মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশকে মারধর করায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার ।

 


রফিকুল ইসলাম সুজন, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এক গ্রাম পুলিশকে বেদড়ক মারপিট করার অপরাধে ইউপি সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ ।


জানা যায়, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার রাতে নেকমরদ বাজারে উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম সহ তার ছেলে রুবেল ইসলাম ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ শ্রী জগেন্দ্র নাথ রায়কে অতর্কিত ভাবে বেধড়ক মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।


এঘটনায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ 

বাদি হয়ে দবিরুল ইসলাম সহ তার ছেলেকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। 


অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ শ্রী জগেন্দ্র নাথ রায় ইকো সোশ্যাল অর্গানাইজেশন(ইএসডিও) বে-সরকারী ঋণ বিতরণ এনজিও থেকে ১ বছর আগে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। সে টাকার কিন্তি পরিশোধের সময় অতিবাহিত হয়ে পড়ে। এনজিও কর্মকর্তাদের চাপের মুখে সে ইউপি সদস্য দবিরুলের মধ্যস্থতায় ইএসডিও এনজিও’র সর্বশেষ ৯ হাজার পাওনা টাকা ব্যবস্থাপকের হাতে তুলে দেন। 

ইএসডিও’র ব্যবস্থাপক সে টাকা জমা না করে, অন্যত্রে বদলি হয়ে পড়েন। ব্যবস্থাপকের কাছে কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার কোন প্রমাণ না থাকায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথকে আবারো ৯ হাজার টাকা ইউএসডিও কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয়। এদিকে নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদে এক সভায় ওই ব্যবস্থাপককে দেখতে পায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ। এবং সেদিন লোকজনের উপস্থিতি বেশি থাকায় তিনি তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেননি বলে জানান ইউপি সদস্য দবিরুলকে।


গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায়ের এমন কথায় ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে বেধরক মারপিট করে । এসময় গ্রাম পুলিশের পোষাক পরিহিত ছিল। তার পোষাকের বিভিন্ন অংশেও ছিড়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে।


সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম বলেন, তিনি একটি মাত্র থাপ্পড় দিয়েছেন। 

সংশ্লিষ্ট নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, 'ঘটনাটি দু:খ জনক। গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা হওয়ার তা হবে। 


থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে এবং একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। আজ জেলা কারাগার পাঠানো হয়েছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: