মিউনিখের হোটেল বেরিসচার হোফে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে ৬০তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে এমএসসি। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০১৯ সালে নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বেলা ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিজি-২০৭) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিমানবন্দরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য এবং পদস্থ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে উইমেন পলিটিক্যাল লিডারসের (ডব্লিউপিএল) সভাপতি সিলভানা কোচ-মেহরিন প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার আবাসভবনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। দুপুরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি লর্ড ক্যামেরন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার বাসভবনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন এবং কনফারেন্স হলে হোটেল বেয়েরিশার হফ-এ কনফারেন্স চেয়ারের বক্তব্যকে স্বাগত জানাতে পারেন। একই দিনে বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যান্ড পার্টনারশিপের সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ সম্মেলনস্থলে সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী হোটেল বেইরিশার হফ-এ ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শেখ হাসিনা এরপর হোটেল বেয়েরিশার হফের মেইন হল আই-এ ‘ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট: স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। রাতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানিতে বার্গারহাউস গার্চিং-এ প্রবাসী বাংলাদেশিদের কমিউনিটি রিসেপশনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হোটেল বেয়েরিশার হফ-এ কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর হোটেল বেয়েরিশার হফ-এ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সভেনজা শুলজে সম্মেলনের ভেন্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা এবং ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের মধ্যে বৈঠকটি কনফারেন্স ভেন্যু’র গার্ডেন সেলুনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী পরে কিসারসাল মিউনিখের আবাসভবনে ইওয়াল্ড ভন ক্লিস্ট পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন। ১৮ ফেব্রুয়াররি প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ সময় ২১:১০টায় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট বিজি-২০৮-এ ঢাকার উদ্দেশ্যে জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় (ঢাকা সময়) প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
0 coment rios: