সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র বেড়েছে দুই হাজার ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩ কক্ষ ২ লাখ ৬০ হাজার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২ হাজার ১০৩টিতে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোটকেন্দ্র বেড়েছে ১ হাজার ৯২০টি। পাঁচ বছর আগের সেই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪০ হাজার ১৮৩টি।



আগামী সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করে ইসি। সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে সময় দেওয়া হয়েছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। গতকাল রবিবার ছিল দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময়। ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।


নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের প্রকাশিত খসড়া তালিকার ওপর যে দাবি-আপত্তি এসেছিল, সেগুলো শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।


খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ৪২ হাজার ৩৫০টির মতো ভোটকেন্দ্র রেখেছিল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কমিটি। সেখানে ভোটকক্ষ রাখা হয়েছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০টির মতো। শুনানি শেষে কেন্দ্র টিকল ৪২ হাজার ১০৩টি। এতে ভোটকক্ষ রয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজারের মতো।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়। এতে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি।


সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। হিজড়া ভোটার ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো।


এদিকে ভোটের প্রস্তুতি বেশ জোরেশোরে এগিয়ে নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। একদিকে চলছে নির্বাচনী উপকরণ কেনার কার্যক্রম; অন্যদিকে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুতের কাজও চলছে।

মাঠপর্যায়ে পাঠানো ইসির এক নির্দেশনায় জানা গেছে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানাভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য পাঠানো হবে। এরপর আগামী ২৮ অক্টোবর উপজেলা বা থানাভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে। ২ নভেম্বর ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে। এর পর তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে। সুত্র: আমাদের সময়.কম 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: