আরকান আর্মিসহ কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৫৬ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
রোববার সকালে প্রথমে ১৪ জন অস্ত্রসহ বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে বাকিরা দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সীমান্ত অতিক্রম করে আশ্রয় নিয়েছেন বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে। তাদের মধ্যে আহত ১০ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জমাকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৫টি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, ২ টি পিস্তল, ১৪ টি হ্যান্ড গ্রেনেড, মর্টার শেল, ফিউজসহ গোলাবারুদ।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ''কেউ যখন আত্নরক্ষার্থে ঢুকে থাকে তখন আমাদের করার কিছু থাকে না। আমরা তাদের আটক রেখেছি। তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দিবো আমরা।''
এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ৩টা থেকে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের ওপাওে মিয়ানমার ভূখণ্ডে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ হচ্ছিলো। নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছে ৩ জন। তারা হলেন- কোনার পাড়া গ্রামের প্রবীন্দ্র ধর, রহিমা বেগম এবং শামশুল আলম। আতংকে ঘর সীমান্ত এলাকার লোকজন বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সীমান্তে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
৩৪ বিজিবির সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকি বলেন, সারাদিনই সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বিজিপি সদস্যরা আসতে থাকে। আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সীমান্তের দিকে নজর রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
0 coment rios: