এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আবারও কর্মী ছাঁটাই করছে ফুডপান্ডা। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ছাঁটাই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে অনলাইনে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া এশিয়ার কয়েকটি দেশে ফুড ডেলিভারি এই ব্যবসার অংশ বিক্রি করার জন্য আলোচনাও করছে সংস্থাটি। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম সিএনবিসি।
এদিকে, বাংলাদেশে এর উল্টো প্রভাব পড়েছে। ফুডপান্ডার বাংলাদেশ কতৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দা আম্বারিন রেজা আমাদের নতুন সময়কে জানান, বাংলাদেশ থেকে কোনভাবেই ফুডপান্ডা যাবে না।
গত ১০ বছর যাবৎ এ দেশে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বর্তমানে তারা মার্কেটপ্লেসে লিডিং করছেন। সুতরাং চলে যাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা। আম্বারিন রেজা বলেন, এগুলো আমাদের কিছু প্রতিযোগি কোম্পানি গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। অথচ, আমাদের অফিসে এর কোন বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। কর্মচারি-কর্মকর্তারা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। যদি আমরা এর কোন প্রভাব দেখতাম তাহলে অবশ্যই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতাম, প্রেস ব্রিফিং করতাম এবং প্রেস রিলিজ পাঠাতাম। এর একটিও যেহেতু করছি না সেহেতু আমাদের কোন নেতিবাচক চিন্তা নেই। আমাদের ব্রান্ডের কথা বাংলাদেশের এমন কোন ভালো রেস্টুরেন্ট নেই যে তারা বলতে পারবে না।
ফুডপান্ডা বাংলাদেশের তথ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আহমেদ জানান, তাদের এই মুহুর্তে এক লাখেরও বেশি রাইডার রয়েছেন। আর এক হাজরের মত কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের অফিসে কাজ করছেন। এর আগে বাংলাদেশে ফুডপান্ডা গুটিয়ে নিচ্ছে কিনা এ প্রশ্নের জবাব চাইলে এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জুবায়ের সিদ্দিক এর হাস্যকর উত্তর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ায় পড়েছে। এশিয়ার মধ্যে পড়েনি। সেই সঙ্গে তিনি ই-মেইল করতে বলেন এবং রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।
সিঙ্গাপুরে সদর দপ্তরের বরাদ দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম সিএনবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার কর্মীদের চিঠি দিয়েছেন ফুডপান্ডার এপিএসি সিইও জ্যাকব সেবাস্টিয়ান অ্যাঞ্জেল। সিএনবিসি এই চিঠিটি দেখেছে। অবশ্য ঠিক কত সংখ্যক কর্মচারীকে ছাঁটাই তরা হচ্ছে বা কোন কোন বিভাগে এই ছাঁটাই কর্মকাণ্ড চলছে তা উল্লেখ করেননি জ্যাকব সেবাস্টিয়ান অ্যাঞ্জেল। অ্যাঞ্জেল বলেছেন, যদিও আমরা ইতোমধ্যেই চলতি বছরের শুরুতে কিছু ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছি, তারপরও আমাদের ক্রিয়াকলাপের সঠিক সেট আপ তৈরি করতে আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে।
গত বুধবার জার্মানির নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক পত্রিকা উইর্টশাফটসওচি রিপোর্ট করেছে, ফুডপান্ডা ব্র্যান্ডের অধীনে সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং লাওসে তার কার্যক্রম বিক্রি করছে ডেলিভারি হিরো। প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট বাজারের উল্লেখ না করে ইমেইলে সিএনবিসিকে বলেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নির্বাচিত বাজারে ফুডপান্ডা ব্যবসার সম্ভাব্য বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে ডেলিভারি হিরো।
জার্মান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফুডপান্ডার প্রতিযোগী গ্র্যাবকে এক্ষেত্রে ক্রেতা হিসেবে দেখা যেতে পারে।
0 coment rios: