শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জাতিসংঘের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন ডিএনসিসি মেয়র

জাতিসংঘের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন ডিএনসিসি মেয়র


ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মেয়র আতিকুল ইসলামের মনোনয়নের বিষয়টি জানানো হয়। পরে সম্মতি প্রদান করলে ডিএনসিসি মেয়রকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে চূড়ান্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

জাতিসংঘ মহাসচিব তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, আন্তঃসরকার ও জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের সম্পৃক্ততা জোরদার করার ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা পরিষদের সময়োপোযোগী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং আধুনিক শহর গড়তে স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে এই উপদেষ্টা পরিষদ করণীয় বিষয় নির্দিষ্টকরণে ভূমিকা রাখবে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সরকারের সংশ্লিষ্টতা এবং কার্যকর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেবে, সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য, আমাদের বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় সংশোধনে ভূমিকা রাখবে। জাতীয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ এবং জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলির ধারাবাহিকভাবে যে ভূমিকা পালন করা উচিত এবং বৈশ্বিক পদক্ষেপেও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ অবদান রাখবে।

এই উপদেষ্টা পরিষদে মোট সদস্য ১৫ জন। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে দুইজন সদস্য হলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের মেয়র অ্যাবি বিনায়। এছাড়া ইউরোপ থেকে তিন জন, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে তিনজন, উত্তর আমেরিকা থেকে দুইজন, ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয় অঞ্চল থেকে তিনজন, মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য আফ্রিকা থেকে দুইজন সদস্য রয়েছেন।

সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব যে বিষয়টা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়াল, সেটা নিয়ে কোনো আলোচনার প্রয়োজন ছিল না: মাশরাফি

সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব যে বিষয়টা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়াল, সেটা নিয়ে কোনো আলোচনার প্রয়োজন ছিল না: মাশরাফি



তামিমের অবসরের প্রসঙ্গ নিয়ে ভিডিও বার্তা দিলেন মাশরাফি। মাশরাফি তার ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘পৃথিবীর যেকোনো প্লেয়ার যখন অবসরে যায়, প্রত্যেকটা প্লেয়ারই কিন্তু এই খেলাটা খুব পছন্দ করে। বিদায় নেওয়ার সময় তাই তাদের মন-মানসিকতা ভালো থাকে না। তারই বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেছি, যখন সে চট্টগ্রামে রিটায়ারমেন্টের ঘোষণা দিয়েছে। সে কিন্তু আবেগের কারণে কথা ঠিকভাবে বলতে পারেনি, কান্নাকাটি করেছে। তবে সেখানে ও কাউকে ব্লেইমও করেনি। মানে পরিষ্কারভাবে তামিম বুঝে-শুনে রিটায়ারমেন্টে গিয়েছে।’ ‘তারপর কী হলো? বোর্ডের কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না। কেন যোগাযোগ করতে চেয়েছিল, কারণ ওই মুহূর্তে তামিমের রিটায়ারমেন্টে যাওয়ার দরকার নেই। তখন প্রধানমন্ত্রী তামিমকে ডেকে অনেক্ষণ কথা বলেছেন, প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টার মতো। শেষমেষ যে কথাটা ইম্পর্ট্যান্ট, যে মেসেজটা ছিল- প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন তামিম যাতে ওয়ার্ল্ডকাপ খেলে। তামিমও পরে মিডিয়ার সামনে এসে সেই বহিঃপ্রকাশ করেছিল। এরপর আর কথা নেই যে আমি অবশ্যই খেলব’, যোগ করেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ঘটনার মোড় ঘুরে যাওয়ায় হতবাক মাশরাফি, ‘যে জিনিসটা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়াল, আমার মনে হয় না সেটা নিয়ে আর কোনো আলোচনার প্রয়োজন ছিল। যদি টিমের কোনো আলোচনা থাকে সেটি কোচ-ক্যাপ্টেন-টিম ম্যানেজমেন্ট যারা আছে; তারা যদি ইন্ডিয়ায় গিয়ে যেটা করার সেটা করতো। এখন কথা আসতে পারে যে তামিমকে ওইখানে গিয়ে অফারটা দেওয়ার পর যদি সে সিনক্রিয়েট করে। পৃথিবীর সব দেশে, সব প্রফেশনাল টিমে এই জিনিসগুলা হয়। ট্যাকটিকালি যদি কোনো সমস্যা হয়, সেটি ম্যানেজ করার দায়িত্ব কোচ-ক্যাপ্টেন ও পার্টিকুলার ওই প্লেয়ারের।’

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার দিন সকালে বিসিবির কার্যালয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিসিবিতে আমাকে ডাকা হয়েছিল পার্টিকুলারলি কিছু কথা বলার জন্য, আসলে কোনো সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য না। আমি বিসিবির কেউ নই, কোনো পোস্টেই আমি নাই যে আমি টিম সিলেকশন কিংবা যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলব। সে সুযোগটা আমার নাই, ক্রিকেট নিয়ে আমার কথা হয়েছে একান্তই ব্যক্তিগত জায়গা থেকে। সুতরাং আমি যাওয়ার সাথে এখানে সিলেকশন কিংবা অন্য কোনো সম্পৃক্ততা নাই।’ বিসিবির ম্যানেজমেন্টে সমস্যা আছে বলে ইঙ্গিত রয়েছে মাশরাফির কথায়, ‘পৃথিবীর যেকোনো প্রফেশনেই ম্যান ম্যানেজমেন্ট করে চলতে হয়, সেটা ঘরে কিংবা বাইরে সবাইকে করতে হয়। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তামিম অনেকদিন ধরে ক্রিকেট খেলছে, সে কোন জিনিস পছন্দ করে-কোনটা করে না সেটা আমরা সবাই জানি। সবাই জানে তাকে কোন জিনিস বললে সমস্যা হবে। তাই কাকে কোন জিনিস বলা যাবে কিংবা যাবে না, সেটা আমার মনে হয় আরেকটু ভেবেচিন্তে করা উচিৎ ছিল। কারণ ম্যান ম্যানেজমেন্ট যদি ঠিক না হয় তাহলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। এটি আরেকটু ভালো হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করি।’

বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবারও অন্ধকারে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবারও অন্ধকারে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে। আমি জানি, বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকারে ফিরে যেতে চাইবে না।”আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার ওয়াশিংটনের হলিডে এক্সপ্রেস ইন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকারে ফিরে যেতে চাইবে না।’

 বিএনপি-জামায়াত সরকারের ২৯ বছরকে অন্ধকারযুগ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়ে তোলা ছাড়া মানুষের জন্য কিছুই করেনি।তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র বাংলাদেশের মানুষের জীবন থেকে ২৯ বছর মুছে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন পরিচালনা করে এই বছরের ব্যবধান কমিয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত রূপকল্প ২০৪১-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০০৯ সাল থেকে দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে দেশ পরিচালনা করায় বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশের যাত্রা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যাত্রা সহজ করার উপায় খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি জানি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রায় কোনো অসুবিধা হবে না।’

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত



বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেছেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।  জানা গেছে, গত সোমবার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে  মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত জানাবে। 

 আইন মন্ত্রী আনিসুল হক জানান,  খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। তবে কখন দেওয়া হবে তা নিশ্চিত করেননি তিনি। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আবেদন করা হয়েছে। আমরা চাই সরকার সময়ক্ষেপন না করে যত দ্রুত সম্ভব অনুমতি দেবেন। গত ৯ আগস্ট থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি লিভার, কিডনি, হার্ট, ফুসফুসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচ শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচ শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে



বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক শুরুর বাকি আর ৭ দিন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এখন আছে ভারতেই সেখানেই কন্ডিশনিং এবং অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। দ্বিপাক্ষিয় সিরিজের মত প্রস্তুতিপর্ব শেষে এখন শুধু মাঠে নামার অপেক্ষা। গৌহাটি শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ তাদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। চূড়ান্ত প্রস্তুতির আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট অবশ্য দাঁড়িয়ে আছে টালমাটাল এক পরিস্থিতিতে। মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন দেশের ক্রিকেটের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। তবে এসব পার করে এখন বাংলাদেশকে নামতে হবে মাঠের ক্রিকেটে।


আগেই জানা হয়েছিল, বিশ্বকাপের আগে ভারতে অন্তত দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের আরেক প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। ম্যাচ ভেন্যু গৌহাটি শহরেই বর্তমানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। ২ অক্টোবর হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ ইংল্যান্ডের সঙ্গে। অবশ্য শুধু বাংলাদেশ না, বিশ্বকাপের আগে এমন প্রস্তুতি ম্যাচ সুযোগ পাবে সবকটি দেশই। বিশ্বকাপের আগে ৪ দিনে মোট ১০টি প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করবে আইসিসি। ভারতের তিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। প্রতিটি দল কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে দুটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।     

আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রস্তুতিপর্বের সকল ম্যাচই হবে দিবারাত্রির সূচিতে। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে প্রতিটি ম্যাচ। প্রস্তুতি পর্বের এই ম্যাচগুলোতে ১৫ জনের সকলকে খেলানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ৩ অক্টোবরের ম্যাচগুলো শেষে ৪ অক্টোবর হবে বিশ্বকাপের ক্যাপ্টেন্স ডে। এদিন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়কদের পরিচয় করানো হবে। আর ৫ অক্টোবর গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপের মূল আসর। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

 বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব। সূত্র : আমাদের সময়.কম 

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী



লিখেছেন নাঈম হাসান

প্রাক-ইসলামী যুগে যখন চরম উচ্ছৃঙ্খলতা, পাপাচার, দুরাচার, ব্যাভিচার, মিথ্যা, হত্যা, লুন্ঠন, মদ্যপান, জুয়ায় ভরপুর ছিল। অন্যায়-অপরাধ, দ্বন্ধ-সংঘাত, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, নৈরাশ্য আর হাহাকার বিরাজ করছিল ঠিক এমন সময় মানবতার মুক্তির দিশারী সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সারা জাহানের হিদায়েতের জন্য আবির্ভূত হলেন। রাসুল (সাঃ) হলেন বিশ্ব মানতার জন্য আল্লাহর এক অনন্য রহমত স্বরুপ প্রেরিত। মহান বিশ্ব পরিচালক ঘোষণা করেনছেন, “আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি বিশ্ব জগতের জন্য বিশেষ রহমত স্বরুপ।”

জন্ম ও শৈশবঃ

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৫৭০ খৃীস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম আমিনা এবং পিতার নাম আব্দুল্লাহ। অতি অল্প বয়স থেকেই আল্লাহ তাকে কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে নেন। জন্মের পূর্বে পিতা, ৬ বছর বয়সে মা আমিনাকে হারান। এবং ৮ বছর বয়সে তার দাদা মৃত্যু বরণ করেন। ইয়াতীম শিশু বড় হয়ে উঠে চাচার সযত্ন ভালবাসায়।

নামকরণঃ

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম হওয়ার পরই মা আমেনা এ সংবাদ দাদা আব্দুল মুত্তালিবকে পাঠান। সংবাদ পাওয়ার পরেই তিনি ছুটে আসেন। পরম স্নেহে দেখেন, যত্নের সঙ্গেঁ কোলে নিয়ে কা’বার ভেতর প্রবেশ করেন, আল্লাহর হামদ বর্ণনা করেন এবং দোয়া করেন। অতঃপর তাঁর নাম রাখেন ‘মুহাম্মদ’(প্রশংসিত)।

আহমদ নামকরণঃ

বিবি আমিনা গর্ভাবস্থায় স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত নাম অনুসারে ‘আহমদ’ (উচ্চ প্রশংসিত’) নাম রাখেন। বাল্যকাল হতে মুহাম্মদ ও আহমদ উভয় নামি প্রচলিত ছিল। উভয় নামই পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে।

দুগ্ধ পান কালঃ

সর্ব প্রথম তাঁকে তাঁর মাতা হযরত আমেনা দুগ্ধ পান করান। অতঃপর আবু লাহাবের বাঁদী ‘সুওয়াইবা’ তাকে দুগ্ধ পান করায়। অতঃপর ধাত্রীর সন্ধান করতে থাকেন। ‘হাওয়াযিন’ গোত্রের বানী সা’দ এর মহিলা হালীমা ছা’দিয়া এই বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী হন। এমন ভাবে যে, অন্য কোন ধাত্রী শিশু মুহাম্মদকে গ্রহণ করলনা পক্ষান্তরে হালীমা সাদীয়াও অন্য কোন শিশু পেলনা। ফলে বাধ্য হয়ে রসূল কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলেহি ওয়া সাল্লাম কে গ্রহণ করলেন। গ্রহণ করার পর থেকেই হালীমার ঘরে ইলাহী বরকতের জোয়ার শুরু হল। দুবছর দুগ্ধ পানের পর বিবি হালীমা শিশু মুহাম্মদকে নিয়ে তাঁর মায়ের নিকট হাজির হন এবং সাথে সাথে এই আকাঙ্খাও ব্যক্ত করেন যে, শিশুকে আরো কিছু দিনের জন্য তাঁর নিকট যেন থাকতে দেয়া হয়। এদিকে মক্কায় তখন মহামারী চলছিল। উভয় দিক চিন্তা করে বিবি আমেনা তাঁর শিশুকে হালীমার নিকট ফিরিয়ে দেন। এমনি ভাবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলেহি ওয়া সাল্লাম বানী সাদে লালিত পালিত হন। সেখানে তিনি তাঁর দুধ ভাইদের সঙ্গে জঙ্গঁলে ছাগল চরাতেন। (সহীহ আল বুখারী, কিতাবুন নিকাহ, সীরাতুননবীঃ ১/১৭২)

দাদা ও চাচার তত্ত্বাবধানেঃ

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -এর মাতা-পিতার মৃত্যুর পর দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাঁর লালন পালনের দায়িত্ব নেন। তিনি তাকে খুব স্নেহ করতেন। এমনকি নিজের ছেলেদের উপরও তাঁকে প্রাধান্য দিতেন। নিজের আসনে বসাতেন। দাদা আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্তই তিনি তাঁর তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
দাদা আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যুর পর চাচা আবু তালিব তাঁর দায়িত্ব নেন। তখন তার বয়স ছিল আট বছর। তিনি চাচা আবু তালিবকে বকরী লালন-পালন ও শাম দেশের ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করতেন।

খাদীজা (রাঃ) এর সঙ্গে বিবাহঃ

পঁচিশ বছর বয়সে মক্কার ধনবতী মহিলা খাদিজা বিনতে খোয়ালিদের সাথে রাসূল (সাঃ) এর বিয়ে হয়। অভিজাত সতী, ধনবতী, মহিলা খাদিজা বিভিন্ন লোককে পণ্য দিয়ে ব্যবসা করাতেন এবং তিনি লাভের একটা অংশ গ্রহণ করতেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সততা, সত্যবাদীতা ও বিশ্বস্ততা তখন সুবিদিত ছিল। আল-আমীন, আসসাকিন এর প্রশংসা শুনে তিনি তার কাছে ব্যবসার প্রস্তাব পাঠান। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রাজী হন এবং ব্যবসা শেষে অনেক বেশি লাভসহ তার সব কিছু বুঝিয়ে দেন।

রাসূলের গুণ মুগ্ধ ও অলৌকিক সংকেতের কথা শুনে মা খাদিজা বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় এবং উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তখন খাদিজার বয়স ছিল ৪০ বছর। যতদিন তিনি জীবিত ছিলেন রাসূল (সা:) আর কোনো বিয়ের প্রয়োজন অনুভব করেননি। এরপর আদর্শিক প্রয়োজনে এবং নারী সমাজের বিভিন্ন উপকারের জন্য তিনি মোট ১১টি বিয়ে করেন। দু’জন তার মৃত্যুর পূর্বে মারা যান আর ৯ জনের সাথে তিনি বৈবাহিক জীবন অতিবাহিত করেন।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সাঃ)

মহা গ্রন্থ আল কোরআন, ইতিহাস এর যুক্তি-প্রমাণ এবং বিভিন্ন গ্রন্থের তথ্য অনুযায়ী রমজান মাসের শেষ পর্যায়ে মহানবী (সাঃ) এর কাছে আল্লাহর দূত জিবরাইল (আ:) কে দিয়ে ওহী (আল্লাহর বাণী) প্রেরন করেন। এ সময় তার বয়স ৪০ পূর্ণ হয়। প্রথমে তিনি স্বপ্নে সে নিদর্শন পান এবং পরে সরাসরি পেয়েছিলেন।

ওহী নাযিলের সূচনাঃ

বেশীর ভাগ সময় তিনি মক্কার প্রসিদ্ধ পাহাড় ‘জাবালে নূরে’ অবস্থিত ‘গারে হেরা’ তথা হেরা গুহায় অবস্থান করতেন এবং ক্রমান্বয়ে কয়েক রাত সেখানে অতিবাহিত করতেন। থাকার ব্যবস্থাও তিনি আগে থেকেই করে নিতেন। এভাবে একদা তিনি হেরা গুহায় তাশরীফ আনেন এমন সময় তাঁকে নুবুওয়াতের পদমর্যাদা দিয়ে সৌভাগ্যবান করার পবিত্র মুহুর্ত এসে যায়। জন্মের ৪১ তম বছরে ২৭ ই রজব (হিজরতের ১৩ বছর পূর্বে) মুতাবিক ৬১০ খৃষ্টাব্দ তারিখে জাগ্রত ও চৈতন্য অবস্থায় এঘটনা সংঘটিত হয়। আল্লাহর ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) প্রথমবারের মত তাঁর কাছে, পৃথিবীবাসীদের জন্য আল্লাহর সর্বশেষ ঐষীবাণী, বিশ্বমানবতার মুক্তির পথের দিশারী, জ্বিন ও ইনসানের জন্য পরিপূর্ণ জীবন বিধান ‘আল্ কুরআনুল কারীম’ এর সর্বপ্রথম কথাগুলো নিয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হলেন।

“পড় তোমার প্রতিপালকের নামে
তাঁর সামনে হেরা গুহায় ফেরেশতা আগমন করেন এবং বলেনঃ পড়ুন। তিনি উত্তর দিলেন আমি কি ভাবে পড়ব? ফেরেশতা বললেনঃ
‘পড় তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে, তোমার পালনকর্তা মহা দয়ালু।’
যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না”। (সূরা আলাকঃ ১-৫।)

মি‘রাজ তথা উর্দ্ধারোহনঃ

রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর বয়স যখন ৫১ বছর নয় মাস হয়, তখন তাঁকে সশরীরে মর্যাদাপূর্ণ ইসরা ও মি’রাজ ভ্রমণের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। মি’রাজে রাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রথমে কা’বা থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান, অতঃপর সেখান থেকে এক এক করে সাত আসমান অতিক্রম করে মহান আল্লাহর আরশে আজীমে তাশরীফ গ্রহণ করেন। এ মি’রাজ সফরে রাসুলুল্লাহ (সঃ) পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে বিধান লাভ করেন। মি’রাজে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ) জান্নাত এবং জাহান্নাম স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন।

দাওয়াতের আদেশঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইসলামের দাওয়াতের আদেশ দিয়ে ইরশাদ করেন,
يَاأَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ ﴿১﴾ قُمْ فَأَنْذِرْ ﴿২﴾ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ ﴿৩﴾ . (سورة المدثر)
হে চাদরাবৃত ব্যক্তি! ওঠ এবং সতর্ক কর।

গোপনে ইসলামের দাওয়াতঃ

রাসলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় প্রতিপালকের আদেশ যথাযথ পালন করেন এবং গোপনে মানুষের মাঝে ইসলাম প্রচার করতে শুরু করেন। তিনি সর্বপ্রথম আপন পরিবার- পরিজন ও বন্ধু-বর্গকে ইসলামের দাওয়াত দেন। সর্বপ্রথম খাদীজা রা. তাঁর দাওয়াত গ্রহণ করেন। পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম আবূ বকর সিদ্দীক (রা), ছোটদের মধ্যে আলী ইবনে আবূ তালিব রা. এবং ক্রীতদাসদের মধ্যে যায়েদ ইবনে হারেসা রা. ইসলাম গ্রহণ করেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন বছর পর্যন্ত গোপনে তার নিকটস্থ’ লোকদের মাঝে ইসলাম প্রচার করেন।

প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াতঃ

তিন বছর গোপনে দাওয়াত দেয়ার পর মুহাম্মাদ প্রকাশ্যে ইসলামের প্রচার শুরু করেন। নবী (সাঃ) সাফা পর্বতের ওপর দাড়িয়ে চিৎকার করে সকলকে সমবেত করেন। এরপর প্রকাশ্যে বলেন যে, আল্লাহ ছাড়া কোন প্রভু নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রাসূল। এই সময় থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

ধৈর্য ও অবিচলঃ

মুসলমানগণ মুশরিকদের সকল নির্যাতন ও নিপীড়ন ধৈর্য ও দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করতেন। কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে সাওয়াব ও জান্নাত লাভের আশায় বিপদে ধৈর্য ধারণ ও অনড় থাকার পরামর্শ দেন। মুশরিকদের নির্যাতন ভোগ করেছেন এমন কয়েকজন উল্লেখযোগ্য সাহাবী হলেন : বিলাল ইবনে রাবাহ ও আম্মার ইবনে ইয়াসির রা. প্রমুখ। মুশরিকদের নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ইয়াসির ও সুমাইয়া রা. এবং ইসলামের ইতিহাসে তারাই সর্বপ্রথম শহীদ।

আল-আমীন উপাধি লাভঃ

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বাল্যকাল হতেই চিন্তামগ্ন থাকতেন। তিনি ছিলেন দুর্দশাগ্রস্থ ও নিপিড়ীত মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল। আরববাসী তার নম্রতা, বিনয়, সত্যবাদিতা ও সৎস্বভাবের জন্য তাঁকে ‘আল-আমীন’ বা বিশ্বাসী উপাধিতে ভূষিত করেন।

তায়েফ গমনঃ

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আশ্রয়দাতা চাচা আবূ তালিবের মৃত্যুকে কুরাইশরা সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করল। তার উপর নির্যাতনের মাত্রা পূর্বের চেয়ে অনেক বাড়িয়ে দিল। এ কঠিন পরিস্থিতে সহযোগিতা ও আশ্রয় পাওয়ার আশায় তিনি তায়েফ গমন করলেন। কিন্ত সেখানে উপহাস ও দুর্ব্যবহার ছাড়া আর কিছুই পেলেন না। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে পাথর নিক্ষেপ করে আহত করে। ফলে তিনি আবার মক্কায় ফিরে যান।

মদিনায় হিজরতঃ

কুরাইশরা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয় এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে হেফাযত করেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) স্বীয় ঘর থেকে বের হন এবং আল্লাহ তাআলা কাফেরদের চক্ষু অন্ধ করে দেন যাতে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখতে না পারে। তিনি চলতে চলতে মক্কার বাইরে আবু বকর সিদ্দীক রা. এর সাথে মিলিত হন। অতঃপর তারা এক সাথেই পথ চলা আরম্ভ করেন। সওর নামক পাহাড়ে পৌঁছে একটি গুহায় তিন দিন পর্যন্ত আত্মগোপন করেন। এ সময়টিতে আব্দুল্লাহ বিন আবূ বকর রা. তাদের নিকট কুরাইশদের সংবাদ পৌঁছাতেন এবং তার বোন আসমা খাদ্য ও পানীয় পৌঁছে দিতেন। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সঙ্গী আবু বকর (রা) গুহা হতে বের হন এবং মদীনার পথে যাত্রা শুরু করেন।

মদীনায় নতুন অধ্যায়ের সূচনাঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় পৌঁছে তাকওয়ার ভিত্তিতে ইসলামের সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। বর্তমানে মদীনা শরীফে এ মসজিদটি “মসজিদে কু’বা” নামে পরিচিত।
মদীনাতে রাসুল (স) সর্বপ্রথম যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা হলো মসজিদে নববী নির্মাণ এবং আনসার ও মুহাজিরদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন।

মক্কা বিজয়ঃ

হুদায়বিয়ার সন্ধির পর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিভিন্ন গোত্রে তাঁর দাওয়াতী কর্মসূচী অধিক পরিমাণে বিস্তৃতি ঘটাতে সক্ষম হন। ফলে এক বছরের মাথায় মুসলমানদের সংখ্যা অধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মাঝে কুরাইশদের সাথে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ বনু বকর মুসলমানদের মিত্র কবীলায়ে খুযা‘আর উপর আক্রমণ করল। এর অর্থ দাঁড়াল কুরাইশ এবং তার মিত্ররা হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করল।
নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সংবাদ পেয়ে অত্যধিক ক্রুদ্ধ হন এবং মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে দশ হাজার যোদ্ধার একটি বিশাল সেনাদল গঠন করেন।

তখন ছিল হিজরী অষ্টম বর্ষের রমযান মাস। এদিকে কুরাইশরা নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মক্কাভিমুখে অভিযানের সংবাদ পেয়ে তাদের নেতা ও মুখপাত্র আবূ সুফিয়ানকে ক্ষমা প্রার্থনা, সন্ধি চুক্তি বলবৎ এবং চুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট প্রেরণ করেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের ক্ষমার আবেদন নাকচ করে দিলেন। কারণ তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। আবূ সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ ব্যতিত আর কোন উপায় না দেখে ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর সেনাদল (মক্কাভিমুখে) রওয়ানা হয়ে মক্কার কাছাকাছি আসলে মক্কাবাসী বিশাল দল দেখে আত্মসমর্পণ করে। আর নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের সঙ্গে নিয়ে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রবেশ করেন।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেন এবং নিজ হাতের লাঠি দ্বারা কা‘বার আশেপাশে রাখা সকল প্রতিমা ভেঙে চুরমার করে দেন। আর স্বীয় রবের শেখানো আয়াত পাঠ করতে থাকেন,

وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا-
“বল, সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।” (সূরা ইসরা : ৮১)

অতঃপর নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকলের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ঘোষণা করেন মক্কা পবিত্র ও নিরাপদ।
বিদায় হজ্জঃ

দশম হিজরী সনে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদেরকে তাঁর সাথে হজব্রত পালন ও হজের আহকাম শিক্ষা গ্রহণ করতে মক্কায় যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
قول الله تعالى : الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا (سورة المائدة : ৩)

তাঁর আহ্বানে লক্ষাধিক সাহাবি উপস্থিত হলেন। তাঁরা যুলকা’দাহ্‌  মাসের পঁচিশ তারিখ তাঁর সাথে মক্কা পানে বের হন। বাইতুল্লায় পৌঁছে প্রথমে তওয়াফ করেন। অতঃপর যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এরপর নয় তারিখ জাবালে আরাফাহ অভিমুখে যাত্রা করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে অবস্থান করেন এবং মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তার ঐতিহাসিক অমর ভাষণ দান করে তাদেরকে ইসলামী বিধি-বিধান ও হজের আহকাম শিক্ষা দেন এবং আল্লাহ তাআলার নিম্নোক্ত বাণী তিলাওয়াত করেন- “আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম। তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।”

বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পর হিজরী ১১ সালের সফর মাসে মুহাম্মদ (স) জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বরের তাপমাত্রা প্রচন্ড হওয়ার কারণে পাগড়ির ওপর থেকেও উষ্ণতা অনুভূত হচ্ছিল। অসুস্থ অবস্থাতেও তিনি এগারো দিন নামাজের ইমামতি করেন। অসুস্থতা তীব্র হওয়ার পর তিনি সকল স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আয়েশা (রাঃ)এর কামরায় অবস্থান করতে থাকেন। তাঁর কাছে সাত কিংবা আট দিনার ছিল,মৃত্যুর একদিন পূর্বে তিনি এগুলোও দান করে দেন। অবশেষে ১১ হিজরী সালের রবিউল আউয়াল মাসের ১ তারিখ সন্ধ্যায় তিনি মহান প্রতিপালকের সান্নিধ্যে চলে যান। এ সময় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -এর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

সর্বোপরি, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্টায় এক অনন্য নজির স্থাপন করেন, সর্বক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সফল ব্যক্তিত্ব।

ঐতিহাসিক গিবনের ভাষায়,
If all the world was united under one leader, Muhammad would have been the best fitted man to lead the peoples of various creeds, dogmas and ideas to peace and happiness.
“সমগ্র দুনিয়াটাকে যদি একত্র করে একজনের নেতৃত্বে আনা যেত তাহলে নানা ধর্মমত, ধর্ম বিশ্বাস ও চিন্তার মানুষকে শান্তি সুখের পথে পরিচালনার জন্য হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ই হবেন সর্বোত্তম যোগ্য নেতা।”

সামান্য এই লিখাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবনি শেষ করা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী নিয়ে ধাপে ধাপে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ভিসা নীতি বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

ভিসা নীতি বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না: শিক্ষামন্ত্রী



 শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না এবং ভিসা নীতি নিয়ে সরকারও কোনো চাপ অনুভব করছে না। বুধবার দুপুরে সিলেটে ৫০তম জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন। সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার বাংলা


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা নীতি বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ তারা খুব আগ্রহী যেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের দেশে যায়। তাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফি এর ওপর নির্ভরশীল।’ দীপু মনি আরও বলেন, ‘সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না। কারণ আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছেন, নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন করবে এবং সংবিধান অনুযায়ী সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পরবর্তী সরকার নির্বাচন করবে।’ সূত্র : আমাদের সময়.কম 


সরকার দেউলিয়া হয়ে বিএনপি ভাঙ্গার চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল

সরকার দেউলিয়া হয়ে বিএনপি ভাঙ্গার চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল


বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এগুলো করে কোনো লাভ নেই। আওয়ামী লীগ বলে, বিএনপি বিপদে আছে। বিএনপি কোনো বিপদে নেই, বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী হয়েছে। বিপদে আছে জনগণ। সরকার দেশের মূল সত্ত্বাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারপরও এরা বলবে দেশে আইনের শাসন আছে। আবার বলে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি. জে. আ স ম হান্নান শাহ'র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ বলে খালেদা জিয়া দন্ডিত। কিসের দন্ড? কিসের মামলা? যে দুই কোটির আত্মসাৎয়ের কথা বলা হয়েছে তা এখন নয়কোটি টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। আসলে খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে রাখা যাবে না। তাকে বাইরে রাখা যাবে না। জিয়া পরিবারের কথা শুনলেই এরা ভয় পায়। 


তিনি বলেন, ভিসা নীতি কাদের বিরুদ্ধে হয়। যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী ও দূর্নীতিবাজ। এই ভিসা নীতিতে সাংবাদিক, বিচারপতি, আমলা, রাজনীতিবিদ, সেনাবাহিনী, প্রশাসনের কর্মকর্তা। তাহলে বাদ পড়বে কে? এটি খুশির কথা নয়, লজ্জার। এরজন্য দায়ী এই কর্তৃত্ববাদী সরকার।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, উন্নয়ন নিয়ে জনগণের সাথে সরকার ছলচাতুরী করেছে। সব করেছে ঋণ করে। ঋণের বোঝা জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে আজকে সরকার বাহবা নিতে চায়। ঋণ করে পোলাও মাংস খাওয়ার ভিতরে কোনো কৃতিত্ব নেই।


তিনি বলেন, বিসিএস-এ মেধাবী ছেলেরা লিখিত পরিক্ষায় পাশ করলেও যদি তার পরিবার বিএনপি করে তাহলে তাকে ভাইবায় পাশ করানো হয় না। আর যদি কেউ পাশ করলেও তার চাকরি মিলে না। যদি বিএনপির সাথে কারো নূন্যতম সম্পর্ক থাকলে তার আর প্রমোশন হয় না।

প্রয়াত হান্নান শাহ'র স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১তে যখন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জেলে নেওয়া হলো তখন তিনি নিজের জীবনবাজি রেখে যে ভূমিকা রেখেছেন জাতি তা আজীবন কৃতজ্ঞতা সাথে স্মরণ করবে। হান্নান শাহ যে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পুনরুদ্ধার করতে পারলেই পরপারে থেকেও তিনি শান্তি পাবেন।

আ স ম হান্নান স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শাহ্ রিয়াজুল হান্নান, সহ সাংগঠনিক বেনজির আহমেদ টিটু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্ণেল অব. জয়লান আবেদীন, সহ- শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির খান, ওমর ফারুক শাফিন, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল হক, গাজীপুর জেলা বিএনপি নেতা খন্দকার আজিজুর রহমান, ডা. শফিক প্রমুখ।



খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে

খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে



 বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে বলার মত কোনো কিছু নেই। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু বলার সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই তা জানানো হবে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সময়সীমা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।  কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারকে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ ব্যর্থ হলে বিএনপি কোন ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি দলটির নীতিনির্ধারকরা। 

দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন নতুন রুপ নিতে পারে। তবে নতুন রূপ কী, খোলাসা করে বলেননি বিএনপির কোনো নেতাই। জানা যায়নি আল্টিমেটাম শেষে কী কর্মসূচী আসতে পারে। 

ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড, বর-কনেসহ নিহত ১১৩

ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড, বর-কনেসহ নিহত ১১৩

 


এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশের হামদানিয়া জেলায় গভীর রাতের এ বিয়ের অনুষ্ঠানর চলছিল। হঠাৎ সেখানে আগুন ধরে যায়। সূত্র: অ্যারাব নিউজ, বিবিসি, রয়টার্স বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরবেলায়ও বিয়ের সেই অনুষ্ঠানে পুড়ে যাওয়া ভবনে উদ্ধার তৎপরতা চালান জরুরি বিভাগের কর্মীরা। ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর হাসান আল-আলাক অগ্নিকাণ্ডে ১১৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইরাকের রাষ্ট্রীয় গণমাধমে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০ বলে উল্লেক করা হয়েছে। বর-কনের নিহত হওয়ার বিষয়ও এসব গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে।


 কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আতশবাজি ফাটানোর পরেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, পুড়ে যাওয়া ভবনে থাকা দাহ্য প্যানেল আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ফলে যে হলে অনুষ্ঠান চলছিল তার একাংশ ধসে পড়ে।’  অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের জীবিতদের সন্ধানে ভবনের ধ্বংসাবশেষের ভেতর প্রবেশ করতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ভবনটিতে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে শত শত মানুষ আনন্দ উদযাপন করছিলেন।দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণসহ সকল সহায়তা প্রদানে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বেসরকারী টিভি সাংবাদিককে অপহরন ও নির্যাতনের অভিযোগ

বেসরকারী টিভি সাংবাদিককে অপহরন ও নির্যাতনের অভিযোগ


ষ্টাফ রিপোর্টার: বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন গাজী টিভির সাংবাদিক মানসুরা খন্দকারকে র‍্যাব বাহিনী কর্তৃক অপহরন ও অমানবিক নির্যাতন করার গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় প্রকাশ যে, গত পরশু ১১ই মে দুপুর ২:৩০টার দিকে সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে র‍্যাব বাহিনী তাকে রাজধানীর সেগুন বাগিচা এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। র‍্যাবের ৪ জনের একটি গ্রুপ তার রিক্সাপথরোধ করে তাকে হাত ও চোখ-মুখ বাধিয়া মাইক্রোবাসে করিয়া অপহরন করিয়া লইয়া যায়। তার উপর পৈশাচিক নির্যাতন করার পর গত পরশু রাত ৮:০০ ঘটিকার দিকে তাকে গুরুত্বর অবস্থায় তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের সামনে ফেলিয়া রাখিয়া যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

জিডি কপি

উল্লেখ্য, গত ২২শে মার্চ নওগাঁয় র‍্যাব-৫ এর জয়পুরহাট একটি দল নওগাঁর ভুমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে আটকের পর ২৪শে মার্চ র‍্যাব হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। আটকের পরদিন ২৩শে মার্চ তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। র‍্যাব দাবী করে তাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুলতানা স্ট্রোক করেছে। এই হত্যাকান্ড নিয়ে গাজী টিভির সাংবাদিক মানসুরা খন্দকার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী করেন বলে জানা যায়। যা টেলিভিশনে প্রচার করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা, র‍্যাবের বিরুদ্ধে মানসুরার সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারনেই হয়ত তার উপর এহেন পৈশাচিক নির্যাতন করা হতে পারে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে তার উপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর ও প্রাননাশের হুমকীর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, হয়তো চিরতরেই ঘুমিয়ে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম।

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, হয়তো চিরতরেই ঘুমিয়ে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম।

 

চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ‘ল্যান্ডার বিক্রম’। কিছুতেই সক্রিয় করা যাচ্ছে না। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, হয়তো চিরতরেই ঘুমিয়ে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। ফলে এটি আর সক্রিয় নাও হতে পারে।গত ২৩ আগস্ট রোভার প্রজ্ঞান নিয়ে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’। এটি দিয়ে ১০ দিন চাঁদে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। চাঁদের তীব্র ঠান্ডায় (-২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) যেন ল্যান্ডারটি টিকে থাকতে পারে সেজন্য গত ২ সেপ্টেম্বর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিক্রমকে শাট ডাউন বা ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর গত ২২ সেপ্টম্বর বিক্রমকে সক্রিয় করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বিজ্ঞানীরা। এখনও পর্যন্ত তারা ওই রোবটের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছেন না। এর আগে, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, তাদের আশা, ল্যান্ডারটির সঙ্গে আবারও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে সূর্যের আলো পড়বে; তখন ল্যান্ডারটিতে থাকা ব্যাটারিগুলো সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চার্জ হবে এবং এটি সক্রিয় হবে। কিন্তু এখন তারা জানাচ্ছেন, ওই রোবটের সঙ্গে তারা কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারছেন না। বিজ্ঞানীরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, এমন কঠিন ঠান্ডায় ল্যান্ডারটি টিকে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ ছিল।

ইসরোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ল্যান্ডারটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবে বিজ্ঞানীরা। কারণ এরপর চাঁদে আবারও সূর্যাস্ত হবে।

‘ল্যান্ডার বিক্রম’ যদি পুনরায় সক্রিয় না হয়, তবুও চাঁদে এর সফল অবতরণ এবং রোভার প্রজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর বিষয়টিকে অনেক বড় সফলতা হিসেবে দেখছে বিজ্ঞানীরা।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

দেশে এখন নৌকা মার্কা আইন চলছে: রিজভী

দেশে এখন নৌকা মার্কা আইন চলছে: রিজভী



 দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে এ সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য তাকে এই সময়ের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে।বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

 মির্জা ফখরুল বলেন, শনিবার বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি অনেক বেশি অসুস্থ। কারাবন্দি হওয়ার পর এইবার তিনি তৃতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হলেন। দেশে যথাসম্ভব সব চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা আমাকে বলেছেন, এবার আপনাদের যা করার করুন। 

রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে  ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বিএনপির

বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বিএনপির



 দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে এ সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য তাকে এই সময়ের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

মির্জা ফখরুল বলেন, শনিবার বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি অনেক বেশি অসুস্থ। কারাবন্দি হওয়ার পর এইবার তিনি তৃতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হলেন। দেশে যথাসম্ভব সব চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা আমাকে বলেছেন, এবার আপনাদের যা করার করুন।  

সোধির স্পিন জাদুতে ১৫ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডে জয় নিউজিল্যান্ডের

সোধির স্পিন জাদুতে ১৫ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডে জয় নিউজিল্যান্ডের



নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছিলো। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে শনিবার মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিংয়ে ৪ বলে হাতে থাকতেই ২৫৪ রানে অলআউট হয় কিউইরা। এতে ২৫৫ রানের লক্ষ্য পায় টাইগাররা। জাবাবে ব্যাটিং নেমে ১৬৮ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ব্যাটিং লাইন। এতে ৮৬ রানে জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বোলিংয়ে ছয় উইকেট নিয়ে কিউইদের জয়ের নায়ক ইশ সোধি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা কিউই ওপেনার উইল ইয়ংকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ফিন অ্যালেন ও চ্যাড বোয়েস। তবে মোস্তাফিজের তৃতীয় ওভারে স্লিপে ক্যাচ আউট হন অ্যালেন। পরের ওভারে ১১ রান করে খালেদের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন বোয়েস। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা কিউইদের টপ অর্ডার।

কিন্তু অপর প্রান্তে থিতু হন নিকোলস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন টম ব্লান্ডেল। তাদের ৬৫ রানের জুটিতে ভর করে নিউজিল্যান্ডের শতক পূরণ হয়। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করে চাপ সামাল দিয়ে কিউইদের এগিয়ে নিচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটার। তবে অভিষিক্ত খালেদের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া হেনরি নিকোলস। এরপর ১০ রানে রাচিন রাবীন্দ্রাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শেখ মাহেদী। দলীয় ১৬৬ রানে ৬৫ বলে ৬৮ রান করা ব্লান্ডেলকে বোল্ড করে টাইগারদের খেলায় ফেরায় হাসান মাহমুদ। সোদিকে সঙ্গে নিয়ে পিচে টিকে থাকার চেষ্টা করেন কাইল জেমিসন। ২৮ বলে ২০ রান করে জেমিসন আউট হলে ১৭ রান করে হাসানের মানকার্ডে সৌদি শিকার হলেও লিটন ও হাসানের মানবিকতায় আবারো মাঠে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৩৫ রান করে সোধি আউট আউট হলে ২৫৪ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউই বোলারদের দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। ১৬ বলে ৬ রান করে লিটন আউট হলে ব্যাট চালাতে শুরু করেন অবসর ভেঙে দলে ফেরা অভিজ্ঞ তামিম। ১২ বলে ১৬ রান করে তানজিদ তামিম আউট হলে, শূন্য রান করে তার দেখানো পথে হাটেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রিয় ছাত্র সৌম্য সরকার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। ৭ বলে ৪ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয়। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এদিন মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম ইকবাল। তবে ৪৪ রান করে ফিফটি পূরণের আক্ষেপ নিয়ে আউট হন এই বামহাতি ব্যাটার। এরপর শেখ মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ। ১৭ রান করে মাহেদী আউট হলে রিয়াদের উপর চাপ বেড়ে যায় হয়। 

দীর্ঘ পাঁচ মাস পর নানা আলোচনা-সমালোচনার পর দলে সুযোগ পেয়ে ৭৬ বলে ৪৯ রান করে মাহমুদুল্লাহ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। যা টাইগারদের ইনিংসের সবোচ্চ রান। লিটন-সৌম্যদের উইকেট মিছিলের দিনে মিরপুরে ব্যাট হাটে আলো ছড়িয়েছেন নাসুম আহমেদ। ২১ রানে আউট হলেও অসাধারণ কিছু শট খেলে দর্শকদের মন জয় করেছেন নাসুম। খালেদ (১) ও হাসান মাহমুদ শূন্য রানে আউট হলে ১৬৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। এতে ৮৬ বড় জয় পায় নিউজিল্যান্ড। ফলে ১৫ বছর ওয়ানডেতে টাইগারদের ঘরের মাঠে জয় পেলো কিউইরা। সবশেষ ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ওয়ানডে জিতে ছিলো নিউজিল্যান্ড। ইশ সোধি ছাড়াও কাইল জেমি ২ টি, লকি ফার্গুসন ও কোল ম্যাককেনচি একটি করে উইকেট শিকার করেন। 

ভিসানীতি সরকারের ১৫ বছরের অপকর্মের ফসল: মির্জা ফখরুল

ভিসানীতি সরকারের ১৫ বছরের অপকর্মের ফসল: মির্জা ফখরুল


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, সরকার নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন, গ্রপ্তার করা হচ্ছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক ও লজ্জাজনক। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের জন্য প্রাপ্য নয়। এ জন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দায় নেই, এককভাবে সরকারই দায়ী।

ভিসানীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল আমাদেরসময় ডটকমকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। বাইডেন প্রশাসন বিশ্বে গণতন্ত্রের কথা বলছে। এর অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা নীতি দিয়েছে। কিন্তু সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। আসলে এখন সরকার কী করবে, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। আর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখব। সুত্র: আমাদের সময়টা কম 

রাশিয়ার বন্ধু ও নিরপেক্ষ তালিকায় বাংলাদেশ

রাশিয়ার বন্ধু ও নিরপেক্ষ তালিকায় বাংলাদেশ

 


ঢাকাস্থ রাশিয়া দূতাবাস শনিবার ফেসবুকে তালিকাটি প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার সরকার ৩০টিরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরপেক্ষ দেশ, ব্যাংক ও মধ্যস্থতাকারীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। যাদের রাশিয়ান মুদ্রা ও ডেরিভেটিভস বাজারে বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়া হবে।

দেশগুলো হলো আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বাহরাইন, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, চীন, কিউবা, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মঙ্গোলিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এর আগে যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিলো, সেখান থেকে বাদ গেছে আর্জেন্টিনা, হংকং, ইসরায়েল, মেক্সিকো ও মলদোভা। 

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ক্রেতা প্রতিনিধিদের কাছে বিজিএমইএর চিঠি, পোশাক তৈরির ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করুন

ক্রেতা প্রতিনিধিদের কাছে বিজিএমইএর চিঠি, পোশাক তৈরির ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করুন


শ্রমিকদের জীবন ধারণের মতো মজুরি নির্ধারণ এবং শিল্পের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধিদের কাছে এই অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। পৃথক পৃথক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকেই যাতে বর্ধিত দর কার্যকর করা হয় সে ব্যাপারে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। বৃহস্পতিবার পাঠানো চিঠিতে পোশাক খাতের সার্বিক পরিস্থিতির বিস্তারিত এবং দর বাড়ানোর পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরা হয়।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সরকার গঠিত নূন্যতম মজুরি বোর্ড বর্তমান পোশাক খাতের নূন্যতম মজুরি পর্যালোচনায় কাজ করছে। বোর্ড ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করেছে এবং সংশ্লিস্ট অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করছে। তারা কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এ বছরের শেষ নাগাদ নতুন নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। বিজিএমইএ অনুমান করছে, মজুরি তাদের ধারণার চেয়ে বেশি হতে পারে।

মূল্যস্ফীতি এবং শ্রমিকদের ওপর এর অভিঘাত সম্পর্কে ক্রেতাদের বিজিএমইএ জানিয়েছে, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে। গত পাঁচ বছরের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। শিল্পের প্রাণ শ্রমিকরা মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সে বিবেচনা থেকেই এবারের নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে এখন মূল্যস্ফীতি এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, অন্যান্য খরচসহ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিতে চাপে আছে পোশাক খাত।  ক্রেতা প্রতিনিধিদের উদ্দেশে চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক খাতের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ শিল্পে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন ২০২টি লিড সনদের পোশাক কারখানা রয়েছে, যার মধ্যে ৭৩টি সর্বোচ্চ পয়েন্টের প্লাটিনাম-রেটেড। শিল্পে কার্বন নিগর্মন রোধকল্পে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সার্কুলারিটি গ্রহণের জন্য একটি সুস্পষ্ট সাসটেইনেবিলিটি রূপকল্প নিয়ে কাজ চলছে, যা শিল্পের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং মূল্যবোধের পরিপূরক।

চিঠিতে ফারুক হাসান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকেও সংকটে ফেলেছে। উদ্যোক্তাদের ধৈর্য, ক্রেতাদের অব্যাহত সহযোগিতা আর সরকারের নীতিসহায়তায় সব প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও শিল্পের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না সুত্রঃআমাদেরসময়.কম

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় ফুডপান্ডা

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় ফুডপান্ডা

এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আবারও কর্মী ছাঁটাই করছে ফুডপান্ডা। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ছাঁটাই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে অনলাইনে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া এশিয়ার কয়েকটি দেশে ফুড ডেলিভারি এই ব্যবসার অংশ বিক্রি করার জন্য আলোচনাও করছে সংস্থাটি। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম সিএনবিসি।

এদিকে, বাংলাদেশে এর উল্টো প্রভাব পড়েছে। ফুডপান্ডার বাংলাদেশ কতৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দা আম্বারিন রেজা আমাদের নতুন সময়কে জানান, বাংলাদেশ থেকে কোনভাবেই ফুডপান্ডা যাবে না।

গত ১০ বছর যাবৎ এ দেশে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বর্তমানে তারা মার্কেটপ্লেসে লিডিং করছেন। সুতরাং চলে যাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা। আম্বারিন রেজা বলেন, এগুলো আমাদের কিছু প্রতিযোগি কোম্পানি গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। অথচ, আমাদের অফিসে এর কোন বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। কর্মচারি-কর্মকর্তারা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। যদি আমরা এর কোন প্রভাব দেখতাম তাহলে অবশ্যই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতাম, প্রেস ব্রিফিং করতাম এবং প্রেস রিলিজ পাঠাতাম। এর একটিও যেহেতু করছি না সেহেতু আমাদের কোন নেতিবাচক চিন্তা নেই। আমাদের ব্রান্ডের কথা বাংলাদেশের এমন কোন ভালো রেস্টুরেন্ট নেই যে তারা বলতে পারবে না।

ফুডপান্ডা বাংলাদেশের তথ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আহমেদ জানান, তাদের এই মুহুর্তে এক লাখেরও বেশি রাইডার রয়েছেন। আর এক হাজরের মত কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের অফিসে কাজ করছেন। এর আগে বাংলাদেশে ফুডপান্ডা গুটিয়ে নিচ্ছে কিনা এ প্রশ্নের জবাব চাইলে এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জুবায়ের সিদ্দিক এর হাস্যকর উত্তর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ায় পড়েছে। এশিয়ার মধ্যে পড়েনি। সেই সঙ্গে তিনি ই-মেইল করতে বলেন এবং রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। 

সিঙ্গাপুরে সদর দপ্তরের বরাদ দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম সিএনবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার কর্মীদের চিঠি দিয়েছেন ফুডপান্ডার এপিএসি সিইও জ্যাকব সেবাস্টিয়ান অ্যাঞ্জেল। সিএনবিসি এই চিঠিটি দেখেছে। অবশ্য ঠিক কত সংখ্যক কর্মচারীকে ছাঁটাই তরা হচ্ছে বা কোন কোন বিভাগে এই ছাঁটাই কর্মকাণ্ড চলছে তা উল্লেখ করেননি জ্যাকব সেবাস্টিয়ান অ্যাঞ্জেল। অ্যাঞ্জেল বলেছেন, যদিও আমরা ইতোমধ্যেই চলতি বছরের শুরুতে কিছু ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছি, তারপরও আমাদের ক্রিয়াকলাপের সঠিক সেট আপ তৈরি করতে আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। 

 গত বুধবার জার্মানির নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক পত্রিকা উইর্টশাফটসওচি রিপোর্ট করেছে, ফুডপান্ডা ব্র্যান্ডের অধীনে সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং লাওসে তার কার্যক্রম বিক্রি করছে ডেলিভারি হিরো। প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট বাজারের উল্লেখ না করে ইমেইলে সিএনবিসিকে বলেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নির্বাচিত বাজারে ফুডপান্ডা ব্যবসার সম্ভাব্য বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে ডেলিভারি হিরো।

জার্মান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফুডপান্ডার প্রতিযোগী গ্র্যাবকে এক্ষেত্রে ক্রেতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। 

রোনালদোর জোড়া গোলে টানা পঞ্চম জয় আল নাসরের

রোনালদোর জোড়া গোলে টানা পঞ্চম জয় আল নাসরের

কাতার বিশ্বকাপের পর সৌদি ক্লাব আল নাসরের হয়ে গত মৌসুমে নিজের জাত চেনাতে ব্যর্থ হয় পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে চলতি দুর্দান্ত ফরমে আছেন এই তারকা ফুটবলার। নিজে গোল করছেন এবং অপরকে দিয়ে করাচ্ছেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় রিয়াদের কিং সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আল-নাসর ও আল-আহলি। ম্যাচটিতে ৪-৩ গোলে জয় পায় রোনালদোর দল আল-নাসর। যেখানে তিনি করেছেন জোড়া গোল। রোনালদোর সতীর্থ তালিস্কাও করেছেন জোড়া গোল। এছাড়া আহলির হয়ে একটি করে গোল করেছেন ফ্রাঙ্ক কেসি, রিয়াদ মাহরেজ ও ফেরাস আল-ব্রিকান। সূত্র: গোলডটকম

ম্যাচ শুরুর মাত্র ৩ মিনিট পরেই স্কোরবোর্ডে নাম লেখান রোনালদো। তার সুবাদেই লিড গোল পায় আল-নাসর। লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড সাদিও মানের নিচু শটে বাঁ পায়ের ছোঁয়ায় গোলের সূচনা করেন পর্তুগিজ তারকা। প্রথমার্ধের বিরতি শেষে আবারও বাঁ পায়ে আরেকটি দুর্দান্ত শট নিয়ে আল নাসরের চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যান্ডারসন তালিস্কা প্রথমার্ধে নিজের দুটি গোল করেন। প্রথমটি পেনাল্টি স্পট থেকে এবং দ্বিতীয়টি ক্রসবারের নীচের দিকে দুর্দান্ত স্ট্রাইক দিয়ে। সূত্র: ইনসাইডস্পোর্টসস

এ দিকে তিন দফায় আল-আহলি সফল হলেও এক গোলে পিছিয়ে থেকে তাদের হার দেখতে হয়েছে। বার্সেলোনার সাবেক মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি প্রথমার্ধে জাল খুঁজে পান এবং দ্বিতীয়ার্ধে আলজেরিয়ান উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ পেনাল্টি থেকে গোল করেন। ৮৭তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ফেরাস আল-ব্রিকানের গোল ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-৩। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান থাকায় জয় পায় আল-নাসর। মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়া আল-নাসর এই নিয়ে টানা পাঁচটি জয়ের রেকর্ড গড়ল। সর্বশেষ জয়ে সৌদি প্রো লিগের পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে রোনালদোর দল। ৭ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১৫। আর সমান ম্যাচ খেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আল-ইত্তিহাদ।

স্যাংশনের ভালো দিক, বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও পোড়াও করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

স্যাংশনের ভালো দিক, বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও পোড়াও করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী


নিউ ইয়র্কে শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন কার্যকর করার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বলেছে; কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তাকে স্যাংশন দেবে। এখানে আমার কথা থাকবে। এই বানচাল করার চেষ্টাটা যেনো বাইরে থেকেও না হয়। বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্যাংশন দিয়ে দেবে। 

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আজকের ঘোষণায় অপজিশনসহই বলা হয়েছে। তো অপজিশন বলাতে অন্তত একটা ভালো যে, বিএনপি জামায়াত তো ২০১৩-১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন ঠেকাতে জ্বালাও-পোড়াও করেছিলো। মানুষ হত্যা করেছিলো। এই যে নির্বাচন বানচাল করার যে অপচেষ্টা, এবার বোধহয় অতোদূর যেতে পারবে না। যাবে না। শেখ হাসিনা বলেন, তারা তো পুলিশের ওপর আঘাত করে। আঘাত করলে পুলিশ যখন প্রতিরোধ করে, তখন সেই ছবি তুলে বড় করে প্রচার করে। আমাদের মিডিয়ায় যারা এগুলো তোলে, তারা সবগুলোই ভালো করে দেখাক। যারা এই স্যাংশন দিয়েছে, তারা ওটাও দেখবে। এক তরফা দেখবে না। কারা শুরু করেছে, শুরুটা কারা করলো; সেটা আগে দেখতে হবে। আর যদি শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি কিন্তু কারো শক্তিতে বিশ^াস করে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে। জনগণের ভোটে এবং আমি কাজ করছি জনগণের কল্যাণে। এখানেই আমাদের সার্থকতা। কাজেই কে স্যাংশন দিলো, কে দিলো না; আত্মীয়স্বজন থাকলেও কি করবে, আমার ছেলে তো এখানেই আছে। পড়াশোনা করেছে, ব্যবসা করেছে। বিয়ে করেছে। মেয়ে আছে। সম্পত্তি আছে। সবই তার আছে। যদি বাতিল করে করবে।  

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনো পন্থায় যদি কেউ ক্ষমতায় আসতে চায়, তাহলে তাদের কিন্তু সাজা পেতে হবে। এটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশে আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ নেই। এখন একটা গোলমাল সৃষ্টি করে কেউ যদি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সে শাস্তির মুখোমুখি হবে। এই কথাটা কিন্তু ভুললে চলবে না। আমরা অনেক সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক ধারাটা এনেছি, ধারাটা অব্যাহত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের আমলে যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আর আমরাও সরকারে এসেছি জনগণের ভোটে। কেউ আমাদেরকে হাতে তুলে দেয়নি।  কাজেই নির্বাচন স্বচ্ছ হোক, অবাধ হোক, সেটা আমরাই চাই।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিএনপির কেউ মার্কিন ভিসানীতির আওতায় পড়ার শঙ্কা নেই: শামা ওবায়েদ

বিএনপির কেউ মার্কিন ভিসানীতির আওতায় পড়ার শঙ্কা নেই: শামা ওবায়েদ


বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করছি। সেখানেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের নেতাকর্মীরা মার খাচ্ছে। একের পর মামলা হচ্ছে আমাদের নামে। তো আমরা বলতে পারি, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বিএনপির কারো নাম আসার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। 

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। বিরোধী দলের স্পেস সংকুচিত করে দিয়েছে সরকার। সামনে নির্বাচন, অথচ লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই। ঢাকাস্থ মার্কিন কর্মকর্তারা তো বিষয়গুলো জানেন। তারা সেভাবেই রিপোর্ট করেছেন। আর সে কারণেই নতুন ভিসানীতি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু এতে কী আছে না আছে, এখনো কিছুই স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার আমি মতামত দেবো।

ঢাকার ক্লাব ফুটবলে ‘কিংবদন্তি’ কাকার কাজিন!

ঢাকার ক্লাব ফুটবলে ‘কিংবদন্তি’ কাকার কাজিন!



কয়েক বছর ধরেই ঢাকার ফুটবলে বেশ কিছু হাই প্রোফাইল বিদেশি ফুটবলার খেলছেন। যে ধারাবাহিতায় এবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে খেলতে আসছেন লাতিন আমেরিকার ফুটবল পরাশক্তির দেশ ব্রাজিলের ফুটবলার হিগোর লেইতে। ব্রাজিলের শীর্ষে লিগের এই ক্লাবটির হয়ে শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতাও রয়েছে ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের।

এ ছাড়া লেইতের আরও একটি পরিচয় আছে। ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী সুপারস্টার কাকা তার কাজিন বলে জানা গেছে। এক বছরের জন্য লেইতেকে দলে টানার বিষয়টি দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শেখ জামালের চিফ কোঅর্ডিটেনেটর নাভিল খান। জানা গেছে, দুই পক্ষের প্রাথমিক চুক্তি সম্পন্ন হলেও লেইতে বাংলাদেশে আসার পর বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।নাভিল বলেন, ‘আমাদের নাম্বার টেন একজন ফুটবলার দরকার ছিল। আমরা একজন হাইপ্রোফাইল ফুটবলার খুঁজছিলাম। লেইতে ২০১২ সালে ব্রাজিলের সিরি এ শিরোপা জিতেছে। আর্মেনিয়ার শীর্ষ লিগে খেলেছে। ওর প্রোফাইল দেখে ভাবলাম, আমাদের টিমের সাথে যায়। এ জন্যই ওকে দলে ভেড়ানো।’

এবারের দল বদলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নতুন করে দল পুনর্গঠন করছে। তারুণ্যে ঝোঁক তাদের। জোর দিচ্ছে আক্রমণভাগে শক্তি বাড়াতেও। লেইতে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার- দুই ভূমিকাতেই খেলতে পারেন। এ জন্যই তার প্রতি আস্থা ক্লাবটি। মোট পাঁচজন বিদেশিকে নিয়ে স্কোয়াড সাজাচ্ছে তারা। লেইতে ছাড়াও যেখানে অন্যতম নাম স্ট্যানলি ডিমবা। নাইজেরিয়া জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৩০ বছর বয়সী এই উইঙ্গার সবশেষ মৌসুমে খেলেছেন লিবিয়ার ক্লাব ডার্নেস এসসির হয়ে। 

দেশিদের মধ্যে জাতীয় দলের ফুটবলার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, আতিকুর রহমান ফাহাদ, সাজ্জাদ হোসেন, আবু সাইদরা যোগ দিচ্ছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা মিডফিল্ডার আব্দুল্লাহকেও দলে টানছে তারা। চোটের কারণে জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া এই ফুটবলার গত মৌসুমের দ্বিতীয় লেগে খেলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে। এ ছাড়া গত মৌসুমের ছয়জনকে ধরে রেখেছে তারা। শেখ জামালের ডাগআউটে দেখা যাবে মেসেডোনিয়ান কোচ মারজান সেকুলোভস্কিকে। এই ৫০ বছর বয়সীর বাংলাদেশের ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে আগেও ডাগআউটে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেকুলোভস্কির অধীনে শেখ জামাল অক্টোবরের শুরু থেকে অনুশীলন ক্যাম্প শুরুর পরিকল্পনা করছে বলেও জানান শেখ জামালের এই কর্মকর্তা।

চলতি অর্থবছরে কমেছে বৈদেশিক অর্থ ছাড়, বেড়েছে ঋণ পরিশোধ

চলতি অর্থবছরে কমেছে বৈদেশিক অর্থ ছাড়, বেড়েছে ঋণ পরিশোধ

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে সরকার বৈদেশিক অর্থছাড় পেয়েছে ৪০৫ মিলিয়ন ডলার। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড় মিলেছিল ৪৮৮ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৈদেশিক অর্থছাড় কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। তবে অর্থছাড় কমলেও সরকারের ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৩৪ শতাংশের বেশি। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে সরকারি ঋণের সর্বশেষ চিত্র প্রকাশ করা হয়। যেখানে অর্থছাড় হ্রাসের বিষয়টি উঠে এসেছে। এর আগে এ বছরের মার্চ মাস থেকে ওয়েবসাইটে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে মাসিক আপডেট প্রকাশ বন্ধ রেখেছিল ইআরডি।

ইআরডির তথ্য মতে, জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ২৫১ মিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে জাপান। ৭০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এডিবি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিশ্বব্যাংক থেকে এসেছে ৫৭ মিলিয়ন ডলার। তবে চীন এবং রাশিয়া থেকে কোনো অর্থছাড় কিংবা প্রতিশ্রুতি মেলেনি। যদিও ভারত থেকে ছাড় হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার।

গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্থছাড় কমলেও সরকারের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। এ বছরের জুলাই মাসে সরকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ২৫৩ মিলিয়ন ডলার। যেখানে সুদের পরিমাণ ছিল ১০৬ মিলিয়ন ডলার এবং আসল ছিল ১৪৬ মিলিয়ন ডলার। যদিও গত বছর একই সময়ে সরকারের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১৭৯ মিলিয়ন ডলার। টাকার অংকে এ বছর পরিশোধ করা হয়েছে ২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। গত বছর এ পরিমাণ ছিল একহাজার ৬৮০ কোটি টাকা। 

আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে নতুন কোনো ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। যদিও ৫ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার প্রকল্প অনুদানের অঙ্গীকার পাওয়া গেছে। ৩ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার প্রকল্প অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা এবং জাপান। আর জাতিসংঘ থেকে ২ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের অনুদানের প্রতিশ্রুতি এসেছে। এ সময়ে এডিবি, বিশ্বব্যাংক এবং ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকেও কোনো ঋণের প্রতিশ্রুতি আসেনি।

ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি, অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে

ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি, অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থই থই করছে পানি। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরমুখী অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক স্থানে আটকে থাকার কথা জানিয়েছেন। অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তাদের ভোগান্তির কথা। এমনকি বৃষ্টির কারণে কর্মস্থল থেকে অনেকে সময়মতো বের হতেও পারেননি। রাজধানীর শান্তিনগর, বংশাল, ঢাকা মেডিকেল এলাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মানিক মিয়া এভিনিউ, তেজগাঁও মগবাজার সহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। 

পানিতে তলিয়ে থাকা রাস্তায় কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে, কোথাও কোথাও আগুন লেগেছে, এমন খবরও পাওয়া গেছে। শুক্রবারও দুর্ভোগ কমেনি। আগের দিনের বৃষ্টির কারণে নিউমার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এখনো পানির নিচে ডুবে আছে।

দোয়েল চত্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সড়কে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আছে। ওই সড়কে পানি জমে না থাকলেও ডাল ভেঙে থাকায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে ঢাকা নার্সিং কলেজের ভেতরেও হাঁটুসমান পানি জমে আছে। মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক থেকে নামার জায়গা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের অংশের সড়ক সকাল ১০টা পর্যন্ত পানির নিচে ছিল। ফুটপাত ছুঁই ছুঁই সেই পানি দুই পাশের দোকানিরা সেচে বের করার চেষ্টা করছেন। সূত্র: প্রথম আলো

মিরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের তিন জনসহ চার জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুর মডেল থানার সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশে রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট,

‘নকশীকাঁথার জমিন’, পরিচালকের প্রতিভা এবং সক্ষমতা দারুণভাবে তুলে ধরেছেন

‘নকশীকাঁথার জমিন’, পরিচালকের প্রতিভা এবং সক্ষমতা দারুণভাবে তুলে ধরেছেন

পুরোটা সময় ধরেই কি দর্শকদের সবাই কোনো ঘোরের মধ্যে ছিলেন। আমি যে ছিলামÑ তা নিশ্চিত। কী যে এক সম্মোহনী শক্তি পর্দা থেকে চোখ ফেরাতেই দিলো না। আমরা দেখছিলাম ‘নকশীকাঁথার জমিন’। ‘টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (টিএমএফএফ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছবিটি দেখানো হয়। [২] শহরে এখন চলছে মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এর সমাপনী। নানা দেশের, নানা ভাষার নানা মেজাজের সিনেমা দেখার এ এক অপূর্ব আয়োজন। সিনেমা পাগল কিছু বাংলাদেশি কানাডীয়ান তারুণ্যের ভালোবাসার ফসল ‘টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (টিএমএফএফ) এবার ৬ষ্ঠ বছরে পা দিয়েছে।

মূলধারার সিনেমা হল সিনেপ্লেক্স (২২ লেভোবিক এভেনিউ) ছিমছাম আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ফেস্টিভ্যালের। এমপিপি ডলি বেগম ছিলেন প্রধান অতিথি। ডলি বক্তৃতা করতে উঠে মঞ্চে ডেকে নেন এই আয়োজনের ভলান্টিয়ার টিমকে। প্রবাসে বাংলাদেশিদের যতো অনুষ্ঠানাদি হয়, প্রায় সবখানেই বাচ্চারা থাকে উপেক্ষিত। টিএমএফএফ হচ্ছে ব্যতিক্রম, যেখানে নতুন প্রচন্মের একঝাঁক ছেলে মেয়ে সংযুক্ত থাকে, ভলান্টিয়ার হিসেবে। টানা কয়েক দিন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকে তারা, সিনেমার পাশাপাশি বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গেও তাদের আন্তরিকতাটা গাঢ় হয়। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের জন্য টরন্টো ফিল্ম ফোরাম বাড়তি ধন্যবাদ পাওনা। 

নকশীকাঁথার জমিন’ নিয়েই বলি। শক্তিমান কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের গল্প, কাজেই সিনেমার কাহিনী অসাধারণ হবে তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু যারা অভিনয় করেছেন, তারা যে কী নিপুণ দক্ষতায় গল্পটাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। নির্মাতা আকরাম খানকে ধন্যবাদ জানাই। ‘নকশীকাঁথার জমিন’ তার প্রতিভা এবং সক্ষমতা দুটোকেই আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। 

সত্যি বলতে কী, জয়া আহসানের অভিনয় আমি আগে দেখিনি। এই প্রথম তার অভিনীত কোনো সিনেমা দেখলাম। জয়া আহসানের অসাধারণ অভিনয় মুগ্ধ করেছে। [৫] টরন্টো ফিল্ম ফোরামের প্রেসিডেন্ট এনায়েত করীম আমাদের বাবুল ভাইকে ধন্যবাদ, ব্যতিক্রমী চিন্তার অপূর্ব একটা টিমকে সঙ্গে নিয়ে সিনেমা দেখার অসাধারণ একটা উৎসবের আয়োজন করার জন্য। 

 লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক

পান পাতার হরেক রকম স্বাস্থ্যগুণ

পান পাতার হরেক রকম স্বাস্থ্যগুণ


পান খেতে ভালোবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনুষ্ঠান বাড়ির শেষে হোক বা দোকানে গিয়ে পান খেতে দেখা যায় অনেককেই। তবে পান শুধুই মুখশুদ্ধি নয়, এই পাতার এমন কিছু গুণ রয়েছে যা শরীর ভালো রাখতে পারে। এই পাতার মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে ট্যানিন, প্রোপেন, অ্যালকালয়েড, ফেনাইল ইত্যাদি। এবার এই সমস্যা যৌগ শরীর ভালো রাখতে পারে। এক্ষেত্রে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ব্যথাও কমাতে পারে এই যৌগ। এ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে জানানো হয়, চিকিৎসকদের মতে, পান দূরে রাখতে পারে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যাও।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, পান পাতার স্বাস্থ্যগুণ-

মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখে : পান পাতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা মুখের দুর্গন্ধ, দাঁত হলুদ হওয়া, প্লাক এবং দাঁতের ক্ষয় হওয়া আটকায়। দুপুরের খাবারের পর পান চিবিয়ে খেলে মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। দাঁতের ব্যথা, মাড়ির ব্যথা, ফোলাভাব এবং ওরাল ইনফেকশনও দূর করতে পারে পান পাতা। পুষ্টিবিদদের মতে, পানে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।

শ্বাসতন্ত্রের জন্য উপকারী : সর্দি-কাশি সারাতেও পান বেশ উপকারী। আয়ুর্বেদে কাশি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের রোগের চিকিৎসায় পান ব্যবহৃত হয়। পান পাতা এই সব সমস্যায় খুব কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য সারায় : পান পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস। যা শরীরে পিএইচ লেভেল স্বাভাবিক রাখে এবং পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষ করে, যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্য পান খুব উপকারী। পান পাতা পিষে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে পানিটা ছেঁকে খালি পেটে পান করুন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : পানে রয়েছে অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক গুণ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পান রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়তে বাধা দেয়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা সকালে খালি পেটে পান পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। হজমে সাহায্য করে : পান খেলে হজম ভালো হয়। গ্যাস, অম্বলের সমস্যাও কমে। গ্যাসট্রিকের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে পান পাতা। বাতের ব্যথা কমায় পানে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা হাড় এবং জয়েন্ট পেইন বা গাঁটে গাঁটে ব্যথা থেকে স্বস্তি দেয়। আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিসের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে পান পাতা।

মানসিক চাপ কমায় : পান চিবিয়ে খেলে স্ট্রেস, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মেলে। এটি শরীর ও মনকে রিল্যাক্স করে। ঘন ঘন মুড স্যুইং হওয়া আটকায়। সূত্র: আরটিভি 

রবীন্দ্র ইউনির্ভাসিটি ২য় আন্তঃবিভাগ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৩-এর উদ্বোধন

রবীন্দ্র ইউনির্ভাসিটি ২য় আন্তঃবিভাগ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৩-এর উদ্বোধন

 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রবীন্দ্র ইউনির্ভাসিটি ২য় আন্তঃবিভাগ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২৩’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টেগোর লেকচার থিয়েটারে সকাল ১০টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। রবীন্দ্র ইউনির্ভাসিটি ২য় আন্তঃবিভাগ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২৩ এর উদ্বোধনী পর্বে চারটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রথম সেশনে ‘বিপদগামী গণতন্ত্রের চেয়ে একনায়কতন্ত্র শ্রেয়’ শীর্ষক বির্তকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের 'কেইনেস লিগেসি' ও বাংলা বিভাগের 'সোনারতরী' অংশগ্রহণ করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, বিতর্ক মানুষকে যৌক্তিক হতে শেখায়। বিতর্ক করলে জানার পরিধি বাড়ে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য বর্তমান সময়ে যুক্তির খুবই প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা যুক্তির মাধ্যমে দেশাত্মবোধকে ধারণ করে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে এরকম সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এবং অনুপ্রেরণা দিতে বদ্ধ পরিকর। 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন মেধা মনন বিকাশের মাধ্যমে গ্রন্থগত বিদ্যাকে বাস্তবিক জীবনে কাজে লাগাতে পারে, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করতে পারে এবং যুক্তির মাধ্যমে নিজের অভিমত প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেকে নিয়েই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বিপ্লব বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত, তাই এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব গতানুগতিক শ্রেণীভিত্তিক পাঠক্রমের পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুক্ত চিন্তা বিকাশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। আর এর একটি অন্যতম মাধ্যম হতে পারে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন জানান, বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের পথ প্রশস্ত হয়।


প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় সেশনে সঙ্গীত বিভাগের 'চিত্রা' ও বাংলা বিভাগের 'অনিরুদ্ধ তিন', তৃতীয় সেশনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের 'চারুলতা' ও সঙ্গীত বিভাগের 'গীতসুধা' এবং চতুর্থ সেশনে অর্থনীতি বিভাগের 'ইকোন এলিট' ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের 'দূরন্ত' অংশগ্রহণ করে।

বিইউপিতে টেকসই উন্নয়নে আইসিটি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বিইউপিতে টেকসই উন্নয়নে আইসিটি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত


বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ‘টেকসই উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন বৃহস্পতিবার শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল মো. মাহ্বুব-উল আলম উক্ত সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মালয়েশিয়ার পাহাং ইউনিভার্সিটি এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল জুহাইরি বিন জামলি, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, গ্রামীন ফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন (আরএপিআইডি) এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া বিইউপি সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: আইএসপিআর 

বিইউপির ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কর্তৃক তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অগ্রগতির মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠন করা’ যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে। সম্মেলনে ইতোমধ্যে ১৫টি দেশ থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা, কৃষি, শিল্প এবং আধুনিক নগরায়ন বিষয়ে ২৮৭টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা হয় যার মধ্যে ১০০টি সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া এই সম্মেলনে শিক্ষা ও শিল্পের মধ্যে বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি, এবং প্রকৌশল বিষয়ক ধারণা বিনিময়ের মাধ্যমে একটি অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি শিল্প মেলার আয়োজন করা হয়। সময়োপযোগী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। 

বাংলাদেশের প্রযুক্তিতে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী লিথুয়ানিয়ার

বাংলাদেশের প্রযুক্তিতে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী লিথুয়ানিয়ার


লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি, সাইবার সুরক্ষা ও স্টার্টআপ খাতে যৌথ অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশের অ্যাকসেস টু ইনোভেট (এটুআই) সংস্থার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করে।

এছাড়াও তারা এটুআই এর সাথে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত পাবলিক সার্ভিসের মাধ্যমে স্মার্ট সরকার গঠনের জন্য অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ প্রকাশ করেন। লিথুয়ানিয়ার প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি)-কে যে সহযোগিতা দিচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক কোয়ান্টাম টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, স্পেস টেকনোলজি, ব্লকচেইন এবং শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির মতো অন্যান্য অ্যাডভান্সড/ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে দেশটির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, একটি নিরাপদ সাইবার বিশ্ব বজায় রাখার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। যেহেতু কোনো দেশ একা এটি অর্জন করতে পারে না, তাই জাতীয় সাইবারস্পেস সুরক্ষিত করতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজন। প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, বাংলাদেশে হাই-টেক পার্ক, আইটি পার্ক, নলেজ পার্ক এবং সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব পার্কগুলোতে সাইবার সুরক্ষায় নিয়োজিত লিথুয়ানিয়ার কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। তাছাড়া সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র (ডিএসএ) সাথে প্রযুক্তি এবং দক্ষতা বিনিময়ের জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।