বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সরকার দেউলিয়া হয়ে বিএনপি ভাঙ্গার চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল


বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এগুলো করে কোনো লাভ নেই। আওয়ামী লীগ বলে, বিএনপি বিপদে আছে। বিএনপি কোনো বিপদে নেই, বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী হয়েছে। বিপদে আছে জনগণ। সরকার দেশের মূল সত্ত্বাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারপরও এরা বলবে দেশে আইনের শাসন আছে। আবার বলে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি. জে. আ স ম হান্নান শাহ'র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ বলে খালেদা জিয়া দন্ডিত। কিসের দন্ড? কিসের মামলা? যে দুই কোটির আত্মসাৎয়ের কথা বলা হয়েছে তা এখন নয়কোটি টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। আসলে খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে রাখা যাবে না। তাকে বাইরে রাখা যাবে না। জিয়া পরিবারের কথা শুনলেই এরা ভয় পায়। 


তিনি বলেন, ভিসা নীতি কাদের বিরুদ্ধে হয়। যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী ও দূর্নীতিবাজ। এই ভিসা নীতিতে সাংবাদিক, বিচারপতি, আমলা, রাজনীতিবিদ, সেনাবাহিনী, প্রশাসনের কর্মকর্তা। তাহলে বাদ পড়বে কে? এটি খুশির কথা নয়, লজ্জার। এরজন্য দায়ী এই কর্তৃত্ববাদী সরকার।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, উন্নয়ন নিয়ে জনগণের সাথে সরকার ছলচাতুরী করেছে। সব করেছে ঋণ করে। ঋণের বোঝা জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে আজকে সরকার বাহবা নিতে চায়। ঋণ করে পোলাও মাংস খাওয়ার ভিতরে কোনো কৃতিত্ব নেই।


তিনি বলেন, বিসিএস-এ মেধাবী ছেলেরা লিখিত পরিক্ষায় পাশ করলেও যদি তার পরিবার বিএনপি করে তাহলে তাকে ভাইবায় পাশ করানো হয় না। আর যদি কেউ পাশ করলেও তার চাকরি মিলে না। যদি বিএনপির সাথে কারো নূন্যতম সম্পর্ক থাকলে তার আর প্রমোশন হয় না।

প্রয়াত হান্নান শাহ'র স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১তে যখন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জেলে নেওয়া হলো তখন তিনি নিজের জীবনবাজি রেখে যে ভূমিকা রেখেছেন জাতি তা আজীবন কৃতজ্ঞতা সাথে স্মরণ করবে। হান্নান শাহ যে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পুনরুদ্ধার করতে পারলেই পরপারে থেকেও তিনি শান্তি পাবেন।

আ স ম হান্নান স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শাহ্ রিয়াজুল হান্নান, সহ সাংগঠনিক বেনজির আহমেদ টিটু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্ণেল অব. জয়লান আবেদীন, সহ- শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির খান, ওমর ফারুক শাফিন, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল হক, গাজীপুর জেলা বিএনপি নেতা খন্দকার আজিজুর রহমান, ডা. শফিক প্রমুখ।




শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: