মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চলছে রাস্তা নির্মাণ !

 

মোঃ মজিবর রহমান শেখ:ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের দোশিয়া মমিন পাড়া- ভাটাপোড়া গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের কাদাযুক্ত ও রাবিশ বালু দিয়ে রাস্তার সেন্ডফিলিং করা হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রাস্তাটিতে মাটি খনন করে তাতে সেন্ডফিলিংয়ে কাদাযুক্ত ও রাবিশ বালু দেওয়া হয়েছে। রাজবাড়ী থেকে বাজেবকসা যাওয়ার পথে বরাদ্দের রাস্তা সংলগ্ন মেইন রাস্তার পাশে ইট স্তূপ করে সেখানেই খোয়া ভাঙা হচ্ছে রাস্তার সাববেজে দেওয়ার জন্য। ইটের স্তূপে দেখা যায় দুই, তিন নম্বর ও ভাটার পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা নিম্নমানের ইট। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন দোশিয়া মমিন পাড়া- ভাটাপোড়া গ্রাম পর্যন্ত ৫শ মিটার রাস্তা নির্মাণে ৪৬ লাখ ৯১ হাজার টাকায় কাজটি সম্পন্ন করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কারিব এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাণীশংকৈলে ঠিকাদারদের মুখে মুখে একটি কথা প্রচলিত আছে টেস্টে পাশ সবি পাশ। কোনরকমে টেস্টের রিপোর্ট পাশ করাতে পারলেই বেঁচে যান ঠিকাদাররা। এ নিয়ে রানীশংকৈল উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। অভিযোগ রয়েছে এলজিইডি কর্মকর্তাকে টাকা দিলেই টেস্টের রিপোর্ট পাশ হয়ে যায়‌। স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস আলী হরতাল বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একটি পাকা রাস্তা পেতে যাচ্ছি। ঠিকাদার নিজের ইচ্ছেমতো পুকুরের কাদাযুক্ত ও রাবিশ বালু রাস্তায় দিয়েছে। স্থানীয়রা নিষেধ করলেও তারা রাতের আঁধারে কাদাযুক্ত বালুর উপর রাবিশ বালু দিয়েছে। এভাবে রাস্তা নির্মাণ করলে রাস্তা বেশিদিন টিকবে না। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা কাজল রানা বলেন, ‘রাস্তাটিতে নিচের স্তরে পুকুরের কাদাযুক্ত বালি ফেলা হয়েছে উপরে রাবিশ বালু দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করছে ঠিকাদার। রাস্তায় দেওয়ার জন্য যে ইট আনা হয়েছে সেগুলো দুই, তিন নম্বর ও ভাটার পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা ইট। সে ইটগুলোই খোয়া করছে রাস্তায় দেওয়ার জন্য। এলাকাবাসী ঐসব খোয়া ভাঙা বন্ধ করে দিলেও ঠিকাদার পরে আবারও ওসব ইট এনে খোয়া প্রস্তুত করছে। ঠিকাদারের ম্যানেজার শাহানশা বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এলজিইডি অফিস থেকে আমাদের ইট টেস্ট করে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। ইট টেস্টে পাঠানো হবে, টেস্টের রিপোর্ট পেলে আমরা সাববেজের কাজ শুরু করবো। আর বালুর বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

রাণীশংকৈল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইট টেস্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ইট টেস্টের রিপোর্ট আসলে কাজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। বালুর কোনো সমস্যা থাকলে তা পরিবর্তন করা হবে।’


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: