শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকার ক্লাব ফুটবলে ‘কিংবদন্তি’ কাকার কাজিন!



কয়েক বছর ধরেই ঢাকার ফুটবলে বেশ কিছু হাই প্রোফাইল বিদেশি ফুটবলার খেলছেন। যে ধারাবাহিতায় এবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে খেলতে আসছেন লাতিন আমেরিকার ফুটবল পরাশক্তির দেশ ব্রাজিলের ফুটবলার হিগোর লেইতে। ব্রাজিলের শীর্ষে লিগের এই ক্লাবটির হয়ে শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতাও রয়েছে ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের।

এ ছাড়া লেইতের আরও একটি পরিচয় আছে। ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী সুপারস্টার কাকা তার কাজিন বলে জানা গেছে। এক বছরের জন্য লেইতেকে দলে টানার বিষয়টি দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শেখ জামালের চিফ কোঅর্ডিটেনেটর নাভিল খান। জানা গেছে, দুই পক্ষের প্রাথমিক চুক্তি সম্পন্ন হলেও লেইতে বাংলাদেশে আসার পর বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।নাভিল বলেন, ‘আমাদের নাম্বার টেন একজন ফুটবলার দরকার ছিল। আমরা একজন হাইপ্রোফাইল ফুটবলার খুঁজছিলাম। লেইতে ২০১২ সালে ব্রাজিলের সিরি এ শিরোপা জিতেছে। আর্মেনিয়ার শীর্ষ লিগে খেলেছে। ওর প্রোফাইল দেখে ভাবলাম, আমাদের টিমের সাথে যায়। এ জন্যই ওকে দলে ভেড়ানো।’

এবারের দল বদলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নতুন করে দল পুনর্গঠন করছে। তারুণ্যে ঝোঁক তাদের। জোর দিচ্ছে আক্রমণভাগে শক্তি বাড়াতেও। লেইতে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার- দুই ভূমিকাতেই খেলতে পারেন। এ জন্যই তার প্রতি আস্থা ক্লাবটি। মোট পাঁচজন বিদেশিকে নিয়ে স্কোয়াড সাজাচ্ছে তারা। লেইতে ছাড়াও যেখানে অন্যতম নাম স্ট্যানলি ডিমবা। নাইজেরিয়া জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৩০ বছর বয়সী এই উইঙ্গার সবশেষ মৌসুমে খেলেছেন লিবিয়ার ক্লাব ডার্নেস এসসির হয়ে। 

দেশিদের মধ্যে জাতীয় দলের ফুটবলার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, আতিকুর রহমান ফাহাদ, সাজ্জাদ হোসেন, আবু সাইদরা যোগ দিচ্ছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা মিডফিল্ডার আব্দুল্লাহকেও দলে টানছে তারা। চোটের কারণে জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া এই ফুটবলার গত মৌসুমের দ্বিতীয় লেগে খেলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে। এ ছাড়া গত মৌসুমের ছয়জনকে ধরে রেখেছে তারা। শেখ জামালের ডাগআউটে দেখা যাবে মেসেডোনিয়ান কোচ মারজান সেকুলোভস্কিকে। এই ৫০ বছর বয়সীর বাংলাদেশের ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে আগেও ডাগআউটে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেকুলোভস্কির অধীনে শেখ জামাল অক্টোবরের শুরু থেকে অনুশীলন ক্যাম্প শুরুর পরিকল্পনা করছে বলেও জানান শেখ জামালের এই কর্মকর্তা।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: