কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে বসবাসরত করছে রোহিঙ্গারা। চেকপোস্ট বসিয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০ টায় চেকপোস্ট বসিয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হয়েছে ৪০ জন রোহিঙ্গাকে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সূত্রে জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টি ক্যাম্পে কাঁটাতার কেটে রোহিঙ্গারা দেশের নানাপ্রান্তে পালিয়ে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাড়তি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তাদের কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মূলত কাজের সন্ধানে তারা নানা উপায়ে ক্যাম্প ছাড়ছেন বলে জানিয়েছে এপিবিএন।
এ ব্যাপারে উখিয়া-৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর বলেন, ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্রে চলে যাওয়ার সময় যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে চলতি মাসে ৫১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা মূলত প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এপিবিএন রোহিঙ্গাদের বিষয়ের সজাগ করেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি সেনা ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের সংখ্যা ছিল বেশি। এছাড়া সে দেশের সেনাবাহিনী, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ছিলেন তাদের মধ্যে। আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এখনও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বিপরীত পাশে মিয়ানমারের সরকারি সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সেই সংঘর্ষের জের ধরে বর্তমানে টেকনাফ পৌর এলাকা, সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনসহ আশপাশের এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
0 coment rios: