শনিবার দুপুরে জার্মানির মিউনিখে চলমান মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের (এমএসসি) সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দুই নেতার বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন জেলেনস্কি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু প্রণীত পররাষ্ট্রনীতি, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফ-এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। তাঁরা পারস্পরিক ও বৈশ্বিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে একই স্থানে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি লর্ড ক্যামেরন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।
বৈঠকে উভয় নেতা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা পারস্পরিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসব বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
মিউনিখে শুক্রবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এই সম্মেলনে ৬০তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে এমএসসি। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০১৯ সালে নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনদিনের সরকারি সফর শেষে ১৮ প্রধানমন্ত্রী ফেব্রুয়ারি ২১:১০টায় বিমান বাংলাদেশের বিজি-২০৮ ফ্লাইটযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
0 coment rios: