মোবাইল ইন্টারনেটের তিনদিনের প্যাকেজ তুলে দিয়ে এখন তা সাতদিনের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে রোববার বিকেলে ‘মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা-২০২৩’ সংক্রান্ত সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেটে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড প্যাকেজ রাখা হয়েছে। এ নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তকে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। প্রয়োজনে তারা এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবে বলেও জানিয়েছে। তাদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে ১৬০০ গ্রাহকের বক্তব্য অনুযায়ী। ১৩ কোটি গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ১৬০০ গ্রাহকের চাহিদা অগ্রহণযোগ্য। আমাদের প্রশ্ন অপারেটররা যদি অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করল না কেন? আবার অনৈতিক অর্থের লভ্যাংশ বিটিআরসি গ্রহণ করল কেন? সর্বশেষ ক্ষুদ্র প্যাকেজের মূল্য কি হবে তার ঘোষণা নয় কেন? প্যাকেজের গায়ে মেয়াদ থাকবে কেন? বা মেয়াদ তুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলো না কেন?
0 coment rios: