লায় উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা পরিচয় সভা,নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত শেখ যুবরাজ।

প্রতিটি এলাকায় প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটার নেতাকর্মী সাধারণ মানুষও প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে।উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতিও লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্বশেখ  শেখযুবরাজ। এ সময় তিনি বর্তমান সরকারে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, উপজেলা পরিষদের আগামী উন্নয়ন ভাবনা ও পরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরছেন। এ ধরনের গণসংযোগের ফলে প্রতিটি এলাকায় উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ- সভাপতি  শেখ যুবরাজ তার নিজস্ব নানা কৌশলে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলার কামারখোলা ও কৈলাশ গজ্ঞ ইউনিয়নের দোলখোলা প্রাঙ্গন ও প্রতিটি গ্রাম পাড়া মহল্লায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছন 

এসময় তার সাথে উপস্হিত ছিলেন তার ভাই টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা মেয়র শেখ তোফাজ্জেল হক টুটুল, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও কৈলাশজ্ঞ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মন্ডল,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ও বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানস কুমার রায়,সাবেক চেয়ারম্যান সঞ্জয় মোড়ল,সাবেক চেয়ারম্যান সমারেশ রায়,,কামাখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিমাংশু রায়,ইউ, পি সদস্য স্বপন  মন্ডল।

 লাউডোব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও প্যানেল চেয়ারম্যান নিহার মন্ডল,যুবলীগনেতা তন্ময় রায়,,রাসেল রনী,  গাজী সাহবউদ্দিন, চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদ, নিহার মন্ডল, বাসুদেব রায়, মির আব্দুল হক, রসুল গাজী, নিতাই জোয়ার্দার, , মোস্তফা মোল্লা, আয়ুব আলী সানা, পুলক মন্ডল, পবন মাঝি, আলী সানা, খোকন সানা, হরিপদ হালদার, মো: সেলিম, শেখর মন্ডল সহ আরো অনেকে।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

প্রার্থী শেখ যুবারাজ বলেন,, উপজেলা পরিষদ হচ্ছে জনগনের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। ফলে বর্তমান সরকারে উন্নয়নের সব কার্যক্রম উপজেলা ভিত্তিক হলে জনগণ উপকৃত হবে। সৎ আর্দশ মানুষ নির্বাচিত হলে জনগণ ভালো সেবা পাবে। তাই জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই।

জেলায় জেলায় দু:স্থ ও অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করলেন আইজিপি

জেলায় জেলায় দু:স্থ ও অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করলেন আইজিপি

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম : রমযান মাসটা তো প্রায় শ্যাষ। কেউ কিচ্ছু দেয় নাই। আজ পুলিশ আসি মেলা কিছু দেইল। ঈদ পর্যন্ত ভালোই চলবে। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন, কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পুরাতন সিএন্ডবি ঘাটের ধরলা নদীর অববাহিকার দিনমজুর রহিম মিয়া (৫৫)। তিনি বলেন, বর্তমান কাজও কম, একদিন কাজ হয়, একদিন নাই। সংসারে ৫-৬ জন সদস্য সংসার চালা খুব মুসকিল হইছে বর্তমান। এই কষ্টের সময় চাউল,ডালসহ মেলা কিছু দিল পুলিশ। এগলা প্যায়া খুব ভালো হইছে। আমরা সবাই খুব খুশি। 


আমিনা বেওয়া (৬০), নামের এক বৃদ্ধা নারী বলেন, মুই ভিক্ষা করি খাং। মোর কাইও নাই সংসারে। আজ পুলিশের মেলা খাবার পানু। ঈদ পর্যন্ত মোর আর চিন্তা নাই, খাওয়া নিয়্যা।


 শনিবার (৩০ মার্চ)  বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর অববাহিকাসহ জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।


এসব অসহায় মানুষের জন্য ইফতার সামগ্রী হিসেবে একটি পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগে ছিল  ৫ কেজি বাসমতি চাল, ১কেজি মসুর ডাল, দেড় কেজি ছোলা, ২লিটার সয়াবিন তেল, ১কেজি চিনি, ১প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই ও ২টি প্যাকেট পাউডার দুধ।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সদস সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওহিদ্দুরনবী, সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বানিউল আনামসহ অন্যন্য পুলিশ সদস্যরা। 


কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিবছরই ঢাকায় একটি বড় ইফতার পার্টির আয়োজন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি না করে দু:স্থ ও অসহায়দের পাশে থাকতে বলেছেন। তাই আইজিপি স্যার বাংলাদেশ পুলিশের ইফতার আয়োজন না করে তা বিভিন্ন জেলার অসহায় ও দু:স্থদের মাঝে বিতরণ করতে বলেছেন। সেই উদ্যোগে আজ আমরা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় একদম অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে রমজান মাস উপলক্ষে উন্নত মানের  একটি প্যাকেজ ইফতার সামগ্রী ১৫০ জনের মাঝে বিতরণ করতে পারায় ধন্য মনে করছি। এমন পরার্থপর মানবিক কাজ আমরা এর আগেও অনেকবার করেছি। বাংলাদেশ পুলিশের এমন কাজ আগামীতে অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

লালমোহনে ক্রেতাদের পদচারণায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার

লালমোহনে ক্রেতাদের পদচারণায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার


মুশফিক হাওলাদার বিশেষ  প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের ঈদের বাজার। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে জামা-কাপড়ের দোকানগুলো। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলছে এ ব্যস্ততা। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের মধ্যে চলছে পছন্দের পোশাক কেনাকাটা। যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীদের উপস্থিতিই বেশি। ১৫ রমজানের পর থেকে জমতে শুরু করে ঈদের শপিং।

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, নারী ও শিশুদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঈদ মার্কেটে এ বছর বেশি চাহিদা আলীয়া কার্টিন, সারারা-গারারা থ্রি পিস, নায়রা কাট ড্রেস, টু-পিস কামিজ-সেলোয়ার, গাউন ও বিভিন্ন ব্রান্ডের শাড়ি। এছাড়া পুরুষদের চাহিদা বেশি পাঞ্জাবিতে। কেবল পৌরসভার দোকানগুলোই নয়, এরইমধ্যে জমে উঠেছে গ্রাম-গঞ্জের হাঁট-বাজারগুলোও।

লালমোহন পৌরসভার হাইস্কুল সুপার মার্কেটের মেসার্স মারুফ ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী  মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, এ বছর ঈদ উপলক্ষে বেচা-কেনা অনেক ভালো। তবে পোষাকের দাম একটু বেশি। যা নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে অনেক দামাদামি করতে হয়। যে জন্য অল্প লাভেই পোষাক বিক্রি করছি।

ঈদ উপলক্ষে পোশাক কিনতে আসা মায়া, মমতা  ও হাফছাসহ কয়েকজন নারী ক্রেতা জানান, পোষাকের দাম আগের তুলানায় অনেক বেশি। কোনো পোষাক পছন্দ হলেই দোকানদাররা আকাশ ছোঁয়া দাম চাচ্ছেন। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই দোকানদারদের নির্ধারিত মূল্যে পছন্দের পোষাক কিনতে হচ্ছে।

লালমোহন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড থেকে হাইস্কুল মার্কেটে ঈদ শপিং করতে আসা মো. রুবেল হাওলাদার  বলেন, নিজের পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য শপিং করতে এসেছি। রোজার শেষের দিকে মার্কেটে অনেক ভিড় থাকবে, এজন্য একটু আগেভাগে এসেছি। বিভিন্ন দোকান ঘুরে যতটুকু মনে হয়েছে; বিগত বছরের চেয়ে এবছর পোষাকের দাম অনেক বেশি। তবুও ঈদ উপলক্ষে নিজের সাধ্যের মধ্যে যা পাওয়া যাচ্ছে তাই কিনছি।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমাদের থানা পুলিশের কয়েকটি টিম নিয়মিত কাজ করছে। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আমরা সচেষ্ট রয়েছি। এরপরও যদি কোথায়ও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদেরকে জানানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে।

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ভুল করেছেন: উপাচার্য

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ভুল করেছেন: উপাচার্য


আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবি না করে ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার। আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন শিক্ষার্থীরা আজকে পরীক্ষা বর্জন করেছে। কিন্তু আমরা বলেছি পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা হয়েছেও। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কেউই পরীক্ষা দিতে আসেনি, তারা অনুপস্থিত ছিল। তবে তারা বর্জন না করে স্থগিতের আবেদন করলে আমরা সেটি বিবেচনা করতাম। তাদের উচিত ছিল পরীক্ষা পেছানোর দাবি করা। শিক্ষার্থীরা এখানেও ভুল করেছে।’

এই পরীক্ষা আবার নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আবেদন করলে সেটি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিল, সেটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের পদত্যাগের যে দাবি সেটি হবে না। কারণ উনার কোনো গাফলতি ছিল না।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘কোনো তদন্ত না করে যদি কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সেই শাস্তি কোর্টে গেলে টিকবে না। আবার এই তদন্তের পর ছাত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দিতে হবে। সব কিছু নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে। নিয়মের বাইরে আমরা কিছু করতে পারব না। এজন্য একটু সময়ও প্রয়োজন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেভাবে বলছে সকাল ৯টার মধ্যে বা ১২টার মধ্যে—এটি তো সম্ভব না।’

উপাচার্য বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ অবশ্যই অনভিপ্রেত। শিক্ষার্থীদের দাবি অবশ্যই যৌক্তিক। কারা ঢুকেছে ও কারা ঢুকতে সহযোগিতা করেছে, সেটি শনাক্ত করতে সময় লাগবে। আমাদের তো সেই সময় দিতে হবে। কেন সেদিন বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হলো, সেটি নিয়ে আমরা সিকিউরিটি কর্মকর্তাকে চিঠি দেব। তাদের তো ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি। সিকিউরিটি গার্ডদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব।’

শিক্ষার্থীদের দাবির পর ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের উপাচার্য।

ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অপূর  সৌন্দর্য প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ

ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অপূর সৌন্দর্য প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ

 


 মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,   ঠাকুরগাঁও জেলা  শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই চোখে পড়বে অপূর্ব সৌন্দর্য আর দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ। অপরূপ নকশা সম্বলিত মসজিদটি এখনও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ টি উপজেলায় ছড়িয়ে থাকা অনেক পুরাকীর্তির মধ্যে ২৪০ বছরেরও অধিক পুরাতন জামালপুর জমিদার বাড়ির এই মসজিদটি অন্যতম। এর নির্মাণশৈলী ও অপূর্ব কারুকাজ মুগ্ধ করে যে কোনো মানুষকে। ১৭৮০ শতাব্দীতে মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন জমিদার আব্দুল হালিম চৌধুরী। জামালপুর চৌধুরী পরিবার সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম বাংলার তৎকালীন উত্তর দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট মহকুমার রায়গঞ্জ থানার বারোর পরগনা তাজপুর গ্রামে পীর বংশে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল হালিম। ১৭৬৫ শতাব্দীর দিকে আব্দুল হালিম কাপড়ের ব্যবসার উদ্দেশ্যে তাজপুর থেকে বসন্ত নগরে আসেন। যার বর্তমান নামকরণ করা হয়েছে জামালপুর এবং সেখানে তিনি বসতি স্থাপন করেন। আব্দুল হালিম চৌধুরী ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে তার রাজ প্রাসাদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। রাজ প্রাসাদের দ্বিতীয় তলার নির্মাণকাজ চলাকালীন ১৭৮০ দশকে ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহবাদ থেকে মিস্ত্রি এনে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। আব্দুল হালিম চৌধুরীর মৃত্যু হলে জমিদারি পান তার ছেলে রওশন আলী চৌধুরী। পরে রওশন আলীর মৃত্যু হলে তার ছেলে জামাল উদ্দীন চৌধুরী জমিদারির দায়িত্বভার বহন করেন এবং মসজিদ নির্মাণকাজ চলমান রাখেন। জামাল উদ্দীন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার ছেলে নুনু মোহাম্মদ চৌধুরী ১৮০১ দশকে মসজিদটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। মসজিদটি নির্মাণ করতে চার পুরুষের প্রায় ২১ বছর সময় লাগে। 

মসজিদ অঙ্গনে প্রবেশমুখে বেশ বড় সুন্দর একটি তোরণ রয়েছে। মসজিদটির শিল্পকলা দৃষ্টিনন্দিত, মনোমুগ্ধকর ও প্রশংসাযোগ্য। মসজিদে বড় আকৃতির তিনটি গম্বুজ আছে। গম্বুজের শীর্ষদেশ পাথরের কাজ করা। এই মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো মিনারগুলো। মসজিদের ছাদে ২৪টি মিনার আছে। একেকটি মিনার ৩৫ ফুট উঁচু এবং প্রতিটিতে নকশা করা রয়েছে। গম্বুজ ও মিনারের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে অপূর্ব সৌন্দর্য। মসজিদটির চারটি অংশ হলো- মূল কক্ষ, মূল কক্ষের সঙ্গে ছাদসহ বারান্দা, ছাদবিহীন বারান্দা এবং ছাদবিহীন বারান্দাটি অর্ধ প্রাচীরে বেষ্টিত হয়ে পূর্বাংশে মাঝখানে চার থামের উপর ছাদবিশিষ্ট মূল দরজা। খোলা বারান্দার প্রাচীরে ও মূল দরজার ছাদে ছোট ছোট মিনারের অলংকার রয়েছে। মসজিদটির মূল দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ৬ ইঞ্চি। প্রস্থ ১১ ফুট ৯ ইঞ্চি। মূল কক্ষের কোণগুলো তিন থামবিশিষ্ট। এর জানালা দুটি, দরজা তিনটি, কুলুঙ্গি দুটি। মসজিদটির ভিতরে দরজায়, বারান্দায় এবং বাইরের দেয়ালগুলোতে প্রচুর লতাপাতা ও ফুলের সুদৃশ্য নকশা রয়েছে। এক সঙ্গে এই মসজিদে প্রায় ৩০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। জামালপুর জমিদার বাড়ির সদস্য জুলফিকার আলী চৌধুরী বলেন, ১০ থেকে ১৫ বছর আগে মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিলেও এখন পর্যন্ত মসজিদটি সংরক্ষণে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার যদি মসজিদটি সংরক্ষণের জন্য সুদৃষ্টি দিত তাহলে এটি আরও দৃষ্টিনন্দন হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. রুহুল আমীন বলেন, মসজিদটি দেখতে শুধু বাংলাদেশ থেকে নয়, বিদেশ থেকেও মানুষ আসেন। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসেন। এমন মসজিদে দীর্ঘদিন ইমামতি করে বেশ ভালো লাগছে।

কানাইঘাটে যুবলীগ নেতা মোমিন সংবর্ধিত

কানাইঘাটে যুবলীগ নেতা মোমিন সংবর্ধিত

কানাইঘাট প্রতিনিধি : কানাইঘাট উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল মোমিন এর সংক্ষিপ্ত সফরে কানাডা গমণ উপলক্ষ্যে গতকাল (২৯/৩/২০২৪) স্থানীয় ইউনিক কমিউনিটি সেন্টারে এক বর্নাঢ্য সংবর্ধনা প্রদান করেছে কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর যুবলীগ। উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা আবু ইসহাক পান্নার সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা আসাদ উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্টিত এই সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি জননেতা জামাল উদ্দিন।অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য এডভোকেট ফখরুল ইসলাম,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এডভোকেট আব্দুল খালিক,শাবিপ্রবি কলেজ পরিদর্শক এম তাজিম উদ্দিন,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রিংকু চক্রবর্তী,নাজমুল ইসলাম হারুন,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাব উদ্দিন,সাংস্কৃতিক সম্পাদক চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস,সংবর্ধিত ব্যাক্তিত্ব যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল মোমিন,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খাজা শামীম আহমদ এবং শিক্ষক, কবি ও কলামিস্ট মিলন কান্তি দাস।


অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কেএইচএম আব্দুল্লাহ,উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি হাজী শরীফ উদ্দিন,উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আজমল আহমদ,সিলেট জজ কোর্টের এপিপি এডভোকেট আবু সিদ্দিক, ইসলাম উদ্দিন,পৌর কাউন্সিলর বিলাল উদ্দিন,কাউন্সিলর জমির উদ্দিন, কাউন্সিলর শাহাব উদ্দিন চৌধুরী,শিক্ষক নেতা মাস্টার আজির উদ্দিন,সড়কের বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী রুহিন,পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাসুম আহমদ, উপজেলা কৃষকলীগ সাধারন সম্পাদক হারিছ উদ্দিন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মারওয়ানুল করিম,পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি এম হারিছ উদ্দিন।


অনুষ্টানে যু্বলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা ফরিদ উদ্দিন,মোঃ ইয়াইয়া,জসিম উদ্দিন,জিয়া উদ্দিন,জালাল উদ্দিন,ইমরান আহমদ কামরান,সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা আহমেদুল কবির মান্না,সাবেক মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মামুন রশীদ রাজু,উপজেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি রেজওয়ান এইচ মিনু,রুবেল আহমদ সাগর,তপন কুমার দাস,প্রবাসী ছাত্রলীগ নেতা ফজল আহমদ প্রমুখ।


সংবর্ধনা অনুষ্টানে আগত সকল বক্তারা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল মোমিনের রাজনৈতিক মেধা,প্রজ্ঞা ও দুরদর্শিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।


সংবর্ধিত ব্যাক্তিত্ব যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল মোমিন বলেন,"বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্টার সংগ্রামে আমাদেরকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনার দর্শনকে জনগণের দোয়ারে দোয়ারে পৌছিয়ে দিতে হবে।জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ভিশনকে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে যুবলীগের সকল নেতাকর্মীকে একযোগে কাজ করতে হবে। যুবনেতা মোমিন তার বক্তব্যে আরো বলেন,"আজ যুবলীগ নেতাকর্মীসহ দলীয় অঙ্গ সংগঠন তথা কানাইঘাটবাসীর ভালোবাসায় আমি সিক্ত।কানাইঘাটের গণমানুষের সেবায় আমার আমৃত্যু কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইণশাআল্লাহ।


সবশেষে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,ব্যবসায়ী সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল মোমিনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

রাণীশংকৈলে মারপিটের অভিযোগে ইউপি সদস্য ও সাবেক স্ত্রীসহ গ্রেফতার-৪

রাণীশংকৈলে মারপিটের অভিযোগে ইউপি সদস্য ও সাবেক স্ত্রীসহ গ্রেফতার-৪

রফিকুল ইসলাম সুজন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠা কুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বিয়ে বিচ্ছেদের জেরে সাবেক স্বামী ও তার লোকজনকে মারপিটের অভিযোগে ইউপি সদস্য শাহজান আলী ও সাবেক স্ত্রী মেরিনা বেগমসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত

শুক্রবার ২৯ মার্চ বিকেলে উপজেলার সিংপাড়া মোড়ে। এনিয়ে মামলার প্রেক্ষিতে পরদিন শনিবার ৩০ মার্চ আসামিদেরকে জেলা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা হলেন-১. মেরিনা বেগম(২১) ২.মোতাহার হোসেন শাহিনুর(৫০) ৩. ইমন সরকার(২৩) ও ৪. শাহজান আলী (মেম্বার, ৫০)। রাণীশংকৈল থাানার ওসি সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

থানায় এজাহার ও বাদিসূত্রে জানা গেছে, ইতোপূর্বে পাশ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার সাথিয়া-বহরা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবিরের সাথে বথপালিগাও গ্রামের পবন আলীর মেয়ে মেরিনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের বনিবনা না হওয়ায় গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে যথারীতি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। গত ২৯ মার্চ

বিকেলে বাদি আব্দুল জব্বার তার নাতি হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বসতপুর যাওয়ার পথে রাণীশংকৈল উপজেলার সিংপাড়া মোড়ে পৌছালে মেরিনা ও তার লোকজন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হুমায়ুন ও জব্বারকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে হুমায়ুন গুরুতর আহত হন।তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেরিনা ও শাহজাহান মেম্বারসহ ৪জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিনেই আব্দুল জব্বার বাদি হয়ে থানায়  লিখিত অভিযোগ করেন যা পরে মামলা( নং ৩২) হিসেবে রেকর্ডভূক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি আমি

শুনেছি। আমার জানামতে কয়েকমাস আগে মেরিনা বেগমের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে ইউপি চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন। আসামীদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন থানা পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গার সাত গাড়িতে গাঁজা নিয়ে কোপাকুপি

চুয়াডাঙ্গার সাত গাড়িতে গাঁজা নিয়ে কোপাকুপি

এস এম রেদ্বোয়ান, চুয়াডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গায় গাঁজা চুরি করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে মাদক কারবারি দুই পক্ষ। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের তিন যুবক আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামে: এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন সাতগাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের দুই ছেলে নাঈম (২৫) ও নয়ন (২৩) এবং একই গ্রামের মনিরের ছেলে বিপ্লব হোসেন (২১) স্থানীয়রা জানান, এলাকার এক মাদক কারবারি বাড়ির পাশে ভুট্টাক্ষেতে গাঁজা লুকিয়ে রাখেন। সেখান থেকে কেউ চুরি করে সাতগাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাঈমের কাছে দেন। বিষয়টি এলাকার মধ্যে জানাজানি হলে নাঈমের সঙ্গে ওই মাদক কারবারির দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন নাঈম, তার ছোট ভাই নয়ন ও স্থানীয় বিপ্লব। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, তিনজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইন্দ্রজিত রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি মাদক নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডোমারে র‍্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ একজন গ্রেপ্তার

ডোমারে র‍্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ একজন গ্রেপ্তার

সাহিদুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে র‍্যাব-১৩ (রংপুর) কর্তৃক চেকপোস্ট পরিচালনার সময় নীলফামারীর ডোমারে ইউএসবি এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যান থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল সহ এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৩০শে মার্চ) জেলার ডোমার উপজেলার ডোমার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ডিবি রোড স্থ ইউএসবি এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিসের ডোমার শাখা অফিসের সামনে কাভার্ডভ্যানের চালকের পিছনের অতিরিক্ত আসন থেকে ৫৪১ বোতল ফেনসিডিল সহ মোঃ শ্যামল হোসাইন (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তারকৃত মোঃ শ্যামল হোসাইন (২৭) লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার বড়খাতা রমনীগঞ্জ এলাকার মোঃ বুলু মিয়ার পুত্র।


র‍্যাব-১৩ এর অধিনায়কের পক্ষে স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৩ (নীলফামারী) এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ এর একটি আভিযানিক দল ডোমারে অভিযান চালিয়ে ঐ কাভার্ডভ্যানের চালক আসনের পিছনে থাকা অতিরিক্ত আসনে খোঁজার পর গচ্ছিত ২টি সাদা বস্তা পান। বস্তাগুলোতে রক্ষিত ৫৪১ বোতল অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল পাওয়া যায়।


র‍্যাব কর্তৃক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী শ্যামল দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন। সে দেশের সীমান্ত পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট থেকে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ কাজ করে। এছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যান চালানোর মাধ্যমে মাদক সরবরাহ সহজতর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে এমন পদ্ধতি অবলম্বন করেন।


পরে, ধৃত আসামী শ্যামল হোসাইনের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু পূর্বক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিন ও শুকনা খাবার সহায়তা দিয়েছে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিন ও শুকনা খাবার সহায়তা দিয়েছে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী

আরিফুজ্জামান চাকলাদার:  ফরিদপুরের আলাফাডাঙ্গা উপজেলায় গত ২৮ মার্চ তিন ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও শুকনা খাবার সহায়তা দিয়েছে মাননীয় সরকারের মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী । উপজেলা চত্বরে ৩০ মার্চ শনিবার দুপুর একটার দিকে এই ঢেউটিন ও শুকনা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে  নয় ফুটের আট পিচ অর্থাৎ এক বান্ডেল করে ৫০ জন পরিবারের মধ্যে ঢেউটিন ও চাল দশ কেজি,ডাল এক কেজি, লবন এক কেজি,চিনি এক কেজি, সয়াবিন এক লিটার,মরিচ গুড়া ১০০ গ্রাম,হলুূদ গুড়া ২০০ গ্রাম,ধনিয়া গুড়া ১০০ গ্রাম করে মোট ১৪ কেজি ৪০০ গ্রাম ১৫০ পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার  প্রদান করা হয় ।আরো একশত পরিবারের তালিকা করা হয়েছে।পর্যায়ক্রমে সকলকে দেওয়া হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে টিন ও শুকনা খাবার তুলে দেন বাংলাদেশ সরকারের মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এমপি।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার নামই জীবন। সুতরাং এই যে ঝড়বাদল, অনাবৃষ্টি, খড়া এসবের মধ্য দিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বসবাস করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবদরদী নেত্রী এবং একজন মানবিক নেত্রী। তিনি মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবেন। যতোদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নেতৃত্বে থাকবেন, ততোদিন ইনশাআল্লাহ কোন ঝড়-ঝঞ্ঝা আমাদের নুয়াতে পারবে না।


বিতরণ কর্মসূচি শেষে মধুমতী নদীতে অবৈধ ভাবে আড়াআড়ি বাঁধ  দিয়ে নির্বিচারে মৎস্য শিকার হচ্ছে  প্রতিবেদকের  এমন তথ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী তৎক্ষনাৎ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে অবৈধ পাতন ও বাদ অপসারণের নির্দেশ দেন।


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ঢেউ টিন বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমীন ইয়াছমীন, থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. সেলিম রেজা,পৌর মেয়র আলি আকসাদ ঝন্টু,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার প্রণব পান্ডে,উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম মুক্ত, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী কাওসার হোসেন টিটো।


উল্লেখ্য গত ২৮  মার্চ বুধবা রাত একটার দিকে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টি শুরু হয়।তিনটি ইউনিয়নে দিঘলবানা,পণ্ডিত বানা,রুদ্রবানা, কঠুরাকান্দি,টাবনি,টোনাপাড়া,  শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, আউশেরহাট,টোনা গ্রাম,পাকুড়িয়া,জয়দেবপুর, শিয়ালদি চরপাড়া বলপুটিয়া,পানিগাতি,বারানকুলা গহ কমপক্ষে ১৬টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা,বিদ্যুতের খুঁটি, কৃষি ফসলের  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এর আগে বেলা ১১ টায় প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী  তার নির্বাচনী এলাকার নিজ উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী পৌর বাজার সংলগ লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকাতে ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রির উদ্বোধন করেন। এখানে ১শ' টাকায় ১১টি ডিম, ৭০ টাকায় এক লিটার দুধ ও ৬০০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরায় অনুমোদন বিহীন ওষুধ সামগ্রি রাখার অভিযোগে অফিস সীলগালা

সাতক্ষীরায় অনুমোদন বিহীন ওষুধ সামগ্রি রাখার অভিযোগে অফিস সীলগালা

 


খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন ওষুধ সামগ্রি রাখার অভিযোগে তিয়ানশি কোম্পানির সাতক্ষীরা অফিস সীলগালা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে ১৫ লাখ টাকার ওষুধ সামগ্রি জব্দ এবং তিয়ানশির ডিস্ট্রিবিউটর শফিকুল ইসলাম ও তুহিনুজ্জামানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (৩০) মার্চ দুপুরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তালুকদারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এ সাজা প্রদান করেন।এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এর সাতক্ষীরা অফিসের তথ্যের ভিত্তিতে শহরের ইসলাম টাওয়ারে তিয়ানশি কোম্পানির অফিসের অভিযান চালানো হয়। এসময় বিএসটিআই অনুমোদন বিহীন  ওষুধ সামগ্রি রাখার অভিযোগে তিয়ানশি কোম্পানির সাতক্ষীরা অফিস সিলগালা করা হয় এবং ১৫ লাখ টাকার ওষুধ সামগ্রি জব্দ করা হয়। এছাড়া লেবেল বা সীল বিহীন ওষুধ সামগ্রি বিক্রয় করার অভিযোগে দুইজন ডিস্ট্রিবিউটর নলতা গ্রামের শেখ আমানুল্লাহর পুত্র তুহিনুজ্জামান (৪০)কে ১০ হাজার টাকা এবং শহরের মুনজিতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র শফিকুল ইসলাম (৩৫)কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। অনাদায়ের তিন মাসের জেল প্রদান করা হয়েছে।

অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, র‌্যাব, পুলিশ ফোর্স, ড্রাগ সুপারের প্রতিনিধি এবং এন এস আই এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানীগঞ্জে ২৬৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

কোম্পানীগঞ্জে ২৬৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ২৬৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার ভোররাতে উপজেলার দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের গৌরিনগর গ্রামের হিংড়া হাওরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি হলেন গোয়াইনঘাট উপজেলার গুজারকান্দি রুস্তমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে হারুন মিয়া ওরফে তারুন মিয়া (৫৫)।


পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বহন করে নিয়ে যেতে পারে এরকম  সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক অজয় চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে

একটি টিম উপজেলার দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের গৌরিনগর গ্রামের হিংড়া হাওরে রাতে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে ভোররাতে ৪-৫ জন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের অবস্থান স্থলের উত্তর দিক থেকে আসতে থাকলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে  তাদের হেফাজতে থাকা বাঁশের তৈরি ৩টি ভার ফেলে পালানোর সময় ১জনকে ভারসহ আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তি  হারুন মিয়া ওরফে তারুন মিয়া জিজ্ঞাসাবাদে বিক্রির উদ্দেশ্যে ফেন্সিডিল বহন করছিল বলে স্বীকার করে।


কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানান এ ঘটনায় ২জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়, যার মামলা নং-২২। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

কালীগঞ্জ বিএনপির ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ

কালীগঞ্জ বিএনপির ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ

আসাদুরজামান সনেট কালিগঞ্জ প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। 

শনিবার উপজেলা শহরের নলডাঙ্গা সড়কে বিএনপি এ মাহফিলের নির্ধারিত দিন ছিল। ইফতার মাহফিল সফল করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু শনিবার সকালে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মাহফিল বন্ধের নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোন অনুমোতি নেওয়া হয়নি। ফলে আইনশৃঙখলার অবনতি ঘটার আশংকায় মাহফিল বন্ধ 

করে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপির দ্বায়িত্বশীল নেতারা বলছেন আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমোতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল।কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাদিুল ইসলাম হামিদ 

জানান, আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমোতির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোন উত্তর 

দেওয়া হয়নি। আমাদের নির্ধারিত দিন শনিবার আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল তখন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বন্ধ করে দেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, বড় পরিসরে দলীয় কোন আয়োজন করতে হলে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের অনুমোতি নিতে হয়। কিন্তু তারা কোন অনুমোতি নেননি। অনুমোতি না নিয়েই তারা ওপেন প্লেসে বড় পরিসরে আয়োজন করেছেন। যে কারনে তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে সয়লাব হয়ে গেছে পঞ্চগড়

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে সয়লাব হয়ে গেছে পঞ্চগড়

বদরুদ্দোজা প্রধান পঞ্চগড় প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব দেশের উত্তরের জনপদ পঞ্চগড় এর  বিভিন্ন হাটবাজার। দিন দিন এই নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বেড়েই চলছে এখানে। জেলার বাজার, শপিংমল থেকে শুরু করে গ্রামের ভেতর ছোট ছোট মুদি দোকানসহ বিভিন্ন কেনাকাটায় কোনভাবেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না পলিথিন ব্যবহারে। এতে জনস্বাস্থ্যসহ মারাত্মক হুমকির মুখে জীববৈচিত্র।

জেলা শহরসহ পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজার, দোকান, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পণ্য বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। একবার ব্যবহারের পর পলিথিন ব্যবহার শেষে সেগুলো ছুড়ে ফেলা হচ্ছে রাস্তা, ফুটপাত কিংবা ড্রেনে। যা পরিবেশকে ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। পলিথিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার, উৎপাদন, বিপণন নিষিদ্ধ হলেও এর ব্যবহার রোধে কর্তৃপক্ষের নজর নেই। 

অভিযোগ উঠেছে গুটি কয়েক অসাধু পলেথিন ব্যবসায়ি সারা জেলায় ছড়িয়ে দিচ্ছে পলেথিন। এতে পরিবেশের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুকিঁতে পড়েছে সাধারন মানুষ । 

হাট বাজার সহ শহরে বাজার মুখী প্রায় প্রত্যেক নাগরিকের হাতেই দেখা যাচ্ছে পলিথিনের ব্যাগ। সবধরনের বাজার বহন করছে প্লাষ্টিকের তৈরী ছোট বড় ব্যাগে। দোকানদাররাও সবধরণের পন্য বিক্রী করছেন পলেথিনে। 

সচেতন মহল ও পরিবেশবাদীরা বলছেন একবার ব্যবহারের পর যেখানে সেখানেই ফেলে দেয়া হচ্ছে পলেথিন। পরিত্যক্ত এসব পলেথিন ভেঙ্গে   মাইক্রো প্লাস্টিকে পরিণত হচ্ছে। ওই মাইক্রো প্লাস্টিক মাটি ও পানিতে মিশে বিভিন্ন সবজি, ফল ও প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করছে। তারপর প্লাস্টিকের বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান খাবার এবং বাতাশের মাধ্যমে ঢুকে পড়ছে মানবশরীরে । পলেথিনের কারণে কৃষি জমি হারিয়ে ফেলছে উর্বরতা। বিষাক্ত হয়ে উঠছে পরিবেশ। ক্যন্সার সহ নানা ধরনের ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। চিকিৎসকরা বলছেন নিষিদ্ধ পলেথিন ব্যবহারে সাধারন মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। বেড়েছে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মহার । পঞ্চগড় আধুনিক  সদর হাসপাতালের এনেস্থিসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. মনসুর আলম জানান, পলেথিন ব্যবহার বেড়ে যাবার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে পঞ্চগড়ের কয়েক লাখ মানুষ। যেখানে সেখানে পলেথিন ফেলে দেয়া হচ্ছে। পৌরসভার ড্রেণগুলোতে পলেথিন ফেলার কারণে সেগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্ষাকালে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। দুষিত পানির মাধ্যমে মইক্রোপ্লাষ্টিক ছড়িয়ে পড়ছে জেলা শহরে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, পলেথিনের ব্যবহার হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। হাতে গোনা অসাধু কয়েকজন ব্যবসায়ি সারা জেলায় পলিথিন ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তারা পৌর এলাকা সহ গ্রামের হাটবাজারে দোকানে দোকানে গিয়ে পলেথিন বিক্রী করে। প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সামনেই তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যপারে এই দুই সংস্থারও কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো নয়। নিষিদ্ধ ওই পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভবিষ্যতে পঞ্চগড়ের পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

বিভিন্ন মাধ্যমে পঞ্চগড় শহরের ৫ জন পলেথিন ব্যবসায়ির নাম পাওয়া গেছে । তারা নিষিদ্ধ এই ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা শিকারও করেছেন।  পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করে তারা বলেন এই ব্যবসা সারা দেশে চলছে। ঢাকারগুলো আগে বন্ধ করার ব্যবস্থা নেন। তাহলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। পলেথিন ও প্লাষ্টিক ব্যবসায় জড়িত মুরাদ মশলাঘরের স্বত্বাধিকারী জনাব আলী অভিযোগ করে জানান আমরা ২/৩ কেজী পলেথিন বিক্রী করি। বড় ব্যবসায়ি হচ্ছেন হুক্কু মিঞা। সে সারা জেলায় পলেথিন সরবরাহ করেন। জনাব আলীর অভিযোগ অস্বীকার করে  আলমগীর স্টোরের সত্বাধিকারী হুক্কু মিঞা বলেন, সোনালী ব্যাংকের সামনে জনাব আলী নিজে এবং নাসিরুল, ছবি, আনোয়ার, রাব্বি হোসেন, আশরাফুল  ট্রাকে করে পলেথিন আনেন । আমার ব্যাপারে ওরা মিথ্যা বলেছে। আমি অল্প সল্প বিক্রী করি।

পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে নিষিদ্ধ পলেথিন ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছেন তারা। ইতোমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়িকে জড়িমানাও করা হয়েছে। 

পঞ্চগড় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইউসুফ আলী জানান, আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়িকে জড়িমানা করেছি। সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন  না-ওবায়দুল কাদের

উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না-ওবায়দুল কাদের

স্বপন কুমার রায় : উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। এমপিরা তাদের নিজেদের লোককে জেতাতে কোনো হস্তক্ষেপ করলে মেনে নেওয়া হবে না। দল কখনো ফ্রী স্টাইলে চলতে পারবে না।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। তাই সংগঠন থাকলেই সমস্যা থাকবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগে থেকেই আটঘাট বেঁধে নামবে আওয়ামী লীগ।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনো নেতা দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড করলে তার দায় দল নেবে না। এই দায় ব্যক্তিকেই নিতে হবে। জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের সাংগঠনিক সেতু তৈরি করতে হবে। কোনো ওয়াল থাকলে তা ভেঙে দিতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের স্থানীয় পর্যায়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ভুলে পরস্পরের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। ভেঙে ফেলতে হবে প্রতিবন্ধকতার সব দেয়াল। উপজেলায় অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন আপনাদের অনুরোধে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর আগে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে নৌকা দিয়েছি। এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কতটা প্রতিযোগিতামূলক, কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দেখা হবে।

জনগণকে মিথ্যা আর অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সবকিছু হারিয়ে বিএনপি এখন আবার ভারত বিরোধিতায় নেমেছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। তাদের বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপির কিছু করার আর ক্ষমতা নেই। শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নূর এমপি।

শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নাসিরাবাদ-ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা

নাসিরাবাদ-ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ "নাসিরাবাদ" (ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি ফজলুল হক মুসলিম হল) এর আজকের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান, শুল্ক,রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জনাব ডক্টর মোহাম্মদ  তাজুল ইসলাম ।সভাপতিত্ব করেন "নাসিরাবাদ" এর সভাপতি জিহাদুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল কাউসার।

জিহাদুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট সকলকে এতো সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত অনুষ্ঠান করতে পাশে থাকার জন্য  ধন্যবাদ জানান।

ধলীগৌরনগর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ফরম জমা দিলেন জহির উদ্দিন ভূঁইয়া

ধলীগৌরনগর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ফরম জমা দিলেন জহির উদ্দিন ভূঁইয়া

 

মুশফিক হাওলাদার বিশেষ প্রতিনিধি: মামলা জটিলতা কাটিয়ে  ১৪ বছর পর লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এত দিন পর নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের ফরম জমাদানের শেষ দিন ছিলো। আগামী ( ২৮ এপ্রিল) ওই দুই ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ  অনুষ্ঠিত হবে।


ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে লালমোহন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ফরম জমা দিয়েছেন মোঃ জহির উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বর্তমানে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন (দক্ষিণ) আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক। ভোলা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয়ের একান্ত আস্থাভাজন মরহুম বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া সাহেবের সুযোগ্য বড় সন্তান। 

জনসম্পৃক্ততা ও সাংগঠনিক দক্ষতা, ক্লিন ইমেজ এর কারনে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে মোঃ জহির উদ্দিন ভূঁইয়া শতভাগ আশাবাদী।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন



লালমনিরহাট প্রতিনিধি: অসাম্প্রদায়িক মানবিকসমাজ বিনির্মাণ আমাদের অন্যতম লক্ষ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সমসাময়িক প্রেক্ষিতে মতবিনিময় সভা ও নবাগত কমিটি গঠন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৫ ঘটিকায় লালমনিরহাট পৌরসভার গোশাল বাজার সংলগ্ন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস হোসেনের বাসায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল লালমনিরহাট জেলা কমিটির আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ময়জুল ইসলাম ময়েজের সঞ্চালনায় সহ-সভাপতি মনছুর আলী সরকারের সভাপতিত্বে সেখানে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।


বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল লালমনিরহাট জেলা কমিটির প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক হেলাল হোসেন কবির, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. ইকবাল হোসেন মামুন, সদস্য রিয়াজুর হক সরকার,  ডাঃ আশিক ইকবাল মিলন, স্বপ্না জামান, এ্যাড. চিত্ত রঞ্জন রায় মন্টু, সুপেন দত্ত প্রমুখ।


আলোচনা শেষে এ্যাড. ময়জুল ইসলাম ময়েজ সভাপতি, এ্যাড. ইকবাল হোসন মামুন সাধারণ সম্পাদক ও হেলাল হোসেন কবিরকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ বিশিষ্ট লালমনিরহাট জেলা নবাগত কমিটির ঘোষণা করা হয়।
একদিকে যুদ্ধ বিরতি আলোচনা অন্যদিকে গণহত্যা

একদিকে যুদ্ধ বিরতি আলোচনা অন্যদিকে গণহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: দখলদার ইসরাইলি গাজায়যুদ্ধ বিরতির জন্য মিশরের কায়রোতে হামাস নেতাদের সাথে বৈঠক করত থাকলেও গাজা ভূ-খন্ডে মুহুর মুহুর হামলা অব্যাহত রেখেছে। গতকালও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পশ্চিম গাজা ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। রাফা শহরের সর্বত্র ইসরাইলি বাহিনী একদিকে বিমান হামলা অন্যদিকে ইহুদী সেনাদের তল্লাশি অভিযান সব মিলে রাফা এক বিচ্ছিন্ন আতঙ্কিত শহরে পরিনত হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আবারও নতুন ভাবে রাফা অভিযানের অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে গত একমাস পূর্বে ইসরাইলি সেনা বাহিনী রাফা অভিযান শুরু করে এ সময় দেশটির যুদ্ধ কালীন মন্ত্রীসভার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে রাফা অভিযান অনুমোদন করা হয়। রাফা অভিযান অনুমোদনের পর বিশ্বময় চরম প্রতিক্রিয়ায় সৃিষ্ট হয়, মধ্য গাজা, উত্তর পশ্চিম, দক্ষিন খান ইউনিস, রামাল্লা, জেরুজালেম সহ বিভিন্ন শহর ও এলাকা হতে বিতড়িত ও বাঁচার আশ্রয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি উন্নত ও সমৃদ্ধ মিশরীয় সীমান্তসংলগ্ন রাফা শহরে অবস্থান গ্রহন করে যে কারনে রাফায় সামরিক অভিযান তথা বিমানহামলা পরিচালনা করলে শহরটি নিশ্চিত মৃত্যুপুরীতে পরিনত হবে। বিশ্ব নেতৃত্বের আহবানে রাফা অভিযান সীমিত করলেও দৃশ্যতঃ হত্যা আসেনি, রোজার শুরুর পূর্ব হতে রোজা শুরুতে আবারও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রাফায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে বর্তমান সময় গুলোতে রাফায় চলছে দৃশ্যতঃ গণহত্যা, এদিকে দখলদার বাহিনী ইসরাইলের সাথে হামাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব অনেকদুর এগিয়েছে বলে জানাগেছে। গতকাল আল জাজিরা, রয়টার্স সহ অপারাপর মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হয়েছে হামাস ও ইসরাইল ইতিমধ্যে যুদ্ধ বিরতির অত্যন্ত কাছাকাছি অবস্থান করছে। ইসরাইলের একটি প্রস্তাবতা যাহাতে ইসরাইলের কারাগারে আটক হামাসের সাত থেকে আটশত যোদ্ধাকে মুক্তিদেবে বিনিময়ে হামাসের হাতে পন বন্দীদের মুক্তি দেবে হামাস। উত্তরাঞ্চালের ভূমিতে ফিলিস্তিনিদের ফিরতে পারবে তবে এক্ষেত্রে কেবলমাত্র নারীরাই ফেরবেন। এমন চুক্তি ও সম্মতিসূচক পত্র ইসরাইল হামাসের হাতে পৌছে দিয়েছে আগামী তিন দিনের ব্যবধানে হামাস কে তাদের মনোভাব বা সম্মতি জানানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে একাধিক যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব বৈঠক বাতিল হয়েছে অথবা সিদ্ধান্তেপৌছাতে পারেনি তার কারন হলো হামাস চাইছে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি এবং গাজা ভূ-খন্ড ইসরাইলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার অথচ ইসরাইল সরকার এতোদিনে হামাসের এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় বন্দী মুক্তি ও যুদ্ধ বিরতি আলোর মুখ দেখেনি। ফিলিস্তিনিদের মাঝে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক দলের সদস্যরা ত্রান বিতরন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও রোজার দিন গুলোতে ইফতারি ও রমজান সামগ্রী বিতরনকালে কয়েক দফায় উক্ত বিতরন কার্যক্রমের উপর বিমান হামলা ও গুলিবর্ষন পরিচালনা করলে দুই দফায় পয়ত্রিশ জনের অধিক অসহায় রোজাদার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হওয়ায় বর্তমান সময়ে ইফতারী সামগ্রী গ্রহনের পূর্বে যথাযথ পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষন করেই না তবে ইফতারী গ্রহন করতে চলেছে ফিলিস্তিনিরা। এদিকে গতকাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে বিমানহামলা শুরু করেছে উপত্যকার আলমুনসুর, আল আযাল, আলসিফা হাসপাতালে ব্যাপক বিমানহামলা পরিচালনা করেছে। হাসপাতালগুলোতে রোগী এবং চিকিৎসক উভয় কে গ্রেফতার করছে। গাজা বর্তমান সময়ে চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারে। ঘরে ঘরে প্রান্তরে, প্রান্তরে সর্বত্র দুর্ভিক্ষের ছবি এবং দখলদার ইসরাইলি বাহিনীই গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির প্রধানকারন অভূক্ত থেকে রোজা পালন করছে ফিলিস্তিনিরা এবং প্রতিমুহুর্তে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে।

শ্যামনগরে দূর্যোগ সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ

শ্যামনগরে দূর্যোগ সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার :আজহারুল ইসলাম সাকী ॥ শ্যামনগর উপজেলায় দূর্যোগ সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টায় লির্ডাসের আয়োজনে লির্ডাসের উপজেলার মুন্সিগঞ্জস্থ কার্যালয়ে মানুষের মাঝে দূর্যোগ সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজিবুল আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে দূর্যোগ সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ করেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লির্ডাসের কার্যকরি পরিষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, লির্ডাসের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, উপজেলা আলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারাফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত বিশ্বাস বাবুলাল, সিপিপির উপজেলা টিম লিডার মাকসুদুর রহমান মুকুল, মুন্সিগঞ্জ ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী, লির্ডাসের কার্যকরী কমিটির সদস্য রনজিৎ বর্মন প্রমুখ।

পঞ্চগড়ে সপ্তর্ষি সংঘ এর উদ্যোগে  ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড়ে সপ্তর্ষি সংঘ এর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

 

বদরুদ্দোজা প্রধান পঞ্চগড় প্রতিনিধি: রমজান উপলক্ষে পঞ্চগড় ইসলাম বাগ এলাকায় সপ্তর্ষি সংঘ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইফতার ও দোয়া মাহফিল।

বন্ধুত্ব গাড়ো হোক, দৃঢ় হোক ভাতৃত্ব। এই স্লোগানের আলোকে 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) পঞ্চগড় ইসলাম বাগ এলাকায় সপ্তর্ষি সংঘ এর অস্থায়ী কার্যালয় বকুল নীড়ে অনুষ্ঠিত হয়  ইফতার ও দোয়া মাহফিল।  সুজা, মেজবাহউদ্দিন বসুনিয়া জিম ও নাজিম হোসেন এর ব্যবস্থাপন বন্ধুত্ব অটুট থাক এই প্রত্যাশায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে নতুন পুরাতন প্রায় ৮০ জন বন্ধু উপস্থিত ছিল। 

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সুজা বলেন আমরা পাঁচ বছর যাবত এ অনুষ্ঠান করে আসছি, আগামীতে আরও বড় পরিসরে করবো।

নাজিম হোসেন সবাইকে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষ করেন।

আল-হিকমাহ্ এনলাইটেন্ড স্কুলে এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আল-হিকমাহ্ এনলাইটেন্ড স্কুলে এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

 


সুজন আলী রানীশংকৈল প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ আল-হিকমাহ্ এনলাইটেন্ড স্কুলের উদ্যোগে আয়েশা (রা:) অরফান ইনস্টিটিউটের এতিম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

২৯ মার্চ (সোমবার) রানীশংকৈল উপজেলার ফায়ার সার্ভিস রোড  দক্ষিণ সন্ধ্যারই এলাকায় অবস্থিত। আল-হিকমাহ্ এনলাইটেন্ড স্কুল প্রাঙ্গণে

এ ইফতার  মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 আল-হিকমাহ্ এনলাইটেন্ড স্কুল ও আয়েশা(রা:) অরফান ইনস্টিটিউটের পরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রানীশংকৈল পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহবায়ক, আবু তাহের, বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী, আব্দুল খালেক, প্রভাষক, লুৎফর রহমান লিটন, ডা: আব্দুস সালাম , ডা: আব্দুল্লাহ আল মুনিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদ প্রমুখ

ইফতার মাহফিলে অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও এতিম শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

চোরকারবারী কর্তৃক করাতকলে আগুন দেয়ার অভিযোগ কানাইঘাটে ভারতীয় চিনি বোঝাই পিকআপ গাড়ী   আটক

চোরকারবারী কর্তৃক করাতকলে আগুন দেয়ার অভিযোগ কানাইঘাটে ভারতীয় চিনি বোঝাই পিকআপ গাড়ী আটক

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাটের সুরইঘাটে ভারতীয় চিনি আটক নিয়ে সুরইঘাট বাজারের পাশে অবস্থিত একটি করাতকলে গত বৃহস্পতিবার ৭টার দিকে চোরাকারবারীরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

এ ঘটনায় কানাইঘাট সদর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি নিজ চাউরা উত্তর (বড়কান্দি) গ্রামের মৃত মুবশ্বির আলীর পুত্র করাতকলের মালিক তাজ উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় চোরাকারবারী ৩০ 

জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে কানাইঘাট থানা পুলিশের এক প্রেসনোটে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে থানা পুলিশ সদর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিনের বাড়ির 

সামনে রাস্তার উপর থেকে ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ২৫ বস্তা চিনি সহ একটি পিকআপ গাড়ী আটক করা হয়। এ ঘটনায় পিকআপ গাড়ীতে থাকা নাজিম উদ্দিন, রামিম আহমেদ সহ গাড়ীর চালক পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে থানার এস.আই 

দেবাশীষ সূত্রধর চিনি ও গাড়ী জব্দ করে থানায় নিয়ে আসার পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাজিম উদ্দিন ও রাহিম আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। 

থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানিয়েছেন, ভারতীয় চিনি ও পিকআপ আটকের মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। করাতকলে আগুন 

ধরিয়ে দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

আগুনে পুড়িয়ে দেয়া ক্ষতিগ্রস্ত করাতকলের মালিক তাজ উদ্দিন সহ তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের বাড়ির পাশ থেকে সুরইঘাট 

বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা চোরাকারবারী নাজিম উদ্দিন ও তার ভাই রামিম আহমদের ভারতীয় চিনি বোঝাই পিকআপ গাড়ী আটক করে। ভারতীয় চিনি বিজিবিথ সদস্যরা কর্তৃক আটকের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে চোরাকারবারী নাজিম উদ্দিন ও তার সংঘবদ্ধ 

চোরকারবারী চক্রের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাত ৭টার দিকে সুরইঘাট বাজারে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাজারের পাশে অবস্থিত তাজ উদ্দিনের মালিকানাধীন তাজ করাতকলে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করাতকল পুড়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। খবর পেয়ে 

কানাইঘাট ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে করাতকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। করাতকলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এদিকে চিনি আটকের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে কানাইঘাট উত্তর বাজারে তাজ উদ্দিনের ভাতিজাদের সাথে চোরাকারবারীদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। থানা পুলিশ তাজ উদ্দনের দুই 

ভাতিজা সহ ৪ জনকে আটক করলেও পরবর্তীতে দুথজনকে ছেড়ে দেয়। 

তাজ উদ্দিন বলেন তার অভিযোগের সাক্ষী হওয়ার অভিযোগ তুলে আলতাফ হোসেন নামে একজনকে গতকাল শুক্রবার সুরইঘাট বাজারে তার অভিযোগের বিবাদী চোরাকারবারীরা ধরে মারধর করে।

বিরামপুরে ৩০টি নব মুসলিম পরিবারের মাঝে শাড়ি,লুঙ্গি ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করল মুত্তাকী কল্যাণ ফাউন্ডেশন

বিরামপুরে ৩০টি নব মুসলিম পরিবারের মাঝে শাড়ি,লুঙ্গি ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করল মুত্তাকী কল্যাণ ফাউন্ডেশন

এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বিরামপুরের রতনপুর এলাকায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা ৩০ নব মুসলিম পরিবারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ,  তাদের নিয়ে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে।

মুত্তাকী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শুক্রবার (২৯ শে মার্চ) ১৮ রমজান ৩০টি নব মুসলিম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইফতার মাহফিল ও ঈদ উপহার বিতরণ

করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করেন বিরামপুর পৌরসভার নগর পিতা সুযোগ্য  মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  সমাজসেবক শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তিত্ব আজম মন্ডল রানা, বিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার,  উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেলিম, বিরামপুর পৌরসভার সাবেক ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর  আনোয়ার হোসেন,

নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি ও  ফুলবাড়ী অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লিমন হায়দার,বিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউর রহমান,খানপুর ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী,খানপুর ইউপি'র ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য সোহেল রানা মন্ডল,খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের  হিসাব রক্ষক মেহেদী হাসান,মুত্তাকী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা আবু ইউসুফ মাস্টার,বেতদিঘী ইউপি'র ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হাসেদ আলী সহ মুত্তাকী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুত্তাকী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ডা: সোলায়মান মন্ডল।

সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস.এম নাজিব।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন  মুত্তাকী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি, ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক আল আমিন বিন আমজাদ।

অনুষ্ঠানে ৩০ নব মুসলিম পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে সেমাই,চিনি, মুড়ি,পুরুষদের জন্য লুঙ্গি ও মহিলাদের জন্য শাড়ি বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন, বিরামপুর ফাতেহুল উলুম বালিকা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী ইমামুল হক।

ঈদ উপহার বিতরণে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা প্রশাসক দিনাজপুর।

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

এক পা নিয়ে জন্ম নিলো শিশু, পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন

এক পা নিয়ে জন্ম নিলো শিশু, পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন

এস এম মাসুদ রানা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক শিশু। অস্বাভাবিক হওয়া শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবার। শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে বিরামপুর মডান ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম দেন নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুড়িয়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক মাহফুজুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। দুটি সন্তানের মধ্যে একটি স্বাভাবিক হলেও অপর শিশুটি মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় শিশুটিকে কোনো কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। এদিকে শিশুটির সুস্থ্যতা কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছে পরিবার।


শিশুর নানি আক্তারা বেগম বলেন, বিকেলে বিরামপুরে সিজারের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে এক মেয়ে শিশু সুস্থ আছে। অপরটি শিশুটির একটি পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। পাশাপাশি তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা নেই। তাকে রাতে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশুটির সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি।


এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফজলে রাব্বী বলেন, রাতে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন বর্তমানে সুস্থ আছে। কিন্তু তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় আপাতত কোন ধরনের খাবার দেয়া হচ্ছে না। শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যদি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো হয় তাহলে এনাল ওপেনিং সার্জারির মাধ্যমে মলদ্বার চালু করা সম্ভব হবে। ইতিপূর্বে এই হাসপাতালে সার্জারির মাধ্যমে বহু মলদ্বার চালু করা হয়েছে। কিন্তু শিশুটির প্রসাবের রাস্তা চালুর বিষয়ে সংশয় রয়েছেন তিনি।


এদিকে বুধবার রাতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। ভবিষ্যতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, শিশুটির জন্মের পর পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিশুর পরিবারকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শিশুর সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

পবায় 'জনগণের কথা' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পবায় 'জনগণের কথা' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)'র আওতায় 'জনগণের কথা' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত। এসময় মুখ্য আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালী যুক্ত ছিলেন, সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর। অনুষ্ঠানে শুরুতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করা হয়েছে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা তথ্য অফিস রাজশাহীর পরিচালক মোহা. ফরহাদ হোসেন। 


অনুষ্ঠানে জেলা তথ্য অফিস রাজশাহীর উপ-পরিচালক নাফেয়ালা নাসরিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মোসা. আরজিয়া বেগম ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. ওয়াজেদ আলী খাঁন, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, উপজেলা প্রকৌশলী মুকবুল  হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. সুব্রত কুমার সরকার।


উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাসির, দামকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাইউল ইসলাম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তন্ময় কুমার সরকার, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জাহিদ হাসান রাসেল, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এমএমএন জহুরুল ইসলাম, উপজেলা সমবায় অফিসার সুলতানুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম ফজলুল হক, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা গোলাম ফারুক, উপজেলা রির্সোস সেন্টার (ইউআরসি) ইন্সট্রাক্টর রেহেনা আকতার, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার শহিদুল ইসলাম শহিদ ও ইউআইটিআরসিই ইসমোতারা খাতুন, উপজেলা পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সহ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, জেলা তথ্য অফিস এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

আলফাডাঙ্গায়১৬ গ্রামে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে  ঘরবাড়ি, গাছপালা,বিদ্যুতের খুঁটি বিধ্বস্ত

আলফাডাঙ্গায়১৬ গ্রামে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা,বিদ্যুতের খুঁটি বিধ্বস্ত


আরিফুজ্জামান চাকলাদার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে তিন ইউনিয়নে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত একটা দিকে কমপক্ষে ১৬ টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে।  উপজেলার পাচুড়িয়া, বানা ও বুড়াইচ ইউনিয়নের এসব গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা,ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ট্রান্সমিটার ও তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় ভেঙে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।


  সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,বানা ইউনিয়নে দিঘলবানা,পণ্ডিত বানা,রুদ্রবানা, কঠুরাকান্দি,টাবনি,টোনাপাড়া,  শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, আউশেরহাট,টোনা গ্রাম,পাকুড়িয়া,জয়দেবপুর, শিয়ালদি চরপাড়া বলপুটিয়া,পানিগাতি,বারানকুলা গহ কমপক্ষে ১৬টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।বুড়াইচ ইউনিয়নে জাকারিয়া নামে এক কৃষক বলেন,পিয়াজ ১০ -১৫ দিন পরে ক্ষেত থেকে তুলা হতো।এই ঝড়ের ও শিলা বৃষ্টি কারন এখই তুলতে হবে। পানি লাগার কারনে এই পিয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যাবে না।এতে কৃষক ফলন কম ও ক্ষতি মধ্যে পড়বে।


বারানকুলা গ্রাম পুলিশের  দফাদার বিলায়েত হোসেন বলেন,  পাকুড়িয়া ও জয়দেবপুর সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। আমি সারা দিনে এ কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি।


বুড়াইচ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আকবর হোসেন জানান, ঝড়ে আমাদের গ্রামসহ আশেপাশে ৮-১০ টি  গ্রামে  ঘরবাড়ি, বিদ্যুৎ, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।


পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।’


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আটটি মতো  গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ট্রান্সমিটার ও তার ছিঁড়ে গেছে।আজকে মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারবো। বিদ্যুৎসংযোগ চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন,বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড়ে আট থেকে দশটি গ্রামে  চলতি ফসলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পিয়াজ ১০,  সবজি ৪,ধনিয়া ২,ভূট্রা ১,গম ৫, মশুরি ৩ হেক্টর জমিতে আংশিক ক্ষতি মধ্যে পরবে।মাটিতে ফসল নুয়ে পড়ায় ১০ % ফলন কম হওয়ার আশংকা। পাট ও আউসে সরকারে প্রনদনা আসলে ক্ষতিগ্রস্হ কৃষকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া থাকবে।

এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমীন ইয়াসমীনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, ‘বুধবার রাত ১টার পরে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রামের শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েক শত গাছপালা উপড়ে যায় এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে তার ছিড়ে যায়।বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।’


এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।

নুরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে পঞ্চগড় "আহার"এর ইফতার বিতরণ

নুরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে পঞ্চগড় "আহার"এর ইফতার বিতরণ

 


পঞ্চগড় প্রতিনিধি: আসাদুজ্জামান আপেল  পঞ্চগড় জেলা পঞ্চগড়ে নুরানী ও হাফিজিয়া মাদসারায় শিক্ষার্থীদের  মাঝে ইফতার বিতরণ করেছে পঞ্চগড় "আহার " নামে একটি সমাজ উন্নয়ন সংগঠন।

বুধবার   (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫ টায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজির হাট নুরানী ও হাফিজিয়া মাদসারা, এতিম ও লিল্লা বোডিংএ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদেের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়।


পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম,পঞ্চগড় "আহার " এর সভাপতি আব্দুর রহিম,সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আপেল,দানবীর ও সদস্য আব্দুল সালাম রাসেল, সহসভাপতি আব্দুর রউফ শিক্ষার্থীদের হাতে ইফতার তুলেদেন। এসময় পঞ্চগড়"আহার" এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন- ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন- ভুটানের রাজা

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম : ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে  ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

পরে তিনি সড়ক পথে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ।

ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতন করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌছেন। সেখানে মধ্যান্য ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের  নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম,এ আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী  চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ  সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ  মোঃ মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।

আর ভুটানের রাজার আগমনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন স্থানীয় প্রশাসন। ধরলা নদীর পুর্ব পাড়ে ২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ  জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ভুটানের রাজার ৪ দিনের ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ সোমবার ঢাকায় কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। 

রাণীশংকৈলে বিনামূল্যে পাট বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ উদ্বোধন

রাণীশংকৈলে বিনামূল্যে পাট বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ উদ্বোধন

 

সুজন আলী, রাণীশংকৈল প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারন প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ চলতি অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রানীশংকৈল উপজেলা পাট অধিদপ্তর অফিস চত্বরে এ বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।


রানীশংকৈল উপজেলায় ২ হাজার ৪০০ জন কৃষকের মাঝে প্রতি জনকে ১ কেজি করে পাট বীজ, ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩কেজি টিএসপি, ৩ কেজি এমওপি বিতরণ করা হবে।


এ সময় রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম,জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার মালাকার, উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও সুবিধাভোগী কৃষকেরাও উপস্থিত ছিলেন।

রানীশংকৈলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান।

রানীশংকৈলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান।

রফিকুল ইসলাম সুজন, রানীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা হলরুমে  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সমতল ভূমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আযম মুন্না, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি, ইএসডিও ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম,আদিবাসী নেতা সুগা মূর্মু ও স্থানীয় সাংবাদিকরা । এসময়  প্রাথমিক  স্কুল পর্যায়ে  ২৫ জনকে জনপ্রতি ২৫০০টাকা, উচ্চ  বিদ্যালয় পর্যায়ে ১৮ জনকে জনপ্রতি ৬০০০টাকা এবং কলেজ পর্যায়ে ৯ জনকে জনপ্রতি ৯৫০০ টাকা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে,একই দিনে ৬ জন আদিবাসী মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে  ৬ টি  বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

 ইকবাল হোসেন, বোরহানউদ্দিন (ভোলা)  প্রতিনিধিঃ ''স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ'' শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ" এই স্লোগানকে ধারণ করে,  ভোলার বোরহানউদ্দিনে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সম্মানে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ বিট পুলিশিং সভা, আলোচনা সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার  (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বোরহানউদ্দিন থানায় মনোরম পরিবেশে এ ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহিদুজ্জামান  বিপিএম। 

 ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহিন ফকির বিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন 

বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ মিয়া, বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ রায়হান উজ্জামান ,বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পৌরসভার কমিশনার সহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা উপকূলের হাজারো শিশু স্কুল বাদ দিয়ে পানির সন্ধানে

সাতক্ষীরা উপকূলের হাজারো শিশু স্কুল বাদ দিয়ে পানির সন্ধানে


মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরা : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরা উপকূলে বেড়েছে লবণাক্ততা। মিষ্টি পানির উৎস নষ্ট হয়ে সুপেয় পানির সংকট দিন দিন আরো তীব্র হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিশু শিক্ষার উপর।

সুপেয় পানির সংকটে থাকা উপকূলের হাজারো শিশুকে প্রতিদিনই স্কুল বাদ দিয়ে যেতে হচ্ছে পানির সন্ধানে। ফলে অনেকেই ঝরে পড়ছে প্রাথমিকের পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগেই।

কখনও দুর্গম মেঠো পাড়ি দিয়ে, কখনো বা নৌকা বেয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয় তাদের। এতে শিশু শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় হয়ে পড়ছে অনিয়মিত।

সাতক্ষীরা শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন জানায়, আমি ক্লাস থ্রি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। দুই বছর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমার দুটো ছোট ভাই আছে। আমার আম্মু তাদের নিয়ে সবদিকে সামলে পারে না। আমি পানি আনতে পারি বলে আমাকেই আসতে হয়। আম্মু পানি আনতে আসবে কখন? আর রান্না করবে কখন। সেজন্য আমিই পানি নিতে আসি। এসে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পানি নিতে হয়। পানি নিতে এসে অনেক দেরী হয়ে যায়। ১টা/২টা বেজে যায়। সেই পরিস্থিতির জন্য আমি পড়াশুনা করতে পারিনি।

দূর-দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করতে পারলেই পানির চাহিদা মেটে উপকূলের মানুষের। সেটা সম্ভব না হলে বাধ্য হয়ে পান করতে হয় পুকুরের পানিও।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক রোজিনা বেগম বলেন, সুন্দরবন অঞ্চলে খাবার পানির খুবই সমস্যা। এই অঞ্চলের পানি লোনা। দুই কিলোমিটার দুরে পানি আনতে যেতে হয়। এক থেকে চার কলস পানি আনা লাগে। সংসারের কাজ রান্না বান্না ও পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতে গেলে পানি আনতে যেতে পারি না। সেজন্য বাধ্য হয়ে মেয়েকে পানি আনতে পাঠাতে হয়। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পানি আসতে যেয়ে মেয়ের স্কুলের সময় চলে যাই। সে কারণে মেয়ের লেখাপড়া হলো না। পড়াশুনা না করলে আমরা বেঁচে থাকতে পারি, কিন্তু পানি না হলে বেঁচে থাকতে পারি না। যার কারণে মেয়েটার লেখাপড়া আজ বন্ধ হয়ে গেছে।

সুপেয় পানির কিনতে হলে আয়েরও একটি বড় অংশ ব্যয় করতে হবে উপকূলের পরিবারগুলোকে। অনেকেরই নেই সে সামর্থ্য। অন্যদিকে, বিনামূল্যের পানি সংগ্রহে ব্যয় হয় দিনের বড় একটা সময়। ফলে সন্তানকে স্কুলে না পাঠিয়ে পানি সংগ্রহ করতে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক অভিভাবক।

পানির কলে পানি নিতে আসা অভিভাবক সোনিয়া বেগম বলেন, বাচ্চারা পানি নিতে আসলে তাদের স্কুলে যাওয়া হয় না। সেজন্য আমাদের বাচ্চাদের যাতে সঠিক সময়ে স্কুলে পাঠাতে পারি সেজন্য অনেক সময় আমরা পানি নিতে আসি। পানি নিয়ে বাড়ি ফিরে বাচ্চার টিফিন গোছানো এবং পোশাক গুছিয়ে দিয়ে হয়। ৯টা থেকে স্কুল হলে পানি নিয়ে বাড়ি ফিরে রান্না করতে করতে সাড়ে সাড়ে ৮টা বেজে যায়। অনেক সময় বাচ্চার না খেয়ে স্কুলে চলে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা উপকূলের কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থী হাজিরার তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে উপস্থিতির হারের তুলনায় শুষ্ক মৌসুমে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে আসে।

বুড়িগোয়ালীনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক উম্মে তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের এলাকায় সুপেয় পানি তীব্র সংকট রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে আমাদের পানির সংকট আরও তীব্র হয়। ফলে আমাদের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের পানির সংকট মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পানি আনতে যায়। ফলে তারা স্কুলে আসতে দেরী হয় কখন তারা স্কুল মিস করে। এভাবে তারা স্কুলের প্রতি অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। বাড়ির কাজে প্রতি সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়ে। সে কারণে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এনজিও অফিসার নাজমা আক্তার বলেন, শ্যামনগর উপজেলায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ৩০শতাংশ। বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত হয়ে এই সব শিশুরা ঝরে যাচ্ছে। এই এলাকার শিশু এবং নারীরা পানি সংগ্রহের ক্ষেত্রে বেশি সময় দেয়। কারণ এখানকার মানুষ সব সময় সুপেয় পানির সংকটে সবসময় ভোগে। 

শ্যামনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম রাতুল বলেন, সুপেয় পানি প্রাপ্তি বৃদ্ধির জন্য সরকারি নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকৃতিক আগে যে সাদু পানির জলাশয়গুলো ছিলো খনন করে সেগুলোর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেখানে নলকুপের মাধ্যমে স্বাদু পানি পাওয়া যায় সেখানে নলকূপ প্রদান করা। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য প্রতিবছর অনেক পরিবারের মাঝে পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়ে থাকে। সুপেয় পানির সংকট কমাতে এলাকাভিত্তিক পুকুর খনন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে বিভিন্ন ধরনের উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হয়।