শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে তিনদিনব্যাপী এই নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনের প্যানেল আলোচনায় এ আহ্বান জানান। তিনি এসময় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ৬ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। হোটেল বেয়েরিশার হফের মেইন হল আই-এ ‘ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট: স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ শীর্ষক এ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনা এর আগে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের (এমএসসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। হোটেল বেয়েরিশার হফের কনফারেন্স হলে কনফারেন্স চেয়ারের উদ্বোধনী ও স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপনকালে অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী খালিদ বিন খলিফা বিন আবদুল আজিজ আল থানি। হোটেল বেয়েরিশার হফ-এর সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন উইমেন পলিটিক্যাল লিডারসের (ডব্লিউপিএল) প্রেসিডেন্ট সিলভানা কোচ-মেহরিন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন। যুক্তরাজ্যের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং মেটা গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ বৈঠক করেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। মিউনিখের হোটেল বেরিসচার হোফে শুক্রবার শুরু হওয়া মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এই সম্মেলনে ৬০তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে এমএসসি। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০১৯ সালে নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনদিনের সরকারি সফরে মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি লর্ড ক্যামেরন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার বাসভবনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যান্ড পার্টনারশিপের সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ সম্মেলনস্থলে সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানিতে বার্গারহাউস গার্চিং-এ প্রবাসী বাংলাদেশিদের কমিউনিটি রিসেপশনে যোগ দেওয়ার কথা। ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হোটেল বেয়েরিশার হফ-এ কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর হোটেল বেয়েরিশার হফ-এ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সভেনজা শুলজে সম্মেলনের ভেন্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
শেখ হাসিনা এবং ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের মধ্যে বৈঠকটি কনফারেন্স ভেন্যু’র গার্ডেন সেলুনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী পরে কিসারসাল মিউনিখের আবাসভবনে ইওয়াল্ড ভন ক্লিস্ট পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন। ১৮ ফেব্রুয়াররি প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ সময় ২১:১০টায় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট বিজি-২০৮-এ ঢাকার উদ্দেশ্যে জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় (ঢাকা সময়) প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
0 coment rios: