পুরোটা সময় ধরেই কি দর্শকদের সবাই কোনো ঘোরের মধ্যে ছিলেন। আমি যে ছিলামÑ তা নিশ্চিত। কী যে এক সম্মোহনী শক্তি পর্দা থেকে চোখ ফেরাতেই দিলো না। আমরা দেখছিলাম ‘নকশীকাঁথার জমিন’। ‘টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (টিএমএফএফ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছবিটি দেখানো হয়। [২] শহরে এখন চলছে মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এর সমাপনী। নানা দেশের, নানা ভাষার নানা মেজাজের সিনেমা দেখার এ এক অপূর্ব আয়োজন। সিনেমা পাগল কিছু বাংলাদেশি কানাডীয়ান তারুণ্যের ভালোবাসার ফসল ‘টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (টিএমএফএফ) এবার ৬ষ্ঠ বছরে পা দিয়েছে।
মূলধারার সিনেমা হল সিনেপ্লেক্স (২২ লেভোবিক এভেনিউ) ছিমছাম আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ফেস্টিভ্যালের। এমপিপি ডলি বেগম ছিলেন প্রধান অতিথি। ডলি বক্তৃতা করতে উঠে মঞ্চে ডেকে নেন এই আয়োজনের ভলান্টিয়ার টিমকে। প্রবাসে বাংলাদেশিদের যতো অনুষ্ঠানাদি হয়, প্রায় সবখানেই বাচ্চারা থাকে উপেক্ষিত। টিএমএফএফ হচ্ছে ব্যতিক্রম, যেখানে নতুন প্রচন্মের একঝাঁক ছেলে মেয়ে সংযুক্ত থাকে, ভলান্টিয়ার হিসেবে। টানা কয়েক দিন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকে তারা, সিনেমার পাশাপাশি বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গেও তাদের আন্তরিকতাটা গাঢ় হয়। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের জন্য টরন্টো ফিল্ম ফোরাম বাড়তি ধন্যবাদ পাওনা।
নকশীকাঁথার জমিন’ নিয়েই বলি। শক্তিমান কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের গল্প, কাজেই সিনেমার কাহিনী অসাধারণ হবে তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু যারা অভিনয় করেছেন, তারা যে কী নিপুণ দক্ষতায় গল্পটাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। নির্মাতা আকরাম খানকে ধন্যবাদ জানাই। ‘নকশীকাঁথার জমিন’ তার প্রতিভা এবং সক্ষমতা দুটোকেই আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।
সত্যি বলতে কী, জয়া আহসানের অভিনয় আমি আগে দেখিনি। এই প্রথম তার অভিনীত কোনো সিনেমা দেখলাম। জয়া আহসানের অসাধারণ অভিনয় মুগ্ধ করেছে। [৫] টরন্টো ফিল্ম ফোরামের প্রেসিডেন্ট এনায়েত করীম আমাদের বাবুল ভাইকে ধন্যবাদ, ব্যতিক্রমী চিন্তার অপূর্ব একটা টিমকে সঙ্গে নিয়ে সিনেমা দেখার অসাধারণ একটা উৎসবের আয়োজন করার জন্য।
লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক
0 coment rios: