নিউ ইয়র্কে শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন কার্যকর করার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বলেছে; কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তাকে স্যাংশন দেবে। এখানে আমার কথা থাকবে। এই বানচাল করার চেষ্টাটা যেনো বাইরে থেকেও না হয়। বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্যাংশন দিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আজকের ঘোষণায় অপজিশনসহই বলা হয়েছে। তো অপজিশন বলাতে অন্তত একটা ভালো যে, বিএনপি জামায়াত তো ২০১৩-১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন ঠেকাতে জ্বালাও-পোড়াও করেছিলো। মানুষ হত্যা করেছিলো। এই যে নির্বাচন বানচাল করার যে অপচেষ্টা, এবার বোধহয় অতোদূর যেতে পারবে না। যাবে না। শেখ হাসিনা বলেন, তারা তো পুলিশের ওপর আঘাত করে। আঘাত করলে পুলিশ যখন প্রতিরোধ করে, তখন সেই ছবি তুলে বড় করে প্রচার করে। আমাদের মিডিয়ায় যারা এগুলো তোলে, তারা সবগুলোই ভালো করে দেখাক। যারা এই স্যাংশন দিয়েছে, তারা ওটাও দেখবে। এক তরফা দেখবে না। কারা শুরু করেছে, শুরুটা কারা করলো; সেটা আগে দেখতে হবে। আর যদি শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি কিন্তু কারো শক্তিতে বিশ^াস করে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে। জনগণের ভোটে এবং আমি কাজ করছি জনগণের কল্যাণে। এখানেই আমাদের সার্থকতা। কাজেই কে স্যাংশন দিলো, কে দিলো না; আত্মীয়স্বজন থাকলেও কি করবে, আমার ছেলে তো এখানেই আছে। পড়াশোনা করেছে, ব্যবসা করেছে। বিয়ে করেছে। মেয়ে আছে। সম্পত্তি আছে। সবই তার আছে। যদি বাতিল করে করবে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনো পন্থায় যদি কেউ ক্ষমতায় আসতে চায়, তাহলে তাদের কিন্তু সাজা পেতে হবে। এটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশে আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ নেই। এখন একটা গোলমাল সৃষ্টি করে কেউ যদি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সে শাস্তির মুখোমুখি হবে। এই কথাটা কিন্তু ভুললে চলবে না। আমরা অনেক সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক ধারাটা এনেছি, ধারাটা অব্যাহত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের আমলে যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আর আমরাও সরকারে এসেছি জনগণের ভোটে। কেউ আমাদেরকে হাতে তুলে দেয়নি। কাজেই নির্বাচন স্বচ্ছ হোক, অবাধ হোক, সেটা আমরাই চাই।
0 coment rios: