নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছিলো। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে শনিবার মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিংয়ে ৪ বলে হাতে থাকতেই ২৫৪ রানে অলআউট হয় কিউইরা। এতে ২৫৫ রানের লক্ষ্য পায় টাইগাররা। জাবাবে ব্যাটিং নেমে ১৬৮ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ব্যাটিং লাইন। এতে ৮৬ রানে জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বোলিংয়ে ছয় উইকেট নিয়ে কিউইদের জয়ের নায়ক ইশ সোধি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা কিউই ওপেনার উইল ইয়ংকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ফিন অ্যালেন ও চ্যাড বোয়েস। তবে মোস্তাফিজের তৃতীয় ওভারে স্লিপে ক্যাচ আউট হন অ্যালেন। পরের ওভারে ১১ রান করে খালেদের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন বোয়েস। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা কিউইদের টপ অর্ডার।
কিন্তু অপর প্রান্তে থিতু হন নিকোলস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন টম ব্লান্ডেল। তাদের ৬৫ রানের জুটিতে ভর করে নিউজিল্যান্ডের শতক পূরণ হয়। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করে চাপ সামাল দিয়ে কিউইদের এগিয়ে নিচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটার। তবে অভিষিক্ত খালেদের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া হেনরি নিকোলস। এরপর ১০ রানে রাচিন রাবীন্দ্রাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শেখ মাহেদী। দলীয় ১৬৬ রানে ৬৫ বলে ৬৮ রান করা ব্লান্ডেলকে বোল্ড করে টাইগারদের খেলায় ফেরায় হাসান মাহমুদ। সোদিকে সঙ্গে নিয়ে পিচে টিকে থাকার চেষ্টা করেন কাইল জেমিসন। ২৮ বলে ২০ রান করে জেমিসন আউট হলে ১৭ রান করে হাসানের মানকার্ডে সৌদি শিকার হলেও লিটন ও হাসানের মানবিকতায় আবারো মাঠে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৩৫ রান করে সোধি আউট আউট হলে ২৫৪ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউই বোলারদের দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। ১৬ বলে ৬ রান করে লিটন আউট হলে ব্যাট চালাতে শুরু করেন অবসর ভেঙে দলে ফেরা অভিজ্ঞ তামিম। ১২ বলে ১৬ রান করে তানজিদ তামিম আউট হলে, শূন্য রান করে তার দেখানো পথে হাটেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রিয় ছাত্র সৌম্য সরকার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। ৭ বলে ৪ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয়। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এদিন মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম ইকবাল। তবে ৪৪ রান করে ফিফটি পূরণের আক্ষেপ নিয়ে আউট হন এই বামহাতি ব্যাটার। এরপর শেখ মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ। ১৭ রান করে মাহেদী আউট হলে রিয়াদের উপর চাপ বেড়ে যায় হয়।
দীর্ঘ পাঁচ মাস পর নানা আলোচনা-সমালোচনার পর দলে সুযোগ পেয়ে ৭৬ বলে ৪৯ রান করে মাহমুদুল্লাহ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। যা টাইগারদের ইনিংসের সবোচ্চ রান। লিটন-সৌম্যদের উইকেট মিছিলের দিনে মিরপুরে ব্যাট হাটে আলো ছড়িয়েছেন নাসুম আহমেদ। ২১ রানে আউট হলেও অসাধারণ কিছু শট খেলে দর্শকদের মন জয় করেছেন নাসুম। খালেদ (১) ও হাসান মাহমুদ শূন্য রানে আউট হলে ১৬৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। এতে ৮৬ বড় জয় পায় নিউজিল্যান্ড। ফলে ১৫ বছর ওয়ানডেতে টাইগারদের ঘরের মাঠে জয় পেলো কিউইরা। সবশেষ ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ওয়ানডে জিতে ছিলো নিউজিল্যান্ড। ইশ সোধি ছাড়াও কাইল জেমি ২ টি, লকি ফার্গুসন ও কোল ম্যাককেনচি একটি করে উইকেট শিকার করেন।
0 coment rios: