শ্রমিকদের জীবন ধারণের মতো মজুরি নির্ধারণ এবং শিল্পের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধিদের কাছে এই অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। পৃথক পৃথক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকেই যাতে বর্ধিত দর কার্যকর করা হয় সে ব্যাপারে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। বৃহস্পতিবার পাঠানো চিঠিতে পোশাক খাতের সার্বিক পরিস্থিতির বিস্তারিত এবং দর বাড়ানোর পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরা হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সরকার গঠিত নূন্যতম মজুরি বোর্ড বর্তমান পোশাক খাতের নূন্যতম মজুরি পর্যালোচনায় কাজ করছে। বোর্ড ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করেছে এবং সংশ্লিস্ট অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করছে। তারা কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এ বছরের শেষ নাগাদ নতুন নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। বিজিএমইএ অনুমান করছে, মজুরি তাদের ধারণার চেয়ে বেশি হতে পারে।
মূল্যস্ফীতি এবং শ্রমিকদের ওপর এর অভিঘাত সম্পর্কে ক্রেতাদের বিজিএমইএ জানিয়েছে, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে। গত পাঁচ বছরের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। শিল্পের প্রাণ শ্রমিকরা মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সে বিবেচনা থেকেই এবারের নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে এখন মূল্যস্ফীতি এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, অন্যান্য খরচসহ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিতে চাপে আছে পোশাক খাত। ক্রেতা প্রতিনিধিদের উদ্দেশে চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক খাতের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ শিল্পে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন ২০২টি লিড সনদের পোশাক কারখানা রয়েছে, যার মধ্যে ৭৩টি সর্বোচ্চ পয়েন্টের প্লাটিনাম-রেটেড। শিল্পে কার্বন নিগর্মন রোধকল্পে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সার্কুলারিটি গ্রহণের জন্য একটি সুস্পষ্ট সাসটেইনেবিলিটি রূপকল্প নিয়ে কাজ চলছে, যা শিল্পের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং মূল্যবোধের পরিপূরক।
চিঠিতে ফারুক হাসান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকেও সংকটে ফেলেছে। উদ্যোক্তাদের ধৈর্য, ক্রেতাদের অব্যাহত সহযোগিতা আর সরকারের নীতিসহায়তায় সব প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও শিল্পের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না সুত্রঃআমাদেরসময়.কম
0 coment rios: