রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩

ক্যাপ্টেন শাহাদাত এর অভিনব প্রতারনা, টার্গেট করেন মাঝ বয়সী বিবাহিত নারী ও উঠতি তরুনী।

 

সাবিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টারঃ  এ যেন প্রতারণা নয় যেন এক শিল্পকর্ম। এ শিল্প তা কে এনে দেয় কাড়ি কাড়ি কড়ি সাথে নিত্য নতুন সুন্দরী নারী। এ শিল্পের কারিগর কোন সাধারণ মানুষ নয়, তিনি একাধারে ক্যাপ্টেন আবার একই সাথে পাইলট এ যেন একই মানুষের একই অঙ্গে বহুরূপের অধিকারী চিরসবুজ ও তরুণ ব্যক্তিত্ব নাম তার শাহাদত হোসেন চির সবুজ প্রবীণ ৬৫ বছরের হলেও তিনি যেন এক তরতাজা উদ্দীপ্ত তরুণ।

তিনি অনেক বিত্তবৈভবের মালিক সর্বত্র প্রচার করেন। বিশেষত সুন্দরী নারী থাকে তার মূল আকর্ষণ। যেসব নারীরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি হয়ে দাঁড়ান তাদের স্বপ্নদ্রষ্টা। দেবতুল্য এই মানুষটি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য কখনো টার্গেটকৃত নারীদের নিয়ে যায় কোন দামী রেস্টুরেন্ট এ আবার কখনও নিজের দামী গাড়িতে। তার কথার মায়াজালে প্রলুব্ধ হয়ে অবলা নারী যেন খুঁজে পায় আলাদীনের প্রদীপের ন্যায় তরতরীয়ে উপরে উঠার সিড়ি। আদতে এ নয় কোন প্রদীপ এ যেন প্রতারনার এক নতুন ফাঁদ।

আকৃষ্ট করার জন্য তিনি বলেন সুন্দর সুন্দর কথা, রোমান্টিক  মুডে কথা বলার মাধ্যমে সাথের মানুষটিকে দেখান আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সিড়ি হিসেবে প্রথমে নিয়ে যান নিজের হোটেলের স্যুটে যার ভবিষ্যত মালিক হবেন ওই সুন্দরী নারী  বিনিময়ে কিছুই সে চায় না, চায় শুধু ভালোবাসা কেননা তার বর্তমান স্ত্রী তাকে ভালবাসেন না, স্ত্রী তাকে করেন অবহেলা, জীবনের এ পড়ন্ত বিকেলে তিনি চান এমন একজন সারথি যাকে তিনি সব কিছু দিয়ে গড়ে দিবেন এক মহাবিশ্ব। 

তার বিত্ত ভৈবের ফিরিস্তিতে আছে ধানমন্ডিতে বাড়ি, কক্সবাজারে হোটেল, মোহাম্মদ পুর এর কমার্শিয়াল প্লেস, মিরপুর এর কমার্শিয়াল প্লেস, বসিলায় বিঘায়-বিঘায় জমি, পূর্বাচল এ বিশাল প্লট, এছাড়া ও ঢাকার আনাচে কানাচে সহ সাড়া দেশে অঢেল সম্পদ। বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথম প্রথম কিছু টাকা ও দেন। আবার কখনো  এনবিআর এর ঝামেলা এড়ানোর জন্য তরুণীদের সাথে নিয়ে  তরুণীর আই.ডি কার্ড দিয়ে নিজের একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করান, তার মাধ্যমে তরুণীর মধ্যে পরিপূর্ণ বিশ্বাস জন্মায় যে এ মানুষটি অনেক অর্থের মালিক। 

এই বিশ্বাসের এক পর্যায়ে নারীর শরীর নেয়ার পরে নজর দেন নারীর টাকা পয়সা ও সম্পত্তির দিকে, এক পর্যায়ে তিনি নারী কে জানান তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসায় করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন এখন তার টাকা দরকার তাই অনেক দামী সম্পদ কম দামে বিক্রি করবেন, তার কোন কেনার লোক থাকলে আরও কমে দিবেন ফলে ঐ নারী নিজের আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে টাকা দেন তাকে ডিড ডকুমেন্টসও দেন কিন্তু দেন না সম্পদের দখল ও রেজিষ্ট্রেশন।  এক পর্যায়ে এ সকল নারীরা সব হারিয়ে হয়ে পড়েন অসহায়,  কেউ হারান পিতার পরিবার কেউ হারান সাজানো সংসার। আমাদের অনুসন্ধানে অনেক নারীর তথ্য এসেছে কারও কাছে প্রমান আছে কারও কাছে নেই।  

এরকমই এক নারী যার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ এ নারীর কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন ২,৩০,০০,০০০/- (দুই কোটি ত্রিশ লক্ষ) টাকা। এ নারীকে টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি দেন নারীর চরিত্র নিয়ে নিউজ করা হবে বলে কথিত পোষা সাংবাদিক দিয়েও হুমকি দেন। উপায় না পেয়ে ঐ নারী মামলার পথ বেছে নিয়েছেন।

সমাজ বিশ্লেষকদের মতে, সমাজে নারীদের সচেতনভাবে পথ চলা উচিত এবং যেকোন বিরূপ পরিস্থিতিতে আইনের আশ্রয় নেয়া শ্রেয়। সাথে সংশ্লিষ্ট পরিবারেরও উচিত প্রতারিত নারীদের দূরে ঠেলে না দিয়ে পাশে দাড়ানো।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: